BDWORLD 

.কিডনি সুস্থ রাখতে আট পরামর্শ

দূষিত পদার্থ ছেঁকে বের করে দিয়ে শরীরকে সুস্থ রাখে কিডনি। শরীরের পানি ও রক্তের অন্যান্য রাসায়নিক পদার্থ
যেমন সোডিয়াম, পটাশিয়াম, ফসফরাস ও ক্যালসিয়ামের ভারসাম্যও বজায় রাখে। নিয়মিত কিছু স্বাস্থ্যকর অভ্যাস গড়ে তোলার মাধ্যমে কিডনি সুস্থ রাখা সম্ভব।
কিডনি সুস্থ রাখার উপায়
১. ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখুন।
২. বিনা কারণে ব্যথানাশক ওষুধ না খাওয়া। বিভিন্ন ধরনের ব্যথানাশক ওষুধ চিকিৎসকের পরামর্শ ব্যতীত গ্রহণ
    করলে কিডনি রোগ হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে।
৩. পরিমিত পরিমাণে (ছয়-আট গ্লাস) পানি পান করুন। কিছুতেই শরীরে পানি কম পড়তে দেওয়া ঠিক নয়।
    আবার বেশি বেশি পানি খেলে কিডনি ভালো থাকবে, এমন কথা ঠিক নয়। শীতকালে পানির প্রয়োজন কম
    হলেও গ্রীষ্মে অধিক পরিমাণে পানি গ্রহণ করতে হবে।
৪. শিশুদের গলাব্যথা, খোস-পাঁচড়া বা স্ক্যাবিস হলে দ্রুত চিকিৎসার ব্যবস্থা করুন। এসব রোগের জটিলতা
    হিসেবে কিডনি রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি থাকে।
৫. ডায়রিয়া হলে দ্রুত চিকিৎসা নিন। কেননা সঠিকভাবে ডায়রিয়ার চিকিৎসা না হলে হঠাৎ কিডনি বিকল হয়ে
    যেতে পারে।
৬. পরিবারে কিডনি রোগের ইতিহাস থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী পরীক্ষা করা উচিত।
৭. হাত-পা ফুলে গেলে, প্রস্রাবের পরিমাণ কমে গেলে, প্রস্রাবের সঙ্গে রক্ত গেলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে
    হবে। কেননা এসব সমস্যা কিডনি রোগের লক্ষণ প্রকাশ করে।
৮. ধূমপান পরিহার করুন। ধূমপানের কারণে দেহের অন্যান্য অঙ্গের মতো কিডনিও আক্রান্ত হতে পারে।

ডা. রিফাত-ই-তাসনিম
রংপুর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল।




এ সময়ে গলাব্যথা

 


ঋতু বদল হচ্ছে। সঙ্গে সঙ্গে বেড়ে গেছে নানা ধরনের ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়ার আক্রমণ। সবচেয়ে বেশি এ সময় ভোগে শিশুরা—গলাব্যথা, জ্বর ও অন্যান্য উপসর্গে। বেশির ভাগ গলাব্যথাই শ্বাসযন্ত্রের ওপরের অংশে প্রদাহজনিত কারণে হচ্ছে। এর সঙ্গে জ্বর, মাথা ও কানব্যথা হতে পারে, ঢোক গিলতে কষ্ট হয় বা খুক খুক কাশিও হতে পারে। বিভিন্ন ধরনের ভাইরাস, বিশেষ করে রাইনো ভাইরাস এর জন্য দায়ী। কখনো স্ট্রেপটোকক্কাস ব্যাকটেরিয়া আক্রমণ করে ও গলাব্যথা হয়।

গবেষণায় দেখা গেছে, ৪০ শতাংশ গলাব্যথার উপসর্গ কোনো চিকিৎসা ছাড়াই তিন দিনের মধ্যে সেরে যায়। ৮৫ শতাংশ সেরে ওঠে সাত দিনের মাথায়। কুসুম গরম লবণ পানির গার্গল, গরম আদা বা লেবু চা, প্যারাসিটামল জাতীয় ওষুধ, প্রচুর পানি পান আর বিশ্রাম—এই হলো এই সমস্যার দাওয়াই।

সূত্র: বিএমজে এভিডেন্স সেন্টার।


শিশুদের সর্দি ও নাক বন্ধ?
 

শীত আসি আসি করছে। আর এই সময়টাতে হঠাত্ করে ছোট শিশুরা অসুস্থ হয়ে পড়তে পারে। হঠাত্ ঠান্ডা লেগে নাক বন্ধ হওয়া, নাক দিয়ে পানি পড়া, সর্দি জমে থাকার মতো উপসর্গ দেখা দিলে শিশুরা কান্নাকাটি শুরু করে দেয় ও বিরক্ত করে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই এসব উপসর্গ ভাইরাসের আক্রমণের কারণে বা অ্যালার্জির কারণে হয় এবং এক সপ্তাহের মাথায় সেরে যায়। বর্তমানে ছোট্ট শিশু ও নবজাতকদের এ ধরনের সমস্যায় কোনো ওষুধ বা চিকিত্সার চেয়ে সাধারণ যত্নআত্তির দিকেই জোর দেওয়া হয়।

-আধা কাপ কুসুম গরম পানিতে চা-চামচের ৪ ভাগের ১ ভাগ লবণ গুলে স্যালাইন ড্রপ তৈরি করুন। বাজারে স্যালাইন নাকের ড্রপ কিনতেও পাওয়া যায়।
-একটা তোয়ালে বা কাপড় রোল করে শিশুর মাথার নিচে দিয়ে তাকে চিত করে শোয়ান। এবার ৩০ থেকে ৬০ মিনিট পর পর দুই বা তিন ফোঁটা ড্রপ দিয়ে নাক পরিষ্কার করে দিন।
-ড্রপ দেওয়ার পর কাত করে শুইয়ে দিয়ে তরল সর্দি বেয়ে পড়তে দিন, টিস্যু দিয়ে মুছে দিন। কটন বাড নাকের ভেতর ঢোকাবেন না।
-দুই বছর বয়সের নিচে নাকের ডিকনজেসটেন্ট ড্রপ বা স্প্রে ব্যবহার করা নিষেধ।
ডিকনজেসটেন্ট জাতীয় ওষুধ নাকের শিরাগুলোকে সংকুচিত করবে, এটি নাক দিয়ে পানি পড়া রোধ করবে না। শিশুদের ক্ষেত্রে তিন দিনের বেশি ব্যবহার করা যাবে না।

 সূত্র: ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব হেলথ, ইউএসএ।


পায়ে জ্বালাপোড়া?
 

পায়ের পাতা দুটি যেন মাঝেমধ্যে মরিচ লাগার মতো জ্বলে। কখনো সুঁই ফোটার মতো বিঁধে। ঝিম ঝিম করে বা অবশও লাগে। প্রায়ই এ ধরনের অনুভূতির কথা শোনা যায় রোগীদের মুখে। এ এক বিরক্তিকর ও যন্ত্রণাকর অনুভূতি। নানা কারণে, এমনকি মানসিক বিপর্যয়েও হতে পারে এই জ্বালাযন্ত্রণা। কিন্তু বেশির ভাগ ক্ষেত্রে পায়ের স্নায়ু ক্ষতিগ্রস্ত হলেই এমনটা ঘটে। চিকিৎসা বিজ্ঞানের পরিভাষায় একে বলা হয় পেরিফেরাল নিউরোপ্যাথি।

নিউরোপ্যাথির একটি বড় কারণ হলো অনিয়ন্ত্রিত ও দীর্ঘদিনের ডায়াবেটিস। রক্তে শর্করার আধিক্য ধীরে ধীরে পায়ের স্নায়ুগুলোকে ধ্বংস করে এ ধরনের উপসর্গ সৃষ্টি করে। কিডনি ও থাইরয়েড সমস্যায়, ভিটামিন বি১২ ও বি১-এর অভাব, মদ্যপান, রিউমাটয়েড আথ্রাইটিস ইত্যাদি রোগেও পায়ের স্নায়ুতে সমস্যা হয়। কিছু ওষুধের প্রতিক্রিয়ায় পায়ে জ্বালাপোড়া হতে পারে, যেমন: যক্ষ্মা রোগে ব্যবহূত আইসোনিয়াজিড, হূদেরাগে ব্যবহূত এমিওড্যারোন, কেমোথেরাপি ইত্যাদি।
তবে সব সময় পায়ে যন্ত্রণা বা জ্বালাপোড়া মানেই যে স্নায়ুতে সমস্যা বোঝায়, তা নয়। আরও কিছু কারণে এ ধরনের অনুভূতির সৃষ্টি হতে পারে। যেমন:
- পায়ে ছত্রাক সংক্রমণ
- পায়ে রক্ত চলাচলে সমস্যা
- মহিলাদের মেনোপোজের পর
- অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা বা মানসিক চাপ

কী করবেন?
জ্বালাপোড়া হঠাৎ শুরু হয়ে খারাপের দিকেই যাচ্ছে বা এর সঙ্গে পায়ের আঙুল বা পাতায় অনুভূতি কমে যাচ্ছে, অবশ মনে হচ্ছে ইত্যাদি লক্ষণ থাকলে অবহেলা করবেন না। আপনার পায়ের স্নায়ু ঠিক আছে কি না তা বোঝার জন্য অনেক সময় কোনো পরীক্ষা-নিরীক্ষারও প্রয়োজন নেই। চিকিৎসক একটি আলপিন বা একটি টিউনিং ফর্ক ব্যবহার করেই পায়ের অনুভূতিগুলো যাচাই করে নিতে পারবেন।

- ডায়াবেটিসের রোগীরা রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণে রাখুন, পায়ের যত্ন নিতে শিখুন।
- যাঁদের পায়ের স্নায়ু সমস্যা আছে, তাঁরা পায়ের যেকোনো ক্ষতের দ্রুত চিকিৎসা করুন। পায়ে গরম সেঁক নিতে, নখ কাটতে, জুতা বাছাই করতে সাবধান হোন।
- পায়ের সমস্যার জন্য সব সময় যে ভিটামিনের অভাবই দায়ী, তা নয়। তাই সব ধরনের সমস্যায় ভিটামিন বি খেয়ে উপকার পাওয়া যাবে না।
- দুশ্চিন্তা ও মানসিক চাপ কমান। প্রয়োজনে চিকিৎসা নিন।
- নিউরোপ্যাথি আছে প্রমাণিত হলে স্নায়ুর যন্ত্রণা লাঘব করে এমন কিছু ওষুধ পাওয়া যায়, চিকিৎসকের পরামর্শে সেগুলো সেবন করতে পারেন।

ডা. মৌসুমী মরিয়ম সুলতানা
মেডিসিন বিভাগ, ইউনাইটেড হাসপাতাল।



গ্যাসের ব্যথা কী করি ?
 

পেটে খুব গ্যাস হয়। ৮০ শতাংশ মানুষ এমন অভিযোগ করে থাকে অনেক সময়। অধিকাংশ লোকই জানে না এর মানে কী আর কেনই বা এমন হয়।

অনেকের শাক-সবজি বেশি খেলে পেটে গ্যাস হয়। অন্ত্রের মধ্যে কিছু ব্যাকটেরিয়া ও রাসায়নিক পদার্থ আছে, যা বিভিন্ন খাদ্য উপাদানের সঙ্গে বিক্রিয়া করে নানা ধরনের গ্যাস উৎপন্ন করে। যেমন কার্বন ডাই-অক্সাইড, হাইড্রোজেন, অক্সিজেন, মিথেন ইত্যাদি। আবার কিছু গ্যাস দেহের রক্ত থেকে উৎপাদিত হয়ে পেটে আসে। ল্যাকটুলোজ-জাতীয় খাবার ও বিভিন্ন ধরনের ওষুধ পেটের রাসায়নিক বা অ্যাসিডের সঙ্গে বিক্রিয়া করে বেশি গ্যাস তৈরি করে থাকে।

স্বাভাবিকভাবে আমাদের শরীরে সাধারণত ২০০ মিলিলিটার বা গড়ে ৪৭৬ মিলিলিটার থেকে ৬০০ মিলিলিটার পর্যন্ত গ্যাস উৎপন্ন হতে পারে, যা ঊর্ধ্বগামী বা নিম্নগামী হয়ে ১৮ থেকে ২০ বার পর্যন্ত শরীর থেকে বের হতে পারে।

যাদের পেটে বেশি গ্যাস সৃষ্টি হয়, তাদের কিছু নিয়ম পালন করা দরকার।

খাওয়ার সময় তাড়াহুড়া করে না খেয়ে ধীরস্থিরভাবে খাবার চিবিয়ে খেতে হবে, যাতে খাবারটা ভালোভাবে পরিপাকরসের সঙ্গে মেশে এবং হজম হয়। ধূমপান বর্জন করুন। কেন ও কোন খাবারে গ্যাস হয়, সেদিকে লক্ষ্য রাখুন ও তা থেকে বিরত থাকুন। বারবার ঢেকুর তুলবেন না। অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা ও অস্থিরতা থেকে দূরে থাকুন। এই বিষয়টি নিয়ে বেশি চিন্তা না করে নিজের কাজে বেশি করে মনোনিবেশ করুন।

অধ্যাপক ডা. মো. জুলফিকার আলী
মেডিসিন ও পরিপাকতন্ত্র বিভাগ, খাজা ইউনুস আলী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল।
সূত্র: দৈনিক প্রথম আলো, অক্টোবর ১০, ২০১৩


মুখ-গলা শুকিয়ে ‘কাঠ’
 

প্রায়ই এমন মনে হয় যে মুখ-গলা শুকিয়ে কাঠ, জিবে মুখে কোনো লালা নেই। প্রচণ্ড পিপাসা পেলে, বিভিন্ন ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় বা অনেক সময় উদ্বেগ কিংবা দুশ্চিন্তায় এমনটা হয়। কিন্তু প্রায়ই আপনার মুখ-জিব শুকিয়ে খটখটে হয়ে এলে একটু ভাবতে হয় বৈকি। চিকিৎসাবিজ্ঞানের ভাষায় একে বলে জেরোস্টোমিয়া। মুখের লালাগ্রন্থি থেকে লালা নিঃসরণ কমে গেলেই এটা হয়।

লালার কাজ কেবল মুখ আর্দ্র রাখাই নয়, খাবারের স্বাদ গ্রহণ ও হজমে এর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। তা ছাড়া লালা না থাকলে জিবে ঘা বা জ্বালাপোড়া হয়, মুখে, মাড়িতে ও দাঁতে সংক্রমণ হয়। অ্যালার্জি, উচ্চ রক্তচাপ, বিষণ্নতা, ঘুমের ওষুধসহ প্রায় ৪০০ রকমের ওষুধে মুখে লালা নিঃসরণ কমে যায়। ডায়াবেটিস, পারকিনসন রোগ, স্ট্রোকের পর, রক্তশূন্যতা ও নানা ধরনের রোগে বারবার মুখ শুকায়। হাঁপানি বা ব্রঙ্কাইটিসের রোগীরা মুখে শ্বাস নেন বলে বারবার মুখ শুকিয়ে যায়।

বারবার মুখ শুকানোর প্রবণতা রোধে কিছু পদক্ষেপ নেওয়া যায়। চা-কফি মুখের আর্দ্রতা কমিয়ে দেয়, তাই এগুলো বেশি খাবেন না। তামাক ও সিগারেট বন্ধ করুন। প্রচুর পানি পান করুন। চিনিহীন ক্যান্ডি বা চুইংগাম ব্যাগে রাখতে পারেন, প্রয়োজনে মুখে দিলে লালা নিঃসরণ বাড়বে। ফ্লুরাইডযুক্ত টুথপেস্ট এদের জন্য ভালো। মুখে শ্বাস নেবেন না, নাক বন্ধ থাকলে নাকে ড্রপ দিন। ঘর যথেষ্ট আর্দ্র রাখবেন, বিশেষ করে রাতে। মুখ শুকিয়ে যাওয়ার মতো কোনো রোগ থাকলে শনাক্ত করে চিকিৎসা নিন।

সূত্র: ওয়েবমেড।

 

অন্তত ৩০ মিনিট হাঁটুন
 

একেতো বৃষ্টি-বাদলা, তারপর টানা ঈদের ছুটি। সব মিলে হাঁটাহাঁটির অভ্যাসটা অনেকের অনিয়মিত হয়ে গেছে। তাই আবার শুরু করুন। হাঁটতে তো আর যন্ত্রপাতি লাগে না। লাগে কেবল একটু ইচ্ছাশক্তি। আপনার বয়স যদি ৩৫ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে হয়ে থাকে, তবে দৈনিক ২০ মিনিট হেঁটে উচ্চ রক্তচাপ ১২ শতাংশ কমিয়ে ফেলতে পারবেন। এর বেশি সময় হাঁটলে কমাতে পারবেন ৩০ শতাংশ। একই সঙ্গে কমবে ওজন, চর্বির আধিক্য ও ডায়াবেটিস।
তবে এসব উপকার পেতে হলে অনিয়মিত ও বিশৃঙ্খলভাবে হাঁটলে চলবে না। সপ্তাহে অন্তত তিন-চার দিন হাঁটবেন, অন্তত ৩০ থেকে ৪৫ মিনিট টানা। কখনো টানা দুই দিনের বেশি বিরতি দেওয়া ঠিক নয়। হাঁটতে হবে যথেষ্ট দ্রুত, যেন হূদস্পন্দন বেড়ে যায়, শরীর ঘেমে যায়।
হাঁটার শুরুর দিকে পাঁচ থেকে ১০ মিনিট জগিং করে বা হালকা ব্যায়াম করে শরীরটা চাঙা করুন। শেষে আবার পাঁচ থেকে ১০ মিনিট বিশ্রাম।
খাবার পরপরই হাঁটবেন না, অন্তত এক ঘণ্টা বিরতি দিন। হাঁটা শেষ করে পানি পান করুন। আবার হেঁটে ফিরে এসে সঙ্গে সঙ্গেই না খেয়ে এক-দুই ঘণ্টা বিরতি দিন। দুপুরের রোদ বাদ দিয়ে সকালে বা বিকেলের মনোরোম আবহাওয়ায় হাঁটুন। যদি কষ্ট হয়, তবে প্রথমে সপ্তাহে দুই দিন, তারপর তিন দিন, তারপর চার দিন করে হাঁটুন। এভাবে অভ্যাসটি প্রতিদিনের জন্য গড়ে তুলুন।

ডা. মো. শরিফুল ইসলাম
মেডিসিন বিভাগ, শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল।
সূত্র: দৈনিক প্রথম আলো, আগস্ট ২৫, ২০১৩

 

ঘামের দুর্গন্ধ?
 

সকালে ধোপদুরস্ত হয়ে বেরিয়েছেন ঠিকই, কিন্তু বাসে ভিড়ে ঘেমে অস্থির হয়ে যখন অফিসে ঢুকেছেন তখন শার্টটা যেমন কুঁচকে গেছে তেমনি শরীরটাও ঘামের গন্ধ ছড়াতে শুরু করেছে। অথবা অফিসের পর সন্ধ্যায় জরুরি বৈঠক রয়েছে, কিন্তু সারা দিন পর দুর্গন্ধের জন্য বিব্রত বোধ করছেন। এই সমস্যা প্রায় সবার। আশ্চর্য হলেও সত্যি যে আমাদের দেহের ঘাম আসলে গন্ধহীন। কিন্তু ত্বকে বাস করা নানা ব্যাকটেরিয়া এই ঘামের মধ্যে বংশবিস্তার করে ও দুর্গন্ধের সৃষ্টি করে। এই সমস্যা মোকাবিলার জন্য কিছু পদক্ষেপ অবশ্যই নেওয়া যায়।
প্রতিদিন গোসল করা উচিত। প্রয়োজনে বাইরে যাওয়ার আগে ও ফিরে এসে দুবারই গোসল করা যায়। গোসলের সময় খুব ভালো করে ত্বকের নানা ভাঁজ পরিষ্কার করতে হবে। কেননা যতক্ষণ না ব্যাকটেরিয়াগুলো ধুয়ে দূর করতে পারছেন ততক্ষণ গন্ধ পিছু ছাড়বে না।
গোসলের পর খুব ভালো করে ত্বক শুষ্ক করতে হবে। শুষ্ক ত্বকে জীবাণুর বৃদ্ধি কম হয়। একই পোশাক কখনো না ধুয়ে ব্যবহার করবেন না। ব্যবহূত তোয়ালেও পারলে সপ্তাহে এক বা দুবার ধুয়ে ফেলুন। ওয়ার্ডরোব পরিচ্ছন্ন রাখুন ও প্রয়োজনে সুগন্ধি ব্যবহার করুন। প্রতিদিন বা দরকার হলে দিনে দুবার মোজা পরিবর্তন করুন। জুতা পরিষ্কার রাখুন বা এতে ডিওডোরেন্ট পাউডার ব্যবহার করুন। দুর্গন্ধের সঙ্গে খাবারেরও সম্পর্ক আছে। পেঁয়াজ, রসুন ও অতিরিক্ত মসলাযুক্ত খাবার এই সম্ভাবনা বাড়িয়ে দেয়।

সূত্র: ওয়েবমেড।

 

পরীক্ষার আগে বুক ধড়ফড়?
 

পরীক্ষার দিন সকালে উঠে দু-দুবার বমি। তার পর শুরু হলো বুক ধড়ফড়ানি আর জিব শুকিয়ে আসা। কয়েকবার পানি খেয়েও লাভ হলো না। পরীক্ষার কেন্দ্রে গিয়ে যখন পৌঁছালেন, তখন রীতিমতো পা কাঁপছে। যা কিছু জানেন, এ অবস্থায় তাও ভুলে যাচ্ছেন। এভাবে কী পরীক্ষা দেওয়া যায়?

উদ্বেগ বা দুশ্চিন্তা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ। জীবনে নির্দিষ্ট মাত্রার উদ্বেগ প্রয়োজনীয়ও বটে। দুশ্চিন্তা একেবারে না থাকলে কাজে উদ্যম থাকে না, লক্ষ্যপূরণের প্রস্তুতিও যথাযথ হয় না। পরীক্ষা নিয়ে উদ্বেগ বা চিন্তাই যথাযথ প্রস্তুতি নেওয়ার চালিকাশক্তি। পরীক্ষা নিয়ে যার কোনো ভাবনাই নেই, সে তো প্রস্তুতিই নেবে না ঠিকভাবে। কিন্তু পরীক্ষার এই ভাবনা যখন স্বাভাবিকতার সীমা অতিক্রম করে চরম দুর্ভাবনা আর অতিরিক্ত উদ্বেগে রূপ নেয়, মানসিক চাপ বিপর্যস্ত করে তোলে পরীক্ষার্থীকে, সেটা তখন নেতিবাচক। কোনো বিষয়ে মাত্রাতিরিক্ত দুশ্চিন্তা যখন ব্যক্তির দৈনন্দিন জীবনকে বাধাগ্রস্ত করে, তখন তা রোগের পর্যায়ে পড়ে।

উদ্বেগজনিত রোগ বা অ্যাংজাইটি ডিসঅর্ডারে আক্রান্ত ব্যক্তির নানা শারীরিক-মানসিক উপসর্গ দেখা দেয়। যেমন: মাথা ঘোরানো, মাথাব্যথা, চোখে ঝাপসা দেখা, জিব শুকিয়ে যাওয়া, গিলতে কষ্ট হওয়া, ঘাড়ে ব্যথা, শ্বাস নিতে কষ্ট, বুক ধড়ফড় করা, পেট ফাঁপা, বারবার প্রস্রাব হওয়া, বেশি ঘাম, নেতিবাচক চিন্তা, ভুলে যাওয়া, অমনোযোগিতা, একই ভাবনার পুনরাবৃত্তি প্রভৃতি। দীর্ঘমেয়াদি উদ্বেগের কারণে শরীরের রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা কমে যায়, উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়াবেটিসসহ নানা সমস্যার ঝুঁকি বেড়ে যায়।

উদ্বেগের কারণগুলোকে হয়তো পুরোপুরি উপড়ে ফেলা সম্ভব নয়, কিন্তু এর সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করা যেতে পারে। এ জন্য প্রয়োজন স্বাস্থ্যকর ও সুশৃঙ্খল জীবনযাপন। স্বাস্থ্যকর আহার করুন, প্রতিদিন হালকা ব্যায়াম করুন। নিজের জন্য আলাদা কিছুটা সময় বরাদ্দ রাখুন। প্রিয় বা ভালো লাগা কোনো কাজে (যেমন: গান শোনা, বই পড়া, বাগান পরিচর্যায়) সময় দিন। সামর্থ্য অনুযায়ী জীবনের লক্ষ্য স্থির করুন। অবাস্তব লক্ষ্যের পেছনে ছুটবেন না। সব সময় অন্যের সঙ্গে নিজেকে বা সন্তান ও প্রিয়জনকে তুলনা করবেন না। দৃষ্টিভঙ্গি ইতিবাচক করুন। নিজের সিদ্ধান্ত নিজে নিতে শিখুন। ধূমপান ও মাদকাসক্তি থেকে দূরে থাকুন। দুশ্চিন্তার সময়ে রিল্যাক্সেশন বা শিথিলায়ন করতে পারেন। প্রচণ্ড কাজ বা চাপের মধ্যেও অবসর সময় বের করে উপভোগ করুন। কাছের মানুষের সঙ্গ নিন।

ডা. মুনতাসীর মারুফ
জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট।
সূত্র: দৈনিক প্রথম আলো, আগস্ট ২১, ২০১৩




ঘন, কালো চুল চাই? জেনে নিন ৩টি কার্যকরী উপায়!

প্রতিদিনের ব্যস্ত জীবন ও পরিবেশ দূষণ সবার আগে কেড়ে নিচ্ছে চুলের সৌন্দর্য। ঘন ও কালো চুল পাওয়া যেন রীতিমত ভাগ্যের ব্যাপার এখন। ঘন ও কালো চুল চাই? তাহলে আজ আমরা নিয়ে এলাম ৩টি দারুণ কৌশল। এই কৌশল গুলো অবলম্বন করেই দেখুন। চুল পড়ার পর একদম কমে গিয়ে পাবেন ঘন,কালো, ঝলমলে চুল!

প্রাচীনকাল থেকেই চুন ঘন কালো করার জন্য প্রাকৃতিক অনেক উপায় ব্যবহার হয়ে আসছে। চুলের যত্নে যেখানে ইজিপ্সিয়ানরা ব্যবহার করতো ফিগ ও ক্যাস্টর অয়েল, সেখানে গ্রীক ও রোমানরা ব্যবহার করতেন অলিভ ও রোজমেরি অয়েল। এখনো চুলকে ঘন কালো ও স্বাস্থ্যোজ্জ্বল করার জন্য ঘরোয়া উপায়ই বেশী উপযোগী। চুলকে ঘন করার জন্য আজকে আপনাদের জন্য রইল এমনই কিছু ঘরোয়া উপায়।

ডিম ও মধুর হেয়ার প্যাক

পদ্ধতিঃ
একটি ডিমের সাদা অংশ, ১ টেবিল চামচ অলিভ অয়েল ও ১ টেবিল চামচ মধু একটি বাটিতে নিয়ে খুব ভালো করে মেশান। একটি মসৃণ মিশ্রণ না হওয়া পর্যন্ত মেশাতে থাকুন। এরপর এটি চুলের গোড়ায় খুব ভালো করে লাগিয়ে নিন। ২০ মিনিট রাখুন। এরপর ঠাণ্ডা পানি দিয়ে শ্যাম্পু করে চুল ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে ২/৩ বার ব্যাবহারে ভালো ফল পাবেন।

মেহেদী ও টক দইয়ের হেয়ার প্যাক

মেহেদী নতুন চুল গজানোর জন্য বেশ ভালো একটি উপাদান। এছাড়াও মেহেদী চুলের গোড়া শক্ত করে চুল পড়া রোধে সাহায্য করে।

পদ্ধতিঃ
এই প্যাকটি বানাতে লাগবে ১ কাপ পরিমাণ গুড়ো মেহেদী বা চুলের পরিমাণ অনুযায়ী অর্ধেক কাপ বাটা মেহেদী। ও ১ কাপ টক দই (বাটা মেহেদী হলে অর্ধেক কাপ)। মেহেদী ও টক দই একটি বাটিতে নিয়ে খুব ভালো করে মিশিয়ে পেস্টের মত তৈরি করতে হবে। এই পেস্টটি চুলের গোড়ায়, মাথার ত্বকে ও পুরো চুলে খুব ভালো করে লাগাতে হবে। পুরোপুরি না শুকানো পর্যন্ত চুলে লাগিয়ে রাখুন। শুকিয়ে গেলে শ্যাম্পু করে চুল ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে ১/২ বার ব্যবহার করুন এই প্যাকটি।

পেঁয়াজের রস ও মধুর হেয়ার মাস্ক

পেঁয়াজের রস চুলের জন্য খুব উপকারী একটি উপাদান। চুল পড়া রোধ ও নতুন চুল গজানোর সহায়তার জন্য এটা অনেক আগে থেকেই ব্যবহার হয়ে আসছে।

পদ্ধতিঃ
একটি মাঝারি আঁকারের পেঁয়াজ নিন। পেঁয়াজটি কুচি করে কেটে কিংবা গ্রেটারে গ্রেট করে নিয়ে চিপে এর রস বের করুন। যদি প্রয়োজন বোধ করেন তো ২টি পেঁয়াজ নিতে পারেন। এই পেঁয়াজের রসে ২ চা চামচ মধু দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নিয়ে মিশ্রণ তৈরি করুন। এই মিশ্রণটি মাথার ত্বকে চুলের গোড়ায় লাগাবেন। সব চাইতে ভালো ফল পেতে এই মাস্কটি রাতে ব্যবহার করুন। পুরো রাত এই হেয়ার মাস্কটি চুলে লাগিয়ে রাখুন। সকালে হালকা কোনো শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে ৩/৪ বার ব্যবহারে দ্রুত ফল পাবেন।
ঘন চুলের জন্য কিছু টিপসঃ

•মাসে অন্তত ১ বার চুলের আগা ছাঁটুন
•ঘন ঘন চুলে স্ট্রেইটনার ও হেয়ার ড্রায়ার ব্যবহার করবেন না
•চুলের জন্য ভিটামিন ই সমৃদ্ধ খাবার খান
•ভিটামিন ই ট্যাবলেট খেতে পারেন
•ভেজা চুল আঁচড়াবেন না
•চুলের গোড়ায় ময়লা জমতে দেবেন না

ফেসবুকের নিয়ম অনুসারে পেইজ এর পোস্ট এ নিয়মিত লাইক, কমেন্ট না করলে ধীরে ধীরে পোস্ট আর দেখতে পাবেন না। তাই পোস্ট ভাল
লাগলে লাইক দিয়ে পেজে একটিভ থাকুন।


যৌবন দীর্ঘস্থায়ী করে রসুন - খুবই

গুরুত্বপূর্ণ পোষ্ট "শিক্ষা মূলক"
অনেকে আমাদের মেসেজে প্রশ্ন
করে থাকেন
কি ভাবে যৌনতা বাড়ানো যায়
বা কি খেলে যৌনতা বৃদ্ধি পায় ?
হ্যাঁ সবার জন্য আজ
বলে দিচ্ছি ভালো করে শুনে রাখুন।
রসুন খেলে যৌনতা বৃদ্ধি পায় ! অনেকের
দেখাযায় অতিরিক্ত মাত্রায় শারীরিক
মেলামেশা করার ফলে সুক্র
সল্পতা দেখা যায় অর্থাৎ শুক্রাণুর
মাত্রা কমে যায় এবং sperm (বীর্য)
পাতলা হয়ে যায়। আপনার
শরীররে যদি ক্রনুর মাত্রা কমে যায়
তবে আপনি অনেক সময় সন্তান জন্ম
দিতে অক্ষম হতে পারেন।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্যমতে,
প্রতি মিলিলিটার শুক্রাণুতে ২০
মিলিয়নের কম স্পার্ম
থাকলে যেকোনো পুরুষ অনুর্বর হতে পারেন।
বাজে খাদ্যাভ্যাস, ধূমপান, অ্যালকোহল,
অনিয়ন্ত্রিত জীবন,
ব্যায়ামে অনীহা প্রভৃতি কারণে দিন দিন
অনুর্বরতা বাড়ছে। এক্ষেত্রে বিশেষ
সহায়ক মসলা রসুন। কেননা সুস্থ sperm
(বীর্য) তৈরিতে রসুনের জুড়ি মেলা ভার।
প্রতিদিন নিয়ম করে কয়েক
কোয়া কাঁচা রসুন খেলে শরীরের যৌবন
দীর্ঘ স্থায়ি হয় । যারা পড়ন্ত
যৌবনে চলে গিয়েছেন, তারা প্রতিদিন
দু’কোয়া রসুন খাঁটি গাওয়া ঘি-এ
ভেজে মাখন মাখিয়ে খেতে পারেন।
তবে খাওয়ার শেষে একটু গরম পানি বা দুধ
খাওয়া উচিত। এতে ভালো ফল পাবেন।
যৌবন রক্ষার জন্য রসুন অন্যভাবেও
খাওয়া যায়। কাঁচা আমলকির রস ২ বা ১
চামচ নিয়ে তার সঙ্গে এক বা দুই
কোয়া রসুন বাটা খাওয়া যায়। এতে স্ত্রী-
পুরুষ উভয়ের যৌবন দীর্ঘস্থায়ি হয়।
যৌনতার ক্ষেত্রে রসুন ব্যবহার
করে ব্যক্তিগত ভাবে আমি (এডমিন)
ভালো ফল পেয়েছি তাই আপনারও
চেষ্টা করে দেখতে পারেন অবশ্যয়
ভালো ফল পাবেন। রসুন ব্যবহার
করে উপকৃত হলে মেসেজ করে জানবেন।
ধন্যবাদ সবাইকে।
বিঃদ্রঃ এই পেইজটি সম্পুর্ন
শিক্ষামূলক।
দয়াকরে আজেবাজে comments করবেন না।
যৌন বিষয়ে জানুন সচেতন থাকুন। যৌন
শিক্ষা খারাপ কোন বিষয় নয়। জীবনের
জন্যই এই বিষয় শিক্ষা। যৌন
জীবনে অশান্তি মানেই হলো আপনার জীবন
তেজপাতা.....


ঠোঁট:--
নরম গোলাপি ঠোঁট


পেতে প্রতি রাতে ভ্যাসলিনের
সঙ্গে অল্প লবণ মিশিয়ে ঠোঁটে ম্যাসাজ
করে ধুয়ে নিন। এতে ঠোঁটের মৃত কোষ
ঝরে উজ্জ্বলতা আসবে।

বড় বড় পোস্ট এর পাশাপাশি এরকম
আরো অনেক ভালো ভালো মিনি পোস্ট
আছে আপনাদের জন্য।তাই লাইক
দিয়ে সবসময় একটিভ থাকুন 


এটা একটা শিক্ষামূলক পোষ্ট 

স্বপ্নদোষ থেকে মুক্তি পাবার উপায় 

১. ঘুমাতে যাবার আগে প্রস্রাব করে নিন। যদিও এটি স্বপ্নদোষের চিকিৎসা নয় - তবে এটি স্বপ্নদোষের চাপকমাতে শরীরকে সাহায্য করে।
২. ঘুমাতে যাবার আগে এককাপ ঋষি পাতা (Sage Leave
s - google এ সার্চকরে দেখতে পারেন। হয়তো আপনার অঞ্চলে এটি ভিন্ন নামে পরিচিত) 'র চা পান করলে অতিরিক্ত হস্তমৈথুন জনিত স্বপ্নদোষ থেকে মুক্তি পেতে পারেন।
৩. অশ্বগন
্ধা (Withaniasomnif era) স্বপ্নদোষে সৃষ্ট সমস্যায় উপকার সহ সর্বপোরী যৌন স্বাস্থ্য শুদ্ধি, হরমোন ব্যালেন্স এবংহস্তমৈথুনের ফলে দুর্বল হয়ে যাওয়া পেশীশক্তি ফিরে পাওয়া ও ভিতরগত ছোট-খাট ইনজুরি সারিয়ে তুলতে পারে।
৪. ঘুমানোর আগে অতিরিক্ত পানি পান করবেন না। যদি সামান্য পরিমান প্রস্রাবের লক্ষনও থাকেবিছানায় যাবারআগে প্রস্রাব করে নিন।
৫. রাতের খাবার খাওয়ার পর-পরই ঘুমাতে যাবেন না। কিছুক্ষন হাটা-হাটি করুন।

৬. প্রতিদিন সামান্য করে হলেও পুদিনা পাতা অথবা মিছরী খাবার অভ্যাস করুন।
৭. পবিত্র কোরআনের ৩০ নাম্বার পারার "সুরা তারিক" পড়ে শয়ন করুন। হালকা জিকির এবং অন্যান্য দোয়া পড়ে ঘুমাতে গেলে আল্লাহর রহমতে স্বপ্নদোষ থেকে মুক্তি পেতে পারেন।

পেজে লাইক না দিলে আপনি আর আমাদের পোস্ট দেখতে পাবেননা। তাই প্রতিদিন নিয়মিত পোস্ট দেখতে লাইক দিয়ে পেজে একটিভ থাকুন




•|• এটা একটা শিক্ষামূলক পোষ্ট •|•

অনেকেই জানতে চেয়েছেন কখন বা কোন সময় কনডম বা পিল ব্যবহার না করে সেক্স করলে প্রেগন্যান্ট হবার ভয় থাকে না:

সাধারণত বলা হয় নির্দিষ্ট দিনে পিরিয়ডের ১০-১২ দিন আগে এবং নির্দিষ্ট দিনে পিরিয়ডের ৭-৯ দিন পর সেক্স নিরাপদ।
কিন্তু ব্যাপার হচ্ছে অধিকাংশ ক্ষেত্রে মেয়েদের পিরিয়ড নির্দিষ্ট তারিখে হয় না।
সুতরাং দেখা গেলো আপনি ১০ দিন হিসাব করেআনপ্রোটেক্টে ড সেক্স করলেন অথচ

আপনার গার্লফ্রেন্ড বা স্ত্রীর পিরিয়ড হলো নির্দিষ্ট তারিখের ৩ দিন পর।
তখন বিপদ ঠেকাবেন কি করে??
তাছাড়া বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে সুস্থ-সবল শুক্রাণু ডিম্বাশয়ে অন্তত ৫ দিন বেঁচেথাকে।
সুতরাং সেক্সের পর ডিম্বাণু গঠন
প্রক্রিয়া শুরুর পর শুক্রাণু ডিম্বাশয়ে রয়ে গেলে সরাসরি খবর আছে!
আসলে মাসের
প্রতিটি দিনই
প্রেগন্যান্ট হবার চান্স থাকে। এসব দিনের উপর ভিত্তি করে আনপ্রোটেক্টেড
সেক্সের কথা চিন্তাও করবেন না। সবসময় কনডম বা পিল ব্যবহার করুন। সামান্য উপভোগের জন্য আপনি ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত কেন করবেন?? দেখা যায় এরকম
অসময়ে প্রেগন্যান্সীর অন্যতম ফলাফল হয় অ্যাবোরশন। কেন একটি নিষ্পাপ প্রাণ নষ্ট করবেন??
তার দোষ কি???


টুথপেস্টের ৬টি ভিন্নধর্মী মজার ব্যবহার!

সবার বাড়িতেই তো টুথপেস্ট থাকে।
প্রতিদিন দাঁত মাজার জন্য যে টুথপেস্ট
ব্যবহৃত হয় তা অনেক সময় ভিন্ন কাজেও
লেগে যেতে পারে। অনেক সময় এমন
কিছু কাজে টুথপেস্ট ব্যবহার
করে সমাধান পাওয়া যায়
যা বলতে গেলে অকল্পনীয়। আসুন
জেনে নেয়া যাক টুথপেস্টের কিছু
ভিন্নধর্মী মজার ব্যবহার সম্পর্কে।

* মশা কিংবা অন্য কোন পোকা কামড়
দিলে অনেক সময় চুলকায়
বা জ্বালাপোড়া করে। আক্রান্ত
স্থানে টুথপেস্ট লাগিয়ে দিন।
জ্বালাভাব ও চুলকানি কমে যাবে।

*কার্পেটে অনেক সময় খাবার পড়ে দাগ
হয়ে যায়। কার্পেটের জেদী দাগ
ওঠাতে টুথপেস্ট কার্যকরী। কার্পেটের
যেই স্থানে দাগ
লেগেছে সেখানে টুথপেস্ট
লাগিয়ে ব্রাশ দিয়ে কিছুক্ষন ঘষুন।
এরপর কাপড়
ভিজিয়ে ধীরে ধীরে মুছে ফেলুন।
কার্পেটের দাগ চলে যাবে।

*রাঁধতে দিয়ে হঠাৎ হাত
পুড়ে যেতে পারে। অল্প
পুড়ে গেলে পোড়া স্থানে টুথপেস্ট
লাগিয়ে দিন। জ্বালা কমে যাবে।
তবে বেশি পোড়ায় একদম এই
বুদ্ধি চলবে না।

*মুখে ব্রণের উপদ্রব কার
ভালো লাগে বলুন? ত্বকে ব্রণ
হলে ব্রণের উপর টুথপেস্ট
লাগিয়ে ঘুমিয়ে যান।
সকালে উঠে দেখবেন ব্রণের আকৃতি ছোট
হয়ে গিয়েছে।

*অনেক সময় রান্নার মশলা লেগে নখ
হলুদ হয়ে যায়। নখে টুথপেস্ট
লাগিয়ে ঘষে নিন। নখের হলুদ ভাব
চলে যাবে।

*পুরানো রূপার গয়নার চাকচিক্য
বাড়াতে টুথপেস্ট কার্যকরী।
পুরানো রূপার গয়নায় টুথপেস্ট
লাগিয়ে টুথব্রাশ দিয়ে ঘষুন। এরপর
পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন



দাগহীন দাঁতঃ

 এভাবে দিনে দু’বার ব্রাশ করুন। লবণের
দানা স্ক্রাবার হিসেবে দাঁত ব্রাশ করার সময় পেস্টের সাথে কয়েকদানা লবণ
ছিটিয়ে দিন।কাজ করে।
এছাড়া প্রতিবার ব্রাশের পরে তেজপাতা দিয়ে দাঁতের
উপরে ঘসলে দাঁতের দাগ দূর হয়।

মিনি পোস্টগুলো অবহেলা করবেন না। 
লাইক দিয়ে একটিভ থাকুন।


 

বয়সের ছাপ দূর করতে কমলা


বয়স ত্রিশের কোঠার কাছাকাছি এসে গেলেই আমাদের ত্বকে বার্ধক্যের নানা উপসর্গ দেখা দিতে থাকে। এ নিয়ে দুশ্চিন্তার আর শেষ থাকেনা।আসলে বয়স যতো বাড়তে থাকে আমাদের ত্বকে একদিকে যেমন ক্ষতিকর ফ্রি-রেডিক্যাল বেড়ে যায়, তেমনি উপকারী এন্টিঅক্সিডেন্ট কমতে থাকে। এর থেকে বাঁচতে হলে প্রয়োজন এন্টিঅক্সিডেন্ট, যা কমলায় পাওয়া যায়।

এর জন্য আপনি ২ টেবিল চামচ কমলার রস, ১ টেবিল চামচ মধু, চার টেবিল চামচ বেশন দিয়ে একটি মিশ্রণ তৈরী করুন। এই রকম মিশ্রণ বানিয়ে সপ্তাহে ৪-৫ বার মুখে ব্যবহার করুন। এই প্যাকটি আপনার ত্বকের তারুণ্য ফিরিয়ে আনতে সহায়তা করবে। এর থেকে কমলার এসেনশিয়াল অয়েল আপনার ত্বকে প্রবেশ করবে, যা ত্বকের কোলাজেন নামক একটি পদার্থ তৈরীতে সহায়তা করে। ফলে আপনার ত্বক হবে তারুণ্য দ্বীপ্ত কোমল, মসৃন



বমি ও বমিবমি ভাবের ঘরোয়া চিকিৎসা !

১. ১০ মিলি আদার রসের সাথে সম পরিমাণ পেঁয়াজের রস মিশিয়ে খেলে বমিবমি ভাব বা বমি বন্ধ হয়।
২. কমলার খোসা শুকিয়ে পিষে নিয়ে তা মধুর সাথে চেটে খেলে দ্রুত বমি বন্ধ হয়।
৩. ৬ গ্রাম পুদিনা, ২ গ্রাম সৌন্ধব লবণ ঠান্ডা পানিতে গুলে পান করলে দ্রুত বমি বন্ধ হয়।
৪. লেবু মাঝামাঝি কেটে তার মধ্যে গোল মরিচের গুঁড়া এবং সৌন্ধব লবণের গুঁড়া ছিটিয়ে চুষে খেলে বমি বন্ধ হয়।
৫. মধুর সাথে তুলসীর রস মিশিয়ে এক চামচ খেলেও বমি কমে যায়।
৬. একটা লেবুর রস আর এক চামচ চিনি দু'চামচ পানিতে মিশিয়ে রোগিকে এক ঘন্টা অন্তর অন্তর সেবন করালে বমি বন্ধ হয়।
৭. মোটা মোটা পরিষ্কার ছোলা রাতে ভিজিয়ে সকালে ঐ ছোলা ভেজানো পানি খেলেও বমি বন্ধ হয়ে যায়।




   চুল ঝরঝরে 

সপ্তাহে একদিন অন্তত ডিমের কুসুমের সঙ্গে ২ টেবিল চামচ অলিভ অয়েল মিশিয়ে পুরো চুলে লাগান। এক ঘণ্টা পর চুল শ্যাম্পু করে নিন।চুল সুন্দর হবে। আরো হবে ঝরঝরে



সেক্স বাড়ানোর ঔষধনিয়ে কিছু কথা -->

যারা সহবাসেরপূর্বে বা শখের বসের যৌন শক্তি বাড়ানো ঔষধ ইয়াবা অথবা ট্যাবলেট সেবন
করেন.তাদের জন্য একটি পরামর্শ সেক্স বাড়ানো জন্য যৌন শক্তি বর্ধক ট্যাবলেট
খাবেন না । এই ঔষধ পুরুষ কে ধ্বজভংগ রোগের দিকে ঠেলে দেয় কিছু ক্ষেত্রে মানুষকে মৃত্যুর ঠেলে দেয় । যৌন
শক্তি বাড়ানো জন্য কোন ঔষধ সেবনের প্রয়োজন নেই.গবেষনায়দেখা যায় পুরুষের পুষ্টিকর খাদ্য খাওয়ার
মাধ্যমেযৌন শক্তি পেয়ে থাকে । এক্ষেত্রে গাভীর খাঁটি দুধ ও ডিমের ভূমিকা অসাধারন।
যৌনশক্তি বাড়ানোর ক্ষেত্রে ইউনানী ঔষধগুরুত্বপূর্ন ভূমিকা রাখতে পারে । এজন্য অবশ্যই অভিঞ্জ ও
রেজিষ্টার্ড হাকীমের পরামর্শ নিতে হবে । মনে রাখবেন রাস্তা ফুটপাতে থেকে যৌন শক্তিবর্ধক ট্যাবলেট
কেনাথেকে বিরত থাকুন । যৌন বাড়ানোর কোন মন্ত্র আছে বলেবিঞ্জান বিশ্বাস করেন না।
যারা আপনাকে মন্ত্র পড়ে সহবাসের পরামর্শ দেয়.নিছক আপনার সাথে প্রতারনা করে মাত্র। তাই
যে কোন চিকিত্সা বা পরামর্শের জন্য রেজিষ্টার্ড চিকিত্সকের পরামর্শ নিন !
[বেশ কিছুদিন পেজের পোষ্টে লাইক না দিলে আপনার হোমপেজে এই পেজের পোষ্ট যবেনা। তখন
আপনাকে বারবার পেজ খুজে বের করে পেজে ঢুকে পোষ্ট পড়তে হবে। তাই নিয়মিত এই পেজের আপডেট পেতে লাইক
দিবেন। ধন্যবাদ]




১০টি শারীরিক কৌশল!

১) অনেক সময় গলার ভেতরে এমন জায়গায় হঠাৎ চুলকানী শুরু হয় যে, কি করবেন দিশেহারা হয়ে পড়েন।
ওই জায়গাটি চুলকে নেওয়ার কোন উপায়ও থাকে না। কিছু সময় কানে টান দিয়ে ধরে রাখুন দেখবেন
চুলাকনী উধাও।
২) অনেক শব্দের মধ্যে বা ফোনে কথা স্পষ্ট শুনতে পারছেন না? কথা শোনার জন্য ডান কান ব্যবহার
করুন। দ্রুত কথা শোনার জন্য ডান কান খুব ভাল কাজ করে এবং গান শোনার জন্য বাম কাজ উত্তম।
৩) বড় কাজটি সারবেন, কিন্তু আশে পাশে টয়লেট নেই? আপনার ভালবাসার মানুষের কথা ভাবুন।
মস্তিষ্ক আপনাকে চাপ ধরে রাখতে সাহায্য করবে।
৪) পরের বার ডাক্তার যখন আপনার শরীরে সুঁই ফুটাবে তখন একটি কাশি দিন। ব্যথা কম লাগবে।
৫) বন্ধ নাক পরিষ্কার বা সাইনাসের চাপ থেকে মুক্তি পেতে মুখের ভেতরের তালুতে জিহ্বা চেপে ধরুন।
এরপর দুই ভ্রুর মাঝখানে ২০ সেকেন্ড চেপে ধরুন। এভাবে কয়েক বার করুন, দেখুন কি হয়!
৬) রাতে অনেক খেয়ে ফেলেছেন এবং খাবার গলা দিয়ে উঠে যাচ্ছে। কিন্তু ঘুমাতেও হবে। বাম কাত
হয়ে শুয়ে পড়ুন। অস্বস্তি দূর হবে।
৭) কোন কিছুর ভয়ে বিচলিত? বুক ধক ধক করছে? বুড়ো আঙ্গুল নাড়তে থাকুন এবং নাক দিয়ে পেট
ভারে সজোরে শ্বাস নিন এবং মুখ দিয়ে ছাড়ুন। স্বাভাবিক হয়ে যাবেন।
৮) দাঁত ব্যথা? এক টুকরো বরফ হাতের বৃদ্ধাঙ্গুল এবং তর্জনীর মাঝামাঝি জায়গার উপর
তালুতে ঘষুন। দেখুনতো ব্যথা কমলো কিনা!
৯) কোন কারণে চোখের সামনে পুরো পৃথিবী ঘুরছে? কোন শক্ত জায়গা বা জিনিসে কান সহ
মাথা চেপে ধরুন। পৃথিবী ঘোরা বন্ধ করে দেবে।
১০) নাক ফেটে রক্ত পড়ছে? একটুখানি তুলা নাকের নিচ বরাবর যে দাঁত আছে তার মাড়ির পেছনে বসান,
এবার জোরে ওখানে তুলাটি চেপে ধরুন। রক্তপাত বন্ধ!


বেশি রোদ, বেশি ক্ষতি

সূর্যের অতি বেগুনি রশ্মি মানুষের ত্বকের অনেক পরিবর্তন করে৷ তবে সানক্রিম সূর্যের বিকিরণ থেকে ত্বককে রক্ষা করে ঠিকই, তবে তারও সময়সীমা রয়েছে৷ ত্বক যখন পুড়ে যায়, ধরে নিতে হবে যে ত্বকে অনেক বেশি সূর্যের কিরণ লেগে গেছে৷

ওরাল সেক্স (Sexual oralism)

মুখ গহ্ববর দ্বারা বিপরীত লিঙ্গ বা সমলিঙ্গের যৌনাঙ্গ চোষন (Sucking) বা লেহন করে যে যৌন ক্রিয়া সম্পন্ন করা হয় তাকে ওরাল সেক্স বলা হয়। এটা দু ধরনেরযখন পুরুষ সঙ্গীটি স্ত্রী সঙ্গীর যৌনাঙ্গ চোষন করে পুর্ন যৌন পরিতৃপ্তি গ্রহন করে তাকে কনিলিঙ্গাস (Connillingus) বলা হয়। আবার স্ত্রী সঙ্গীটি পুরুষ সঙ্গীর যৌনাঙ্গ চোষন করে পুর্ন যৌন পরিতৃপ্তি গ্রহন করলে তাকে ফেলাসিও (Fellatio) বলা হয়। যুগলদের মধ্যে কনিলিঙ্গাস এবং ফেলাসিও ই যখন চরম যৌন পরিতৃপ্তি লাভের একমাত্র ক্রিয়া হিসেবে ব্যবহৃত হয় তখন তা অস্বাভাবিক যৌনাচার হিসেবে গন্য করা হয়। যখন কোনো যুগল মুল রতি ক্রিয়া বা মিলনের পূর্বে Love play এর অংশ হিসেবে ওরাল সেক্স করে তখন তা স্বাভাবিক যৌনাচার হিসেবেই গন্য করা হয়।

 

শিশুর পুষ্টি, বৃদ্ধি ও বিভিন্ন অসুখ-বিসুখ


নবজাতকের নাভীর ইনফেকশন

নবজাতকের নাভী দিয়ে যদি সাদা দুর্গন্ধযুক্ত পুজের মতো কিছু আসে তখন ধরে নিতে হয় বাচ্চার নাভীতে ইনফেকশন বা Umbilical sepsis হয়েছে। এ অবস্থায় নাভীর চারপাশটা লালচে হয়ে যায় এবং নাভী দিয়ে ক্রমাগত ভাবে স্রাব আসতেই থাকে।
স্টেফাইলোকক্কাস নামক এক ধরনের ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমনে এমনটি হয়ে থাকে, নাভীর স্রাবের কালচার পরীক্ষা করে এটি নিশ্চিত হওয়া যায়।
অনেক সময় নাভী থেকে এটি লিভারে গিয়ে সমস্ত শরীরে ছড়িয়ে পরতে পারে তখন জন্ডিস, লিভারের ফোড়া সহ ভয়াবহ অবস্থার আবির্ভাব হতে পারে। কখনো কখনো এ ইনফেকশন হাড় অথবা অন্য অঙ্গেও ছড়িয়ে পরতে পারে। তাই সন্দেহ হবার পর দ্রুত শিশুটিকে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাওয়া উচিত।
জন্মের পরপরই নাভীর যত্ন নিলে এবং পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখলে এই রোগ প্রতিরোধ করা সম্ভব। রোগটি হয়ে গেলে শিশুরোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ অনুযায়ী চিকিৎসা নিলে এ রোগ ভালো হয়ে যায়। রোগটি অল্পমাত্রায় হলে নাভীটি স্পিরিট দিয়ে ঘন ঘন পরিস্কার করতে হয় সেই সাথে পরামর্শ অনুযায়ী এন্টিবায়োটিক পাউডার প্রয়োগ করতে হয়। রোগটি ছড়িয়ে পরলে হাসপাতালে ভর্তি করে শিরায় এন্টিবায়োটিক ইনজেকশন দেয়া সহ অন্যান্য চিকিৎসা করতে হয়। {plusone}

ডায়াবেটিস (Diabetes)

বাংলায় বহুমুত্র রোগ বললে যেটি খুব সহজেই বোঝা যায় ইংরেজী ডায়াবেটিস(Diabetes) দিয়ে কিন্ত ঠিক তা বোঝায়না।ডায়াবেটিস রোগটি আবার দুই প্রকার -ডায়াবেটিস মেলাইটাস (Mellitus)এবং ডায়াবেটিস ইন্সিপিডাস (Insipidus)। দুটি রোগেই যদিও বহুমুত্র হতে পারে ডায়াবেটি্স ইনসিপিডাস হলে কিন্ত রক্তে সুগার বাড়ে না একটুও। মস্তিস্ক নিঃসৃত হরমোনের অভাবে অথবা কিডনি সমস্যার কারনে এমনটি হতে পারে।
যাই হোক এই অধ্যায়ের সমস্ত আলোচনা কিত্ন আমরা ডায়াবেটিস মেলাইটাস নিয়েই করবো।
ডায়াবেটিস মেলাইটাসও কিন্ত আবার দুই প্রকার - টাইপ ওয়ান এবং টাইপ টু। খুব সহজে বুঝতে গেলে যে ডায়াবেটিস শিশুকাল বা বাল্যকাল থেকেই শুরু হয় তা হলো টাইপ ওয়ান আর যেটা ৪০ বছরের কাছা কাছি শুরু হয় সেটা টাইপ টু। যাই হোক রোগের কারন ভিন্ন এবং চিকিৎসায় কিছুটা পার্থক্য থাকলেও এই দুই ধরনের রোগের কিন্তু অনেক অনেক মিল আছে।
ডায়াবেটিস হলে যে রক্তে সুগার এর মাত্রা বেড়ে যায় এটা বোধহয় সবারই জানা যদিও রক্তের সুগার এর মধ্যে শুধু গ্লুকোজ (Glucose) এর মাত্রাই এ রোগে বেশী পাওয়া যায়।গ্লুকোজ হলো আমাদের দেহের প্রায় সকল কোষের শক্তির উৎস। হিসাব অনুযায়ী ডায়াবেটিস হলে কিন্ত আমাদের শরীরের কোষগুলো আরো সতেজ আর শক্তিশালী হয়ে উঠার কথা, তাহলে এমনটি না হয়ে উল্টোটি হয় কেনো?
আমাদের রক্তে যে গ্লুকোজ থাকে তা আমাদের দেহের খুব কম কোষই সরাসরি ব্যবহার করতে পারে, গ্লুকোজকে কোষে ঢোকানোর জন্য রয়েছে একটি হরমোন আর তার নাম হলো ইনসুলিন (Insulin) যেটি আমাদের অগ্নাশয় (Pancrease) একক ভাবে প্রস্তত করে থাকে। আর এই অগ্নাশয় যখন যথেষ্ট ইন্সুলিন উৎপাদন করতে পারেনা দেহকোষে তখন গ্লুকোজ ঢুকতে পারেনা ফলে রক্তে গ্লুকোজ এর মাত্রা যায় বেড়ে। একসময় কিডনি এই বাড়তি গ্লুকোজ প্রসাবের সাথে বের করে দিতে বাধ্য হয়,ফলে প্রসাব হয় ঘন ঘন আর তাতে থাকে সুগার। এবার নিশ্চয়ই বোঝা যাচ্ছে ডায়াবেটিস হলে কেনো রক্তে গ্লুকোজ বেড়ে যায় আর কেনই বা ইনসুলিনের অভাবে ডায়াবেটিস হয়।
কোষে গ্লুকোজ ঢুকতে না পারায় কোষ শক্তির যোগান পায়না, এজন্য ডায়াবেটিস এর রোগী খুব সহজেই ক্লান্তি আর দূর্বলতা অনুভব করে। যথেষ্ট খাওয়া সত্ত্বেও ঘন ঘন ক্ষুধা লাগে, ওজন কমে যায়, বার বার প্রসাব হবার কারনে পানি পিপাসাও লাগে অনেক।এছাড়াও ক্ষত শুকাতে দেরী হওয়া, খোশ-পাচড়া, ফোড়া প্রভৃতি চর্মরোগ দেখা দেয়া, চোখে কম দেখা ইভ্যাদি নানা উপসর্গ গুলো সবই ডায়াবেটিস রোগের লক্ষণ।
অগ্নাশয়ের ইনসুলিন উৎপাদনকারী কোষগুলো খুবই কম থাকলে বা না থাকলে টাইপ ওয়ান ডায়াবেটিস হয়। ফলে এই রোগের চিকিৎসা একটিই, রোগীকে প্রয়োজন অনুযায়ী ইনসুলিন দেয়া। টাইপ টু ডায়াবেটিস হলে অগ্নাশয় প্রয়োজনের তুলনায় যথেষ্ট উতপাদন করতে না পারলেও কিছু ইনসুলিন ঠিকই উৎপাদন করতে পারে। তাই টাইপ টু ডায়াবেটিস এর চিকিৎসা কিন্ত কিছুটা ভিন্ন।
টাইপ ওয়ান ও টাইপ টু দুটি রোগের কারণই মুলত বংশগত, তারপরও কিছু কিছু কারনে টাইপ টু ডায়াবেটিস এর প্রকোপ একটু বেশী দেখা যায়। এর মধ্যে আছে শারীরিক পরিশ্রম না করা (Sedentary lifestyle), অতিরিক্ত ওজন (Over weightবা মেদবহুল (Obese)শরীর, ধুমপান করা, হাইপারটেনশন বা উচ্চ রক্তচাপ, রক্তে বেশী চর্বি বা কোলেস্টেরল (Cholesterol)থাকা, চল্লিশের উপড় বয়স হয়ে যাওয়া ইত্যাদি।
ডায়াবেটিস রোগটি কখনো পুরোপুরি ভালো হয়ে যাবেনা তবে ঠিকমতো নিয়মকানুন ও নির্দেশ মেনে চললে এটা সম্পুর্ন নিয়ন্ত্রনে রাখা সম্ভব। খাদ্যাভ্যাস নিয়ন্ত্রন করা, নিয়মিত কায়িক পরিশম বা ব্যায়াম করা, প্রয়োজনীয় ঔষধ সেবন এবং পর্যাপ্ত জ্ঞান ও শৃংখলা বোধ এই চারটি জিনিষের সমন্ময় ঘটালে ডায়াবেটিস রোগ পুরোপুরি নিয়ন্ত্রনে রাখা সম্ভব।
১। খাদ্যাভ্যাস- ডায়াবেটিস বিশেষজ্ঞের নির্দেশ মতো তৈরী করা খাদ্যতালিকা অনুযায়ী খাবার খেতে হবে। সহজ কথায় চিনি বা মিষ্টি জাতীয় খাবার খওয়া যাবেনা, শর্করা জাতীয় খাবার খেতে হবে পরিমিত,ঘি-মাখন-চর্বি-ডালডা জাতীয় খাবার পরিহার করতে হবে যদিও তেল খেতে অত বাধা নেই। আশযুক্ত খাবার, শাক-সব্জি, টক ফল ইত্যাদি বেশী পরিমানে দিয়ে খাদ্য তালিকা তৈরী করলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রুন করা সহজ হবে। একবারে বেশী না খেয়ে অল্প অল্প করে অনেক বারে তালিকার খাদ্যটি খাওয়া উচিত সেই সাথে ওজন কমানোর চিন্তাটাও মাথায় রাখতে হবে।
২। হাটলে দুই পাশের হাতই নড়াচড়া (swing) করে এভাবে নিয়মিত নুন্যতম ৪৫ মিনিট হাটতে হবে। হঠাৎ করে একসাথে বেশী পরিশ্রম করে ফেলা ঠিক হবেনা।
৩। নিয়ম মাফিক ডায়াবেটিস বিশেষজ্ঞের লিখে দেয়া অসুধ বা ইনসুলিন ব্যবহারে বিশেষ সতর্ক থাকতে হবে, কোনোভাবেই এর অন্যথা করা ঠিক হবেনা।
৪। শৃংখলাবোধ ডায়াবেটিস রোগীর জীবনকাঠি তাই একে আকড়ে ধরে রাখা চাই।ডায়াবেটিস রোগ সম্বন্ধে জানার ব্যবস্থা চারপাশে অনেক, তাই রোগের কি অবস্থায় কি করতে হয় তা জেনে নিতে হবে এবং সে অনুযায়ী তরিত ব্যবস্থা গ্রহন করতে হবে।

ডায়াবেটিস রোগীর জন্য উপদেশ

সুস্থ্য মানুষের চেয়ে ডায়াবেটিক রোগীদের সবকিছুতেই ঝুকি একটু বেশী থাকে। তাই সুস্থ্যতার জন্য এদের নিজের সম্পর্কে একটু বাড়তি যত্নবান হওয়া আবশ্যক। নিম্নলিখিত উপদেশগুলো তাদের বাড়তি নিরাপত্তা প্রদান করবে বলে ধরে নেয়া যায়।
· খাদ্য তালিকা অনুযায়ী বিধি নিষেধ মেনে খাবার খেতে হবে।
· নিয়মিত কিছু কায়িক পরিশ্রম / ব্যয়াম করতে হবে।
· নির্দেশ অনুযায়ী রক্ত বা প্রস্রাবে সুগার এর মাত্রা মেপে দেখতে হবে এবং কম-বেশী হলে চিকিৎসকের স্মরণাপন্ন হতে হবে।
· ডায়াবেটিস বিশেষজ্ঞের পরামর্শ ব্যতীত এ রোগের চিকিৎসা কখনোই বন্ধ রাখা যাবেনা।
· পায়ের বিশেষ যত্ন নিতে হবে যেমন খালি পায়ে হাটা যাবেনা, নরম জুতা পরতে হবে, নিয়মিত নখ কাটতে হবে, সবসময় পা পরিস্কার রাখতে হবে, কোনো আঘাত পেলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
· দাঁতের বিশেষ যত্ন নিতে হবে, যেমন দুই বেলা ব্রাশ ও টুথপেষ্ট দিয়ে দাত মাজা,  ব্রাশ করার পর ১ মিনিট ধরে দাঁতের মাড়ি মালিশ করা, পান-জর্দা-সুপারি-চুন-তামাক এসব ব্যবহার না করা ইত্যাদি।দাঁতে কোনো সমস্যা হলে সাথে সাথেই দাঁতের ডাক্তার কে দেখিয়ে নিবেন এবং প্রতি বৎসর কমপক্ষে একবার তার স্মরনাপন্ন হলে উপকৃত হবেন।
· শরীরে কোনো ছোটো-খাটো কাটা ছেড়া হলেও চিকিৎসককে জানাতে হবে এবং তার প্রতি বিশেষ যত্নবান হতে হবে।

মৃগী বা এপিলেপ্সি (Epilepsy)

অনেকে একে খীচুনি রোগ হিসেবেও চিনে থাকে। মৃগী বা এপিলেপ্সি রোগ হলে হঠাৎ করে ঘন ঘন খীচুনি হয়। আমরা এবং আমাদের সমস্ত অংগ প্রতংগ মস্তিস্কের নির্দেশ অনুযায়ী চলিআমাদের অজান্তেই মস্তিস্ক ক্রমাগতভাবে এই নির্দেশ পাঠাতে থাকে। কোনো কারণে মস্তিস্ক ঠিক মতো নির্দেশ না পাঠিয়ে যদি পরিবর্তিত,মাত্রাতিরিক্ত বা শৃংখলা বিহীন ভাবে নির্দেশ পাঠাতে থাকে তখন এই রোগটি দেখা দেয়।
শিশু ভূমিষ্ঠ হবার সময় যদি মাথায় আঘাত পায়তীব্র শ্বাস কষ্ট বা ইনফেকশন হয় তাহলে সেসব ক্ষেত্রে এপিলেপ্সি রোগের সূত্রপাত হতে পারে। বড়দের ক্ষেত্রে মাথায় আঘাত পাওয়াঅসুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া, এলকোহল অথবা মস্তিস্কের রক্তনালীর
কিছু 
রোগের (Aneurysmকারনে এপিলেপ্সি রোগ
হতেপারে তবে অনেক সময়ই এ রোগের সঠিক 
কারন জানা যায়না। স্নায়ুরোগ বিশেষজ্ঞ বা নিউরোলজিস্টের পরামর্শ অনুযায়ী এ রোগের চিকিৎসা করানো উচিত।


জিমে না গিয়ে ওজন কমান

মেদবিহীন ছিপছিপে সুন্দর স্বাস্থ্য সবার প্রিয়। আর সবাই চায় নিজের সুগঠিত, সুগড়ন ও কার্যক্ষম শরীর। এই প্রত্যাশা পূরণ সহজ কাজ নয়। রসনার সংযম এবং নিয়মিত শরীর চর্চায় ব্রত শক্ত মনের মানুষই স্বাভাবিক ওজন ও সুস্থ শরীর নিয়ে বেঁচে থাকেন। এজন্য অহেতুক জিমে যাওয়ার প্রয়োজন নেই। এজন্য খুব বেশি প্রচেষ্টা বা জোগাড় যন্ত্রের প্রয়োজন পড়ে না। কতিপয় বদঅভ্যাস ত্যাগ করতে হবে। প্রথমত: মিষ্টি ও ভাজাভূনা খাবেন না। ভাত খাবেন নামমাত্র। দ্বিতীয়ত: প্রতিদিন জীবনযাপনে যাই ঘটুক নিজে নিজে একটু ব্যায়াম করে নেবেন। সেটা হাটা, সাঁতার বা ফ্রি হ্যান্ড যাই আপনার পছন্দ। এ দু’টি হলো জিমে না গিয়ে ওজন কমানোর প্রাথমিক ও অন্যতম শর্ত।
মোটা হওয়ার কারণ:
·ওজন বাড়ার অন্যতম কারণ অতিরিক্ত খাওয়া। নিয়ম অনুযায়ী খাবেন
· শরীরে খাবারের প্রয়োজন নেই, অথচ ভালো খাবার দেখলে খেতে ইচ্ছে করে বলে অনেকে সারাদিন খান। এতে শরীরে মেদ জমে
· সারাদিন শারীরিক পরিশ্রমের অভাবে ওজন বাড়ে
· বংশগত কারণে মোটা হওয়ার প্রবণতা থাকে। খাবার যখন কম থাকে, জিন শরীরে ফ্যাটের স্টোরেজ বাড়িয়ে দেয়। এরপর খাবার বেশি খেলে এবং শক্তি ক্ষয় কম হলে ওজন বেড়ে যায়
স্বাভাবিক উপায়ে ওজন কমানো:
ওজন কমানোর সবচেয়ে ভালো প্রাকৃতিক উপায় হলো-এমন ডায়েট মেন চলুন যাতে বেশি পরিমাণে কমপ্লেক্স কার্বোহাইড্রেট এবং ফাইবার আছে, মাঝারি পরিমাণে প্রোটিন আছে এবং কম পরিমাণে ফ্যাট আছে। যারা অফিসে যান তারা ব্রেকফাস্টটা খেয়ে দুপুরের খাবার অফিসে যাওয়ার সময় লাঞ্চ হিসেবে নিয়ে যান।
ডায়েট টিপস:
· আলু, কুমড়ো, কাঁচা কলা খাবেন না
· ছাঁকা তেলে ভাজা কিছু খাবেন না; তা সে বেগুন হোক বা পটল ভাজা হোক
· অ্যালকোহল, এনার্জি ড্রিংকস, হেলথ ড্রিংকস, সফট ড্রিংকস খাবেন না
· চিনি একেবারেই খাবেন না, প্রয়োজনে সুইটনার চলতে পারে
· গরু, খাসির মাংস ও চিংড়ি মাছ মোটেই খাবেন না
· আপনার পছন্দ-অপছন্দের খাবার, বর্তমান খাদ্যাভ্যাস ও বাজেটের ওপর ভিত্তি করে ডায়েট চার্ট তৈরি করুন
· কোন ধরনের কাজের সঙ্গে আপনি যুক্ত তার ওপর নির্ভর করবে আপনার পারফেক্ট ডায়েট
· আপনার ডায়েটে যাতে ফাইবার, ভিটামিন, মিনারেল এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট যথেষ্ট পরিমাণে থাকে সেদিকে লক্ষ্য রাখুন
· প্রতিদিনের ডায়েটে হোলমিল এবং বিভিন্ন ধরনের দানাশস্য রাখুন, কমপ্লেক্স কার্বোহাইড্রেট, যেমন-হোলহুইট ব্রেড, রাইস, ওটস মিল, হোল মিল পাস্তা, বার্লি, ব্রাউন রাইস খান প্রয়োজন মতো
· ওবেসিটি কমিয়ে সুস্থ থাকার জন্য প্রতিদিন যথেষ্ট পরিমাণে ফল ও শাক সবজি খান
অসময়ে খিদে পেলে করণীয়:
অসময়ে খিদে পেলে হেলদি স্ন্যাক্স খান। লাঞ্চ এবং ডিনারের মাঝে ৩/৪ ঘন্টা পর পর হেলদি স্ন্যাক্স খেতে পারেন। খুব খিদে পেলে শুকনো রুটি বা টোস্ট বিস্কুট খান। ফলও খেতে পারেন। লাউ বা অন্য সবজির রস বা সিদ্ধ শাক সবজি খেতে পারেন। বেশি রাতে কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবার কম খাবেন।
বাড়িতে ব্যায়াম পদ্ধতি:
· বাড়িতে কিছু ফ্রি হ্যান্ড ব্যায়াম করুন। এতে সময় একেবারেই কম লাগে। অথচ আপনি ফিট থাকতে পারবেন এবং অতিরিক্ত মেদ শরীরে জমা হবে না
· বাড়িতে যতো সময় অবস্থান করবেন সেই সময়ে শুয়ে বা বসে না থেকে হাঁটা চলাও যে ব্যায়াম তা অনেকে ভাবেন না। আপনার বাড়িতে যদি সিড়ি থাকে তাহলে কারণে অকারণে দৈনিক কয়েকবার ওঠানামা করতে পারেন। আরো ভালো হয় যদি হালকা জিনিসপত্র বহন করা যায়। এত আপনার মাসল টোনড হবে
· বিভিন্ন ধরনের স্ট্রেচিং ব্যায়াম, যেমন- আর্ম স্ট্রেচিং বা লেগ লিফটিং করতে পারেন। এতে রক্ত সঞ্চালন ভালো হয় এবং বিভিন্ন অংশের ফ্যাট ঝরে যায়
· হার্ট সুস্থ রাখার জন্য জগিং খুব ভালো ব্যায়াম। বাড়ির যে কোনো জায়গায় আপনি স্পট জগিং করতে পারেন। তবে এ সময় উপযুক্ত জুতো পরবেন, যাতে পায়ের ওপর স্ট্রেস না পড়ে
· দু’হাত সোজা করে উপরের দিকে রাখুন। পায়ের পাতার উপর ভর দিয়ে যতোটা পারেন লাফান। কোনো বিরতিছাড়া এভাবে এক মিনিট লাফাবেন। এক মিনিট ব্রেক দিয়ে দিয়ে দুই থেকে তিনবার সাইকলটা রিপিট করুন।
· পুশ-আপ্স করতে পারেন। এই ব্যায়াম আবার চেস্ট ও আর্ম মাসলের শক্তি বাড়ায়। মাটির ওপর উল্টো হয়ে শুয়ে পড়ুন। তারপর দুই হাতের সাহায্যে মাটি থেকে ওঠার চেষ্টা করুন। লক্ষ্য রাখবেন যেন আপনার হাটুতে ভাজ না পড়ে। শুরুতে ৫ থেকে ১০ টা পুশ আপ্স দেয়ার চেষ্টা করুন। সকালে এক সেট এবং বিকালে এক সেট পুস-আপ্স করতে পারেন।
· পেটের মাসলের স্ট্রেংথ বাড়ানোর জন্য সিট-আপস জাতীয় ব্যায়াম করতে পারেন। মাটিতে সোজা হয়ে শুয়ে পড়ুন। দুই হাটু ভাজ করুন। ডান হাত বা কাঁধের ওপর এবং বা হাত ডান কাঁধের ওপর রাখুন। এরপর আস্তে আস্তে শরীরের ওপরের অংশ মাটি থেকে তোলার চেষ্টা করুন। মাঝামাঝি অবস্থানে যেতে কয়েক সেকেন্ড থাকুন। পরে ক্রমশ শোয়া অবস্থায় ফিরে যান। শুরুতে ৩ থেকে ৫টা সিট আপ্স যথেষ্ট হবে।
বিশেষ সতর্কতা:
· কোমল পানীয় একেবারেই খাবেন না। কোল্ড ড্রিংস মোটা হওয়ার আশঙ্কা ৬০ ভাগ বাড়িয়ে দেয়
· কখনো স্টার্ভেশন ডায়েট করবেন না। এই পদ্ধতিতে দ্রুত রোগা হওয়া গেলেও শরীর প্রয়োজনীয় খাবারের অভাবে নানা সমস্যা দেখা দেয়
· রাতে পর্যাপ্ত ঘুমানোর চেষ্টা করুন
· বার বার অল্প করে খাবেন। লাঞ্চ বা ডিনারের সময় অবশ্যই কম খাবেন।   ++মাংস এবং
কোলন ক্যান্সার
যারা সপ্তাহে পাঁচ বেলা গরু, খাসি    কিংবা ভেড়ার মাংস খান, এক গবেষণণায় দেখা গেছে, তাদের কোলন ক্যান্সারে আক্রান্ত হবার ঝুঁকি বেশি থাকে। এসব পশুর মাংসকে বলা হয় রেডমিট। রেডমিটকে চিকিত্সা বিজ্ঞানের ভাষায় বলা হয় অন্যতম ক্যান্সারপ্রবণ খাবার বা কারসিনোজেন। তাই বলে মাংস খাওয়া বাদ দিলেই তো চলবেনা। মাংস খাওয়া যাবে, তবে পরিমিত। সপ্তাহে এক/দুই বেলাই যথেষ্ট। আর যদি বেশি করে শাক সবজি খান তাহলে মাংসের এই ঝুঁকি অনেকেটাই প্রশমিত হয়।


**************************
শনিবার, ৩১ মার্চ ২০১২, ১৭ চৈত্র ১৪১৮
দৈনিক ইত্তেফাক, ৩১ মার্চ ২০১২।

      কিডনি রোগীরা যা খাবেন না

পানি খেতে হবে পরিমিত। প্রতিদিনের পস্রাবের পরিমানের ওপর নির্ভর করবে কতটুকু পানি রোগী খেতে পারবেন।

০ কিডনি রোগী মাছমাংসদুধডিম প্রভৃতি প্রাণীজ আমিষ সীমিত পরিমাণে খাবেন। রোগীর রক্তের ক্রিয়েটিনিনশরীরের ওজনডায়ালাইসিস করেন কিনা,করলে সপ্তাহে কয়টা করেন তার ওপর নির্ভর করবে প্রতিদিন কত গ্রাম প্রোটিন খাবেন তার পরিমাণ।

০ উদ্ভিজ প্রোটিন বা দ্বিতীয় শ্রেণীর প্রোটিন যেমন-ডালমটরশুটিসিমেরবীচি যে কোন বীচি ডায়েট চার্টে থাকবে না।

০ যে সমস্ত- সবজি খাবেননা: ফুলকপিবাধাকপিগাজরঢেঁড়শশিমবরবর্টি,কাঠালের বীচিশীমের বীচিমিষ্টি কুমড়ার বীচিকচুমূলা এবং পালংপুঁইশাক ইত্যাদি।

০ ফলের ক্ষেত্রেও আছে নানান রকম নিষেধাজ্ঞা। প্রায় সব ফলেই সোডিয়াম পটাশিয়ামের আধিক্য আছে বলে কিডনি রোগীদের জন্য ফল খাওয়া একটা ঝুঁকিপূর্ণ কাজ। বিশেষ করে আঙ্গুরকলাডাবের পানি। অল্প পরিমাণে আপেল এবং পেয়ারা তুলনামূলক নিরাপদ।


৫টি ঘরোয়া নিরাময়!
১. হাসতে গিয়েও হাসতে পারছেন না? একটু সরিষার তেল এবং লবন মিশিয়ে দাঁতে লাগান, দাঁত হবে ঝকঝকে সাদা আর মজবুত।

২. নিজেকে কিছুটা স্বাধীনতা দিন! খালি পায়ে দৌঁড়াতে ভাল লাগে? এটি আপনার পা কে শক্তিশালী এবং সচল করে।

৩. জ্বর হলে বেশি করে পানীয় এবং ফলের রস যেমন, বেদানা বা কমলার রস খান।

৪. খাওয়ায় অরুচি ও ক্ষুধা মন্দা হলে ১-৩ গ্রাম আদা খোসা ছাড়িয়ে মিহি করে কুচিয়ে নিন
এবং তার সাথে লবন এবং কয়েক ফোটা লেবুর রস মিশিয়ে প্রতিদিন একবার করে ৭-৮ দিন খান।

৫. মধু খাওয়ায় সতর্কতা। নিন্ম লিখিত খাবারের সাথে মধু খাওয়া যাবে না।
ক) মধুর সাথে কোন গরম খাবার।
খ) সমান মাত্রায় মধু এবং ঘি।
গ) মধু ও ঘোল।
ঘ) মধু ও খিচুরী।
 


জেনে নিন ব্যক্তিত্বহীন পুরুষের ৬টি লক্ষণ!

এমন পরিস্থিতিতে অনেকেই পড়েছেন হয়তো। আমাদের আশেপাশে এমন অনেক পুরুষ আছেন যাদেরকে এক কথায় ব্যক্তিত্বহীন উপাধি দিয়ে দেয়া যায়। এ ধরণের পুরুষদের থেকে যতটা দূরত্ব বজায় রাখা যায় ততই ভালো। কারণ এমন মানুষেরা বন্ধু কিংবা প্রেমিক হিসেবে সকলের জন্যই ক্ষতিকর ও বিরক্তিকর। নানান সময়ে এরা ডেকে আনতে পারে আপনার জন্য নানান রকম যন্ত্রণা। আসুন জেনে নেয়া যাক কোন ৬ ধরণের ব্যক্তি
ত্বহীন পুরুষ থেকে দূরে থাকা উচিত সেই প্রসঙ্গে।

অতিরিক্ত প্রেমিকা/ স্ত্রী ঘেঁষা

অতিরিক্ত প্রেমিকা/স্ত্রী ঘেঁষা পুরুষএরা নিঃসন্দেহে ব্যক্তিত্বহীন পুরুষ। আপাত দৃষ্টিতে প্রেমিকারা এ ধরণের পুরুষদেরকে পছন্দ করলেও কিছুদিন পরেই ব্যক্তিত্বহীনতা দেখে দেখে বিরক্ত হয়ে যায়। এ ধরণের পুরুষরা প্রেমিকা/স্ত্রীর কথার বাইরে কোন কাজ করেনা, তাদের নিজস্ব কোনো মতামত থাকেনা, তাদের আত্মবিশ্বাস খুবই কম থাকে এবং শ্বশুরবাড়ি ঘেঁষা হয়। এ ধরণের পুরুষদের থেকে দূরে থাকাই ভালো। কারণ এদের সঙ্গে সম্পর্কে খুব সহজেই একঘেয়েমি চলে আসে।

অতিরিক্ত মা ঘেঁষা

অতিরিক্ত মা ঘেঁষা পুরুষরাও ব্যক্তিত্বহীনের কাতারেই পড়ে। মায়ের জন্য ভালোবাসা থাকবে সেটাই স্বাভাবিক। কিন্তু সেই ভালোবাসার মাত্রা যদি অতিরিক্ত হয়ে যায় এবং সেটা সংসারের ক্ষতির কারণ হয়ে দাড়ায় তাহলে সেটা অবশ্যই বেশ বিরক্তিকর। এ ধরণের ব্যক্তিত্বহীন পুরুষরা ভালো মন্দ বিচার করার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলে এবং নিজের ব্যক্তিগত সংসার জীবনকে ক্ষতিগ্রস্ত করে। এরা মায়ের কথার বাইরে কিছু করে না আর মা একটা অন্যায় করলেও সেটাকে সমর্থন করে।

গায়ে পড়ে বন্ধুত্ব করতে চায় যারা

কিছু পুরুষকে দেখা যায় মেয়ে দেখলেই গায়ে পড়ে বন্ধুত্ব করতে চায়। ক্লাসে কিংবা ফেসবুকে কোনো মেয়ে দেখলেই হুট করে ‘আমি তোমার বন্ধু হতে চাই’ ধরণের কথা বার্তা বলে দৃষ্টি আকর্ষনের চেষ্টা করে। কেউ কেউ আবার সব মাত্রা অতিক্রম করে না চিনেই প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে বসে। এ ধরণের পুরুষদের থেকে বিশেষ নারীদের দূরত্ব বজায় রাখাই নিরাপদ। কারণ এরা পিছে লেগে থাকে এবং অহেতুক বিরক্তি সৃষ্টি করে। পুরুষদের জন্যঅ এমন বন্ধু ভালো নয়।

নারী সহকর্মীকে উত্যক্ত করে

কিছু পুরুষ আছে যারা কর্মক্ষেত্রে মার্জিত না থেকে সহর্কমীর সাথে ফ্লার্ট করে। এ ধরনের কর্মক্ষেত্রে নারী সহকর্মীকে অযথাই উত্যক্ত করে এবং কথা বলার সুযোগ খুঁজতে থাকে সব সময়। নারী সহকর্মীর কাজকে হেয় করার চেষ্টা করা, কটুক্তি করা সহ আরো নানা ধরণের সমস্যা সৃষ্টি করে এ ধরণের পুরুষরা। এমনকি এধরণের ব্যক্তিত্বহীন পুরুষরা নানান ছলাকলায় নারী সহকর্মীদের গায়ে হাত দেয়ার চেষ্টা করে। এদের থেকে যত দূরে থাকা যায় ততই মঙ্গল।

চামচামি করে

কিছু সংখ্যক পুরুষ কর্মক্ষেত্রে, ক্লাসে কিংবা সমাজে মেশার সময় উচ্চপদস্থ ব্যক্তিদের সাথে চামচামি করে। নিজের উদ্দেশ্য হাসিল করার জন্য খুব সহজেই নিজের মান সম্মান বিকিয়ে দেয় এ ধরণের ব্যক্তিত্বহীন পুরুষরা। এদের থেকে দূরে থাকা নিরাপদ সকলের জন্য।

নিজেকে বেশি জাহির করে

আমাদের সবার আসেপাশেই এমন কিছু পুরুষ আছে যারা নিজেকে অতিরিক্ত জাহির করে আনন্দ পায়। নিজের চাকরি, পড়াশোনা, বেতন, গাড়ি, বাড়ি ইত্যাদি নিয়ে বাড়িয়ে বাড়িয়ে মিথ্যা করা বলার প্রবণতা দেখা যায় তাদের মধ্যে। এ ধরণের পুরুষদের অতিরিক্ত মিথ্যা বলার প্রবণতা থাকে। তাই এধরণের ব্যক্তিত্বহীন পুরুষদের সাথে দূরত্ব বজায় রাখাই ভালো।


জেনে নিন প্রাকৃতিক জন্মনিয়ন্ত্রন সম্পর্কে …….

প্রতি মাসিক ঋতুচক্রে মাত্র একবার ডিম্বকোষ (Ovum) নিঃসরণ হয়ে থাকে। অতএব ঋতুচক্রের বিশেষ সময় মহিলা সন্তান ধারণের তথা গর্ভধারণের অক্ষম থাকে। এই সমটাকে “নিরাপদ সময়” হিসাবে ধরা হয়।

মাসিক ঋতুচক্রের মাঝামাঝি (অর্থাৎ ১৪ দিনের মাথায়) লুটিনাইজিং হরমোন (LH) ক্ষরণের ৩৬-৩৮ ঘন্টার মধ্যে ডিম্বকোষ (Ovum) নির্গত হয়। এই বেরুনর পর ডিম্বকোষ যদি ৩৬ ঘন্টার মধ্যে উপযুক্ত সংখ্যক শুক্রকোষ পায় তবে তার একটির সাথে মিলিত হয়ে সন্তান দিতে পারে। তবে ডিম্বকোষটি জীবিত থাকে আরো প্রায় ৩৬ ঘন্টা অর্থাৎ ডিম্বকোষের আয়ু সর্বমোট ৭২ ঘন্টা বা তিনদিন। অন্যদিকে যৌনমিলনের পর জরায়ু তথা ডিম্বনালীতে প্রবেশের পর শুক্রকোষও (spermatorza) জীবিত থাকতে পারে সর্বাধিক ৭২ ঘন্টা। তাই ২৮ দিনের মাসিক ঋতুচক্রের মাঝামাঝি মোট প্রায় ১২০ ঘন্টা (৫দিন) হচ্ছে উর্বর সময়,–এই সময় যৌনমিলন হলে সন্তানের জন্ম হতে পারে। মোটামুটি মাসিকের ১৪ দিনের মাথায় ডিম্বকোষ হচ্ছে ধরে নিয়ে তার ২-৩ দিন আগে ও ২-৩ দিন পরে হচ্ছে এই “উর্বর সময়”।

তবে যারা সন্তান নিতে চান না, তাদের এটিও জেনে রাখা দরকার যে, এই ডিম্বকোষের নির্গমনের (ovalution) দিনটি প্রচণ্ড পালটায়। তাই এর সঙ্গে আগে ও পরে আরো দু’একদিন যোগ করা ভাল।

তবু মাসিক ঋতুচক্রের ৯ম দিনের আগের ও ২০শ দিনের পরেকার সময়কে মোটামুটি নিরাপদ সময় বলে ধরা যায়। এই সময় যৌনমিলন ঘটলে তার থেকে সন্তান ধারণের তথা গর্ভবতী হওয়ার সম্বাবনা থাকে না, কারণ এই সময় ডিম্বকোষ বেরোয়ই না।

কিন্তু বিরল হলেও এটিও দেখা গেছে যে, মাসিক চক্রের যে কোনওদিন (তথাকথিত ঐ নিরাপদ সময়ের দিনগুলিসহ) মাত্র একবারের যৌনমিলনেও নারী গর্ভবতী হতে পারে অর্থাৎ বিরল ক্ষেত্রের মাসিক চক্রের যে কোন সময়ই ডিম্বকোষ বেরুতে পারে।
তাই এই হিসাবে তথাকথিত নিরাপদ সময় বলে কিছু নেই। তবে এটি নেহাৎই ব্যতিক্রম।
সাধারণভাবে ৯ম দিনের আগে ও ২০শ দিনের পরের সময়টি নিরাপদ সময় এবং ৯ম-২০শ দিনের মধ্যকার সময়টিকে উর্বর সময় হিসাবে ধরা যায়, আর এর মধ্যেও দ্বাদশ থেকে ষোড়শ (মতান্তরে ১৩ম থেকে ১৭ম) দিনটি উর্বরতম সময়।

ভালো লাগলে লাইক দিয়ে শেয়ার করুন। নিজে জানুন আর অন্যকে জানাতে শেয়ার করুন।


দূর্বা ঘাস এবং নিমপাতা বাটার সাথে ভিনেগার মিশিয়ে পেস্ট করে মাথায় লাগান এবং আধঘন্টা পর শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন।সপ্তাহে ২ বার করুন। এতে খুশকি ও মাথার খোশ পাচরা দূর হবে।

বড় বড় পোস্ট এর পাশাপাশি এরকম অনেক মিনি পোস্ট আছে আপনাদের জন্য।তাই লাইক দিয়ে সবসময় একটিভ থাকুন।

পা ফাটা রোধে ঘরেই তৈরি করুন চমৎকার ফুট ক্রিম

শীতে সারা শরীরের ত্বক ক্ষতিগ্রস্ত হলেও সবচাইতে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় বোধ হয় পায়ের ত্বক। ত্বক রুক্ষ শুষ্ক হয়ে যায় আর গোড়ালি ফেটে যায়। এতে পায়ের সৌন্দর্যহানি হওয়ার পাশাপাশি ব্যথা হয় প্রচণ্ড আর এতে ফাঙ্গাল ইনফেকশন হলে তো কথাই নেই। রাসায়নিকে ভরা ফুট ক্রিম না কিনে নিজেই তৈরি করে নিতে পারেন একেবারে ঘরোয়া এবং ভীষণ উপকারী এই ফুট ক্রিম। কয়েকদিন ব্যবহারেই আপনার ফাটা গোড়ালি হয়ে উঠবে কোমল ও মসৃণ।

যা যা লাগবেঃ

- প্রাকৃতিক মধু ১ কাপ
- দুধ ১/২ টেবিল চামচ
- অর্ধেকটা কমলার রস

যা করতে হবেঃ

মধুটাকে হালকা গরম করে নিন। এতে কমলার রস এবং দুধটুকু মিশিয়ে ফেলুন। ভালোভাবে নেড়ে মিশিয়ে নিন এবং কিছুক্ষন সেট হতে দিন।
ব্যবহারঃ

একটা স্ক্রাবার দিয়ে পায়ের গোড়ালি একটু ঘষে নিন। এরপর মিশ্রনটিকে ত্বকে প্রয়োগ করুন এবং হালকা ম্যাসাজ করে দিন। ৪৫ মিনিট রেখে হালকা গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে পারেন। এই কাজটি দিনে দুইবার করা গেলে ভালো। অথবা মিশ্রণটি গোড়ালিতে মেখে সারারাত রেখে ধুয়ে ফেলতে পারেন। তবে মিশ্রণটি বেশ চটচটে, সুতরাং প্রথম পদ্ধতিটিই বেশি সুবিধের।
উপকারিতাঃ

মধু- মধু আর্দ্রতা ধরে রাখে ত্বকে। ফাটা গোড়ালির হারানো আর্দ্রতা পুনরুদ্ধার এবং ফাটল সারিয়ে তুলতে এটি সাহায্য শুধু তাই নয়, ব্যাকটেরিয়া দূরে রাখতেও মধু কার্যকর।

দুধ- দুধে আছে ভিটামিন এ যা ত্বক সুস্থ রাখে। ত্বকের ক্ষত মেরামত করতেও এটি কার্যকর।

কমলার রস- কমলায় আছে অনেকটা ভিটামিন সি। ত্বকের স্থিতিস্থাপকতা বজায় রাখতে এটি সাহায্য করে। ত্বক ফাটা রোধ করতে এটা কাজ করবে।

ফেসবুকের নিয়ম অনুসারে পেইজ এর পোস্ট এ নিয়মিত লাইক, কমেন্ট না করলে ধীরে ধীরে পোস্ট আর দেখতে পাবেন না। তাই পোস্ট ভাল লাগলে লাইক দিয়ে শেয়ার করে পেজে একটিভ থাকুন।


ওজন কমাতে ডায়েট চার্ট

সকাল: ৭:৩০

হালকা গরম পানিতে ১ চামচ মধু এবং ১টুকরো লেবুর রস
দিয়ে খান।

৮:৩০ সকালের নাস্তা:

রুটি-২টি, সবজি, দুধ চিনি ছাড়া চা বা কফি এক কাপ।


১১ টা:

গ্রিন টি ১ কাপ, ১ পিস বিস্কুট।

১২ টা:

শশা বা গাজরের জুস-১ গ্লাস

দুপুরের খাবার:

ভাত ১ কাপ, সবজি, মাছ ১ টুকরো, সালাদ, ডাল।

বিকেল ৪ টা:

কলা, কমলা, আপেল, আম, আমড়া যে কোনো ১টি

৫:৩০

ভাত ১ কাপ বা রুটি ৩ টি সঙ্গে শাক বা সবজি আর মাছ।

আমাদের অনেকেরই অভ্যেস হচ্ছে রাতে খাবার খাওয়ার পরও
টিভি দেখতে দেখতে বাড়তি খাবার খেতে পছন্দ করি।
তবে ওজন কমাতে চাইলে এই অভ্যেস বাদ দিতে হবে।

নিয়মিত এই খাবারের রুটিন মেনে চললে আর সপ্তাহে ৫ দিন
৩০ থেকে ৪৫ মিনিট ব্যায়াম করলে আমাদের শরীরের
বাড়তি ওজন কমিয়ে ঝরঝরে ফিগার পেতে খুব বেশিদিন
অপেক্ষা করতে হবে না।


মেছতার সমস্যাঃ

মেছতার সমস্যা তে ভুগেন অনেকে। কালো ছোপ পরা চেহারা টা দেখতে মন টাই খারাপ হয়ে যায়। তাই না? আসুন জেনে নি কিছু টিপস

রোদ থেকে ত্বক রক্ষা করতে পারলে মেছতা থেকে অনেকাংশেই রক্ষা পাওয়া যায়। এ জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণ সানস্ক্রিন ব্যব
হার করুন। এক্ষেত্রে এসপিএফের মাত্রা যেন ৩০ হয়।
বাইরে বের হওয়ার সময় স্কার্ফ, ওড়না বা আঁচল মাথায় জড়িয়ে নিন।

১ চা-চামচ সাদা জিরা গুঁড়া, ১ চা-চামচ হলুদ গুঁড়া, ১ চা-চামচ সরষে গুঁড়া ও ১ চা-চামচ আটা মিশিয়ে পেস্ট বানিয়ে মেছতার ওপর লাগান। বিশ মিনিট রেখে ঠাণ্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন।

চালের গুঁড়ো ও ডিমের সাদা অংশ একসঙ্গে মিশিয়ে প্যাক তৈরি করে সারা মুখে লাগান। এ ছাড়া লেবুর রস নিয়মিত লাগাতে পারেন। টক দই তুলা দিয়ে মুখে লাগালেও মেছতা কমবে।

পাকা কলার পেস্ট করে মুখে লাগাতে পারেন, গোলাপ জল দিয়ে তুলে ভিজিয়ে মুখ পরিস্কার করতে পারেন।

প্রচুর ফল খাওয়া অভ্যাস করুন। সেই সাথে ফল মুখেও মাখুন

চোকলেট, মিষ্টি, কফি খেতে পছন্দ করেন ,তাহলে এসব খাবার কম খাওয়া ভালো । কারণ বেশি চিনি উপাদান খেলে সহজভাবে মেছতা সৃষ্টি হয়

.
.

রাসূল (সাঃ) বলেন..যখন স্বামী স্ত্রী পরস্পরের সাথে প্রেম চাহনির বিনিময় করে তখন আল্লাহ পাক উভয়ের দিকে করুনার দৃষ্টি দেন...


অতঃপর যখন স্বামী স্ত্রীর হাত ধারন করে তখন তাদের
আঙ্গুলের ফাঁক দিয়ে পাপরাশি ঝরে পড়ে...

যখন কোন স্ত্রী স্বামীর দিকে তাকিয়ে মিষ্টি হাসে তখন 
আল্লাহ-তালাও তাদের উভয়ের দিকে তাকিয়ে মিষ্টি হাসেন.


জেনে নিন চেহারার যৌবন ধরে রাখার ছোট্ট "গোপন ফর্মুলা"!


আজকাল খুব দ্রুত চেহারা থেকে হারিয়ে যাচ্ছে যৌবন। বয়সের আগেই বার্ধক্যের ছাপ পড়ছে চেহারার। আয়নায় ভালো করে তাকিয়ে দেখুন, বয়সের চাইতেও নিজেকে অনেকটা বয়স্ক দেখায় না? এই সব কিছু দূর করতে আমরা নিয়ে এলাম দারুণ একটি উপায়। না, দামী দামী ক্রিম নয়। এমনকি পার্লারে গিয়ে নানান ট্রিটমেন্টও নয়। রইলো একটি ফেস প্যাক তৈরির সিক্রেট ফর্মুলা। নিয়মিত এই ফেস্প্যাক ব্যবহারে দীর্ঘদিন অটুট থাকবে আপনার চেহারার যৌবন!
অ্যান্টি-এইজিং ফেস প্যাক

এই ফেইস প্যাকটি তৈরি করতে লাগবে-
২ টেবিল চামচ মিহি চালের গুঁড়ো (চাইলে ময়দা ব্যবহার করতে পারেন)
১ চা চামচের ৩ ভাগের ১ ভাগ তাজা হলুদ গুঁড়ো বা বাটা
৫ চা চামচ কাঁচা দুধ
গোলাপ জল ১ চা চামচ
শসার রস ১ চা চামচ
মধু ১ চা চামচ
পদ্ধতিঃ

•প্রথমে একটি বাটিতে চালের গুঁড়ো বা ময়দা এবং হলুদ গুঁড়ো ভালো করে মিশিয়ে নিন।
•এরপর এতে শসার রস ও দুধ দিয়ে পেস্টের মত তৈরি করুন।
•মুখ ভালো করে ধুয়ে নিন। এরপর এই মিশ্রণটি ভেজা মুখে আলতো ঘষে লাগান।
•পুরোপুরি লাগানো হয়ে গেলে ১০ মিনিট রেখে দিন।
•১০ মিনিট পর আঙুলের মাথা দিয়ে হালকা ঘষে তুল নিন। এরপর মুখে মধু মাখইয়ে রাখুন।
•১০ মিনিট পর কুসুম গরম পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। মুখ মুছে নিয়ে প্রাকৃতিক গোলাপ জল লাগিয়ে নিন আলতো করে।
•সপ্তাহে ৩/৪ বার এই ফেস প্যাকটি ব্যবহার করুন।



|• দ্রুত চুল বৃদ্ধির ৭ টি সিক্রেট যা একই সাথে চুলকে সুন্দর ও আকষনীয় করে •|•

১) নিয়মিত চুল কাটুনঃ
চুলের নিরবচ্ছিন্ন বৃদ্ধি নিশ্চত করতে নিয়ম করে চুলের আগা ট্রিম করুন। প্রতি দুই মাসে অন্তত
একবার চুলের আগা ছাঁটলে চুলের আগা ফাঁটেনা বা চুল ড্
যামেজ ও হয়না। তাছাড়া চুলকে সুন্দর একটা সেপ
দিতে হলে নিয়মিত চুল কাটতে হবে।

২) নিয়মিত ব্রাশ করুনঃ
শুধুমাত্র চিরুনি দিয়ে চুল আচড়েলেই চলবেনা। প্রতিদিন অন্তত দশমিনিট চুলে ব্রাশ করুন।
এতে চুলের গোড়ায় রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি পায় এবং চুল মজবুত হয়।

৩) প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার খানঃ
খাদ্যতালিকায় প্রচুর পরিমাণের প্রোটিন সমৃদ্ধ
খাবার যোগ করুন। ফল-মূল, শাক-সবজী,মাছ, মাংস দুধ ইত্যাদি খেলে প্রচুর পরিমানেকেরাটিন উৎপন্ন
হয় যা চুলের দ্রুতবৃদ্ধি নিশ্চতকরে।

৪) এলোভেরা হেয়ার প্যাকঃ
তিনটি এলোভেরা পাতার extract এর সাথে মধু
মিশিয়ে চুলের গোড়ায় লাগন। ২০ মিনিট পরে ধুয়ে ফেলুন। এছাড়া আরোও একটি প্যাক ট্রাই
করতে পারেন। টমেটো ব্লেন্ড করে তার সাথে এলোভেরার নির্জাস ও অলিভ ওয়েল
মিশিয়ে একটু গরম করে চুলের গোড়ায় লাগিয়ে রাখুন। আপনি চাইলে যতক্ষণ ইচ্ছা রাখতে পারেন।
দুটি হেয়ার প্যাকই চুল বৃদ্ধিতেভাল কাজ করে।

৫) বায়োটিনঃ
বায়োটিন পানিতে দ্রবনীয় এক প্রাকারের ভিটামিন B। চুল বৃদ্ধিতে বায়োটিনের ও ভূমিকা আছে তাই
এটাও ট্রাই করে দেখতে পারেন।

৬) নিয়মিত শ্যাম্পু করুনঃ
চুল পরিষ্কার রাখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। নিয়মিত শ্যম্পু করুন। প্রথমে বোতল থেকে হাতের তালুতে শ্যম্পু ঢেলে একটু পানি দিয়ে ঘঁষে তারপর
চুলে লাগান। আংগুল দিয়ে মাথায় বিলি কেটে শ্যাম্পু করুন। তবে খেয়াল রাখবেন কখনোই চুলের গোড়ায় বা মাথার খুলিতে যেন কন্ডিশনার না লাগে কারন কন্ডিশনার ত্বকের জন্য খুব একটা ভালো না।

৭) পরিমিত ঘুমঃ
স্বাস্থ্যবান, দীর্ঘচুলের জন্য প্রয়োজন সুনিদ্রা।
কোষের বৃদ্ধি ও পুনর্জীবনের জন্যপ্রতিদিন ৬
থেকে ৭ ঘন্টা ভালো করেঘুমতে হবে।

জবা ফুল তেলের সাথে চটকিয়ে মাথায় দিন পরে শ্যাম্পু করে ফেলুন


মোটা হওয়ার উপায়ঃ

এই পেজটি চালিয়ে আর কিছু নাইবা পাই তবুও প্রতিদিন ভক্তদের অসংখ্য অনুরোধ দেখে আমার পেজ চালানোর আগ্রহ আরো বেড়ে যায়। এবারের আপনাদের অনুরোধ ছিল কি করে আপনারা মোটা হবেন। আসুন,কথা না বাড়িয়ে আমরা দেখি কিভাবে আপনি খুব সহজে মোটা এবং চিকন হতে পারেন।

ফিনফিনে পাতলা শরীর কারোই কাম্য নয়। দেখতেও মানানসই নয়। বেশী মোটা কিংবা শুকনা কোনোটাই ভাল নয়; মাঝামাঝি থাকাটাই মঙ্গলময়। স্বাস্থ্য প্রকৃতিগত ভাবে পাওয়া। চাইলেই যদি সব পাওয়া যেত তাহলে ইচ্ছেমত সবাই শরীরটাকে বদলে দিত, তবে হ্যা চর্চার মাধ্যমে সব অসম্ভবকে সম্ভব করা যায়। নিয়মিত অনুশীলন, চেষ্টা ধৈর্য আপনার চাওয়াকে পাওয়াতে পরিণত করবে। যারা খুব শুকনা তারা মোটা হওয়ার উপায়গুলো জেনে নিন।

✒ যদি নিয়মিত পুষ্টিকর খাবার খান এবং রাতের ঘুম ঠিক রাখেন তাহলে আপনি তাড়াতাড়ি আপনার স্বাস্থ্য মোটা করতে পারবেন। না ঘুমাতে পারলে আপনার শরীর ক্যালরী ধরে রাখতে পারে না। রাতে তাড়াতাড়ি খাওয়া শেষ করুন এবং তাড়াতাড়ি ঘুমিয়ে পড়ুন।

✒ একটা নিদিষ্ট সময় ধরে খাবেন। সকালে ঘুম থেকে উঠে এক ঘন্টার মধ্যে সকালের নাস্তা শেষ করুন। সকালে প্রচুর পরিমাণে খেয়ে নিতে পারেন। হ্যাম বার্গার, ভাজা খাবার, চিকেন ব্রেস্ট খেলেও ক্ষতি নেই।

✒ সফ্ট ড্রিংকস্ এবং ফ্যাটি খাবার খেলে স্বাস্থ্য মোটা হয়। এতে হাই-ইন্সুলিন থাকে। ইন্সুলিন হরমোন তৈরি করে। যার সাহায্যে শরীরে কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন এবং ফ্যাট জমে। যখন ফ্যাটি ফুডস্ খাবেন তখন পানি পান করুন; সফ্ট ড্রিংকস্ নয়। এমনকি ডায়েট সফ্ট ড্রিংকস্ও নয়। এটা খেলে আপনি ফ্যাটি ফুড খেতে পারবেন না।

✒ এনার্জি ফুড খেলেও আপনি মোটা হবেন। শরীরে যদি এনার্জি ফুড না থাকে তাহলে শরীরে শক্তিই থাকে না মোটা হওয়া তো দূরের কথা। আপনি কখনো ব্যাটারিতে ল্যাপটপ কম্পিউটার চালাতে পারবেন না যদি প্লাগ না দেন। শরীরও তার ব্যতিক্রম নয়।

✒ টেনশনমুক্ত থাকুন। নিয়মিত ব্যায়াম করুন। ব্যায়াম করলে ক্ষুধা বেড়ে যায় টেনশন দূরে করে।

✒ প্রচুর ফল খান। ফল পুষ্টিকর খাবার এতে প্রচুর ক্যালরি পাওয়া যায়। প্রতিদিন ফল এবং ফলের রস খান। ফলের তৈরি বিভিন্ন সিরাপ, কুবিথ, গাম, জ্যাম, জ্যালি খান এতে ফ্যাট আছে যা আপনার স্বাস্থ্য মোটা করবে।

✒ আপনি খুব দ্রুত মোটা হয়ে যাবেন। আপনি কল্পনাও করতে পারবেন না কিভাবে এত দ্রুত মোটা হওয়া সম্ভব।

এক লিটার গরম পানিতে এক কাপ পুদিনা পাতা চুবিয়ে ১০ মিনিট রেখে দিন। ঠান্ড হলে মিশ্রণটিকে ছেকে তুলার সাহায্যে ত্বকে ব্যবহার করুন।এটি ত্বকের জন্য খুবই উপযোগী।ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধিতে খুবই উপযোগী।




ব্রণের দাগ দূর করতে

ঘরোয়া পদ্ধতিতে নানা প্যাক তৈরি করে দাগের জায়গায় লাগিয়ে নিন। এতে করে দাগ অনেকখানি কমে আসবে।

*চন্দন গুঁড়োর সঙ্গে একটু গোলাপজল মিশিয়ে মুখে লাগান। এরপর ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।

*শুধু মধু প্রতিদিন দাগের ওপর লাগাতে পারেন। এতে করে দাগ কমে আসবে। তবে খেয়াল রাখবেন, আপনার ত্বকে মধু সহনীয় কি না।

*দাগ কমাতে পাকা কলার পেস্ট ব্যবহার করতে পারেন।

*কমলারnখোসার গুঁড়ো ও কাঁচা দুধের মিশ্রণ দাগ দূর করতে নিয়মিত ব্যবহার করতে পারেন।

*লেবুর রস, সামান্য ভিনেগার ব্যবহার করা যেতে পারে। কেউ চাইলে অল্প পরিমাণে পানি মিশিয়ে নিতে পারেন।

*কাঁচা হলুদ ও মধুর মিশ্রণ ব্যবহার করতে পারেন।

পোস্ট ভালো লাগলে লাইক ও শেয়ার দিয়ে সর্বদা
একটিভ থাকুন। নাহলে পরবর্তী পোস্টগুলো হারিয়ে যাবে আপনার ওয়াল থেকে




 

গরম পানির গোসল !

গরম পানির গোসল হচ্ছে জলচিকিৎসা, যা সব সময়ই ভালো। তবে তা ক্ষতির কারণ হতে পারে যদি এর ব্যবহারে গড়বড় করে ফেলেন। আসুন গরম পানির সঠিক ব্যবহার সম্পর্কে কিছু তথ্য জেনে নেই।

১. পানি অতিরিক্ত গরম হবে না, অবশ্যই সহনীয় পর্যায়ে আরামদায়ক উষ্ণতার পানিতে গোসল সারতে হবে।

২. গর্ভবতী নারীদের ৩৭ডিগ্রি সেলসিয়াসের (১০০ ডিগ্রি ফারেনহাইট) ওপরে ওঠা উচিত নয়।

৩. অনিদ্রায় যারা ভোগেন, তাদের জন্য অধিক উষ্ণতায় গোসল আত্মহত্যার সামিল।

৪. পরিশ্রমের পর বেশি গরম পানি ব্যবহার করা উচিত নয়। এতে ডিহাইড্রেশনের সম্ভাবনা দেখা দিতে পারে।

৫. গরম পানি প্রথমে গায়ে ঢালুন। হাতে, পায়ে আর মাথায় নিন ঠাণ্ডা পানি । মাথা বা হাত
বা পা অথবা তিনটিই গরম পানি থেকে দুরে রাখবেন। কারণ অধিক তাপ সাধারণত দেহের ওই তিন অংশ দিয়ে বের হয়ে যায়।


জন্ডিস রোগের কারণ এবংপ্রতিরোধ সম্পর্কে জানুন!


জন্ডিস আসলে কোন রোগ নয়, এটি রোগের লক্ষণ মাত্র। চোখের সাদা অংশ হলুদ হয়ে যাওয়াকে আমরা জন্ডিস বলে থাকি। জন্ডিসের মাত্রা বেশি হলে হাত, পা এমনকি সমস্ত শরীরও হলুদ হয়ে যেতে পারে। জন্ডিসের কারনে মৃত্যু হয় কিনা তা নির্ভর করে জন্ডিসের ভয়াবহতার উপর। এই ভয়ানক প্রচলিত রোগের কারণ এবং প্রতিকার সম্পর্কে আজ আপনাদের জানানো হলো।

জন্ডিসের মাত্রা অনুসারে ইহা সাধারণত ৩ প্রকার।
১. প্রিহেপাটিক
২. হেপাটিক
৩. পোস্ট হেপাটিক
জন্ডিসে অধিকাংশ ক্ষেত্রে লিভার আক্রান্ত হয়। সুতরাং জন্ডিসকে কখনোই হেলাফেলা করা উচিত নয়।

জন্ডিসের কারণঃ

রক্তে বিলিরুবিনের মাত্রা বেড়ে গেলে জন্ডিস দেখা দেয়। এই ঘটনার প্রেক্ষিতে যেসব কারণ জানা গেছে তা জেনে নিই।

১. লিভার প্রদাহঃ লিভার প্রদাহে বিলিরুবিনের উৎপাদন বেড়ে যায়। ফলশ্রুতিতে রক্তে বিলিরুবিনের মাত্রা বেড়ে গিয়ে জন্ডিস সৃষ্টি হয়।
২. পিত্তনালীর প্রদাহঃ পিত্তনালীর প্রদাহে বিলিরুবিন শোষণ ব্যাহত হয়। ফলে বিলিরুবিন বৃদ্ধি পেতে থাকে।
৩. পিত্তনালীর ব্লকঃ পিত্তনালীতে ব্লক হলে লিভার বিলিরুবিন সরাতে ব্যর্থ হয়। বেড়ে যায় জন্ডিসের সম্ভাবনা।
৪. গিলবার্ট’স সিন্ড্রোমঃ এই অবস্থায় এনজাইমের কার্যক্ষমতা কমে যায়। এরফলে পিত্তের রেচনতন্ত্রে সমস্যা হয় এবং বিলিরুবিনের মাত্রা বেড়ে যায়।
৫. ডুবিন –জনসন সিন্ড্রোমঃ এই বংশগত রোগে লিভার থেকে বিলিরুবিন শোষণ হতে বাঁধা দেয়। ফলশ্রুতিতে জন্ডিস হওয়ার সম্ভাবনা বাড়ে।

জন্ডিস প্রতিরোধের উপায়ঃ

চিকিৎসা সাধারণত নির্ভর করে ঠিক কি কারণে জন্ডিস হলো তাঁর উপর। তবে জন্ডিস থেকে বেঁচে থাকতে আমাদের কিছু করণীয় আছে। জন্ডিস প্রতিরোধে সে সম্পর্ক জেনে নেওয়া ভালো।

১. মদ্য পান থেকে বিরত থাকুন। প্রয়োজন হলে দিনে এক পেগ গ্রহণ করতে পারেন।
২. ওষুধ গ্রহনের সময় তরল ড্রাগস নেওয়া থেকে বিরত থাকুন। এইসময় মদ একদম বাদ দিতে হবে।
৩. কল কারখানার রাসায়নিক পদার্থ থেকে দূরে থাকুন।
৪. নেশাদ্রব্য গ্রহণ করা থেকে বিরত থাকুন।
৫. ব্যবহারকৃত ইনেকশন কিংবা নাক – কান ফোঁড়ানোর সুই ব্যবহার করবেন না।
৬. নিরাপদ যৌনমিলন করুন।
৭. হেপাটাইটিস এ এবং বি হওয়ার আশংকা মুক্ত থাকতে হেপাটাইটিস এ এবং বি এর ভ্যাকসিন গ্রহণ করুন।

জন্ডিস অনেক ক্ষেত্রেই মৃত্যুরও কারণ হতে পারে। তাই এই রোগ থেকে বাঁচতে হলে আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে।


 ~~~চোখ ও চোখের যত্ন~~~~

চোখ: দু অক্ষরের ছোট্ট শব্দ চোখ৷ চোখের গঠন বেশ জটিল৷ বিভিন্ন অংশ নিয়ে এই চোখ গঠিত, যেমন-কর্নিয়া আইরিস ,রেটিনা,অ্যাকোয়াস হিউমার ,ভিট্রিয়াস হিউমার ,অপটিক নার্ভ ইত্যাদি৷ ঠিকঠাক দেখার জন্য কর্নিয়া থেকে অপটিক নার্ভ প্রত্যেকেই একটা নির্দিষ্ট ছন্দে কাজ করে৷ ছোট্ট বলের মতো এই চোখ থাকে হাড়ের মজবুত কোটরের মধ্যে৷ আর সামনের দিকের খানিকটা বেরিয়ে আসা অংশ ঢাকা থাকে চোখের পাতা দিয়ে৷ বাইরে দিয়ে চোখের সাদা যে অংশ দেখা যায় তাকে বলে স্কেলেরা৷ কিছু মাংস পেশী দ্বারা চোখ প্রয়োজন মতো ঘুরানো যায়৷

আমরা যে রঙ্গিন দেখি তা সম্ভব হয়েছে চোখের রেটিনার যে বিভিন্ন স্তর আছে সেটার রড এবং কোণ কোষের কারণে৷ রড এবং কোণ কোষের অন্যতম উপাদান হলো ভিটামিন এ৷ এ কারণে ভিটামিন এ- র অভাব হলে রাতকানা রোগ হয়৷

~~~পরামর্শঃ

* অনেকের অভ্যাস থাকে বারবার চোখ ধোয়ার৷ কিন্তু এটা ঠিক না৷ কারণ বারবার চোখ ধুলে চোখের পানির প্রয়োজনীয় উপাদানও ধুয়ে যায়৷ ফলে চোখের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়৷
* ভিটামিন এ সমৃদ্ধ খাবার যেমন-টাটকা রঙ্গিন শাকসবজি,ফলমূল এবং ডিম দুধ খেতে হবে৷
* চোখে কিছু পড়লে রগড়ানো একদম উচিত না৷ পানি দিয়ে ধুতে হবে৷ দরকার মনে হলে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে৷
* চোখে কোন প্রকার আঘাত লাগলে ঠান্ডা পানি দিয়ে চোখ ধুতে হবে৷ চোখের আঘাত সাংঘাতিক বিপদ ডেকে আনে৷ তাই দেরী না করে দ্রুত ডাক্তারের পরামর্শ নিন৷
* বাচ্চা জন্মের পর চোখে কোন সমস্যা দেখা দিলে অবশ্যই চক্ষু রোগ বিশেষজ্ঞর পরামর্শ নিন৷
* স্কুলে ভর্তির আগে পারলে চোখের ডাক্তার দেখিয়ে নিন৷
* সকলের বছরে একবার চোখ পরীক্ষা করানো উচিত৷
* ডায়বেটিস থাকলে সুগার নিয়ন্ত্রনের সাথে সাথে অবশ্যই চোখ দেখানো উচিত৷ কেননা ডায়বেটিস চোখের সাংঘাতিক ক্ষতি করে৷

চোখের কিছু রোগর নাম নিম্নে দেওয়া হলো:
১. চোখে বাইরের কিছু পড়া
২. চোখ ওঠা
৩. চোখে ছানি পড়া
৪. রাতকানা
৫. অশ্রুথলি বা নালীর প্রদাহ
৬. গ্লুকোমা
৭. ট্র্যাকোমা
৮. টেরিজিয়াম
৯. টেরাচোখ


           শ্বেতী রোগ ঃ-

ত্বকের বর্ণ তৈরী করে এমন কোষগুলো (Melanocyte) যখন নষ্ট হয়ে যায় তখন ত্বক আর বর্নিল থাকতে পারেনা, বর্নহীন ত্বকের এমন একটি রোগেরই নাম শ্বেতীরোগ বা ভিটিলিগো। জাতি-গোত্র-বর্ণ নির্বিশেষে শতকরা ১ ভাগ মানুষের এমন অসুবিধার সম্মুখীন হতে হয়।

অনেক সময়ই রোগটি পারিবারিকভাবে ছড়ায় বিশেষ করে যাদের ত্বকের অনেক বড় অংশ নিয়ে এটি আবির্ভুত হয়। কোনো স্থানে আঘাত পেলে বা রোদে পুরে (Sunburn) গেলে ওখানে ভিটিলিগো শুরু হতে পারে।

কালো বা বাদামী বর্ণের লোকজনের জন্য এটা কিছুটা বিব্রতকর হলেও বর্নহীন স্থানটি কিন্ত কোনো ক্ষতি করেনা, এ স্থানের অনুভুতিও একই থাকে। সাধারনত একই সাথে শরীরের দুই পাশের হাতের আংগুল, কবজি, কনুই, হাটু, গলা, মুখ বা চোখের চারপাশে ভিটিলিগো হয়ে থাকে, মাথা বা গালেও হতে দেখা যায়।

বর্নহীন এলাকাটি অনেক সময়ই একই আকারে থেকে যায়, কখনো আবার বাড়তেও থাকে ধীরে ধীরে, যারা কিছুটা সৌভাগ্যবান কখনো কখনো তাদের ঐ স্থানটি পুনরায় কিছুটা বর্ণ ফিরে পেতে পারে। তবে স্থানটিকে সরাসরি সুর্যের আলোয় আনলে এটা বড় হতে থাকতে পারে, তাই কোনো পোশাকে ঢেকে রেখে বা sun screen জাতীয় কিছু ব্যবহার করে একে সূর্যরশ্মির হাত থেকে বাচানোর ব্যপারে যত্নবানেরা লাভবান হতে পারেন।

এর তেমন একটা ফলপ্রসু চিকিৎসার কথা এখনো জোরেশোরে শোনা যায়না। ফটোকেমোথেরাপী দিলে কিছুটা আশাব্যঞ্জকফলাফল পাওয়া যেতে পারে।তবে এ নিয়ে অনেক গবেষনা এখন ফলাফল প্রকাশের অপেক্ষায় আছে যা হয়তো বিশাল কোনো সাফল্যের খবর ও শোনাতে পারে।
 

চোখে ছানি পরা


ক্যামেরার লেন্সের (Lens) মতো আমাদের চোখের ভেতরেও একটি লেন্স রয়েছে যাকে সংকোচিত ও প্রসারিত করার মাধ্যমে আমরা যথাক্রমে দুরের ও কাছের জিনিসকে স্পষ্ট দেখতে পাই। এই লেন্সটি অস্বচ্ছ হয়ে গেলে আমরা চোখে ঝাপসা দেখি এমনকি কোনো কোনো সময় কিছুই দেখতে পাইনা। লেন্সের এই ঝাপসা হয়ে যাওয়া রোগটির নামই ছানি পড়া বা ক্যাটারাক্ট (Cararact)। বৃদ্ধ বয়সে যত লোক অন্ধ হয়ে যায় তার বেশীর ভাগই হয় চোখে ছানি পড়ার কারনে। মনে রাখতে হবে এই অন্ধত্ব স্থায়ী নয়, সঠিক সময়ে চিকিৎসা করালে এই রোগী আবার দৃষ্টি ফিরে পাবে।

অনেক সময় জন্মগত ভাবেও শিশুছানি পরা চোখ নিয়ে জন্মাতে পারে তবে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই এই রোগটি বৃদ্ধ বয়সে হতে দেখা যায়। সাধারনত ৫০ বছর বয়সে এই রোগটি হতে শুরু করে। তবে এর আগে যে হতে পারেনা তা নয়। ডায়াবেটিস রোগীদের রক্তের সুগার অনিয়ন্ত্রিত থাকলে এ রোগ হবার সুযোগ অনেক বেশী থাকে। অনেক সময় চোখে আঘাত পেলে, রেডিয়েশনের কারনে, চোখে কোন কেমিক্যাল লাগলে কিংবা বিদ্যুতায়িত হবার কারনেও এই রোগ অল্প বয়সে হতে পারে।

চোখে ছানি পরা শুরু করলে রোগের প্রাথমিক পর্যায়ে সবকিছু ঝাপসা দেখা যায়, অনেক সময় কোনো জিনিসের দুইটি করে প্রতিবিম্ব দেখা যায়। কখনো কখনো আবার চোখে রংধনুর সাত রঙ ভেসে উঠে। এসব রোগীরা সাধারনত সন্ধ্যায় বা রাতের অন্ধকারে কিছুটা ভালো দেখে। তবে ছানি যখন পরিপক্ক হয়ে যায় রোগী তখন তার দৃষ্টি ক্ষমতা পুরোপুরি হারিয়ে ফেলে।

ক্যটারাক্ট বা চোখের ছানির চিকিৎসা অবশ্যই একজন চক্ষুবিশেষজ্ঞের (Opthalmologist)তত্ত্বাবধানে করাতে হবে। রোগের প্রাথমিক পর্যায়ে কালোচশমা বা সানগ্লাশ পড়লে রোগীর দৃষ্টির কিছুটা উন্নতি হয়, চোখে এট্রপিন জাতীয় ড্রপ ব্যবহার ও এতে কিছুটা সাহায্য করে থাকে। ছানি পরিপক্ক হয়ে গেলে অপারেশনই এর একমাত্র চিকিৎসা। অপারেশন করে চোখের ভেতর লেন্স লাগিয়ে নিলে রোগী আবার পূর্বের মতো দেখতে পারে। ফ্যাকো সার্জারির মতো আধুনিক সার্জারি চোখের ছানি পরা রোগটির চিকিৎসা আরো সহজ, ঝামেলামুক্ত ও ফলপ্রসু করে তুলেছে।


 

      নিকটদৃষ্টির সমস্যা


আমাদের চোখের ভেতরে ক্যামেরার মতো যে লেন্স (Lens) আছে তা অনেক সময় ঠিকমতো প্রসারিত হতে না পারলে আমদের কাছের জিনিস দেখতে অনেক সময় কষ্ট হয়। এই রোগটির নাম হাইপারমেট্রোপিয়া বা হ্রস্বদৃষ্টি। এই রোগে দূরের কোনো জিনিস দেখতে কোন অসুবিধা হয়না।

যেতেতু কাছের জিনিস দেখতে অসুবিধা হয় তাই অনেকেই কষ্ট করে বই বা লেখা কাগজ চোখের কাছে এনে পড়া শুরু করেন ফলে তিনি প্রথম দিকে টের পাননা যে তার চোখের দৃষ্টিতে কোনো সমস্যা আছে। অনেক্ষন ধরে চোখে চাপ লাগিয়ে পড়ার জন্য অনেক সময় চোখে ব্যথা হতে পারে। মাথা ব্যথা এই রোগের রোগীদের খুব পরিচিত একটা অভিযোগ।
চক্ষুরোগ বিশেষজ্ঞের কাছে গেলে এই রোগটি আছে কিনা তা তিনি Retinoscopy পরীক্ষার মাধ্যমে নিশ্চিত করেন। চোখে শুধুমাত্র Hypermetropia রোগ থাকলে চশমায় একটি উত্তল (Convex) লেন্স ব্যবহার করে চোখের এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। কন্টাক্ট লেন্স ব্যবহার করে চশমা ব্যবহার না করেও এই সমস্যার হাত থেকে রেহাই মেলে।

 

ধুমপান ত্যাগে করণীয়


সবার আগে নিজের মন থেকে সব যুক্তিগুলো সাজিয়ে নিয়ে সীদ্ধান্ত নিন, মনকে দৃঢ করুন, ইচ্ছা শক্তি বাড়ান। আপনার ব্যক্তিত্বের শক্তিশালী দিকগুলো নিজের কাছে তুলে ধরুন এবং ঠিক করুন আজ থেকেই ছেড়ে দিচ্ছেন ধুমপান। বাসায়, ড্রয়ারে বা পকেটে সিগারেট থাকলে তা কোনোরকম দ্বিধা না করে এখনই ফেলে দিন, শুরু হোক আপনার সাহসী পথ চলা।
যে সকল স্থানে ধুমপান নিষিদ্ধ সে সকল স্থানে (সেটা হতে পারে মসজিস, যাদুঘর, লাইব্রেরী অথবা আপনার অফিসের কক্ষ অথবা হাসপাতালে) আপনার মূল্যবান সময় কাটান। ক্যান্সার আক্রান্ত আত্মীয়স্বজন থাকলে তাদের সাথে অনেক সময় কাটান। হাসপাতালো কোন পরিচিত রোগী ভর্তি থাকলে আপনার স্বার্থেই তাকে সংগ দিন। আত্মীয়দের কবরস্থানে নিরিবিলি সময় কাটাতে পারেন।
 
অনুপ্ররণা এবং সহযোগীতা নিন, আপনার অধুমপায়ী বা ধুমপানত্যাগী বন্ধুবান্ধব দের কাছ থেকে প্ররণা বা পরামর্শ নিন। তামাক ছাড়ার জন্য একটি গ্রুপ তৈরী করতে পারেন, যাদের সবার ইচ্ছা থাকবে তামাক ছেড়ে দেবার। এর মধ্যে আপনার ব্যক্তিত্বের দৃঢ়তার পরিচয় দিন এবং প্রয়োজনে এই গ্রুপে অধুমপায়ী বা চিকিৎসক বন্ধুবান্ধব কে অন্তর্ভুক্ত করুন।
খাবার স্থান পরিবর্তন করতে পারেন, যে সকল রেষ্টুরেন্ট এ ধুমপান নিষিদ্ধ খরচ একটি বেশী হলেও সেসকল স্থানে খাওয়া দাওয়া সারুন, আপনার ধুমপানের বেচে যাওয়া খরচের তুলনায় সেটা খুব বেশী হবেনা।
ধুমপান ত্যাগের সীদ্ধান্তের প্রাথমিক পর্যায়ে ধুমপায়ীদের সংগ থেকে দূরে থাকার চেষ্টা করুন।
জীবনে বিনোদনের ভুমিকা অনেক, তাই বিনোদনের জন্য গান শুনুন, গল্প-উপন্যাস পড়ুন, বিভিন্ন প্রদর্শনী যাদুঘর গুলোতে যান, নাটক দেখুন, সিনেমা দেখতে পারেন। গান শোনার সময় বাসার এমন কোথাও অবস্থান করুন যেখানে ধুমপান করা যায়না (যেমন ড্রয়িং রুম বা ডাইনিং রুম), মঞ্চ নাটকের গ্যালারিতে, আর্ট গ্যালারি বা ফটো গ্যালারিতে সময় কাটালে ধুমপান করা যায়না এবং এভাবেই একসময় দিনের একটা বড় অংশ আপনার অধুমপায়ী হিসেবে কেটে যাবে।
জিমনেসিয়াম, সুইমিংপুল, স্কেটিংক্লাব বা শারীরিক পরিশ্রম হয় এমন সংস্থাগুলোতে নাম লিখান। এসব স্থানে নিয়মিত ব্যায়াম করলে আপনার শারীরিক সুস্থ্যতা বৃদ্ধি পাবে ধুমপানের ও সূযোগ থাকবেনা।
এরপরও মাঝে মাঝে ধুমপান করার প্রবল ইচ্ছা জাগলে ধুমপান নিষিদ্ধ এমন কোন যায়গায় গিয়ে প্রিয় কোন বন্ধু / মানুষের সাথে প্রাণখুলে সময় কাটান। সাইকেল নিয়ে বেরিয়ে পরুন বা ভালো কোন পাবলিক পরিবহনে করে দূর কোন স্থান থেকে বেরিয়ে আসুন, লক্ষ রাখবেন আপনার সংগী যেন একজন অধুমপায়ী হয়।
এমনি করে মাসখানেক কেটে গেলে একসময় দেখবেন আপনার আর ধুমপান করতে ইচ্ছা করছেনা এবং আপনি একজন অধুমপায়ী হয়ে গেছেন। তবে লক্ষ রাখবেন ব্যাপারটা বড়াই করে কাউকে বলার সময় এখনো আসেনি, তেমন টি করলে আপনার দুষ্ট বন্ধুদের অনেকে কৌশলে আপনাকে বোকা বানানোর জন্য অথবা মজা করে ধুমপানে আগ্রহী করতে পারে, কাজেই সাবধান।
কারো কারো ক্ষেত্রে ধুমপানের মাত্রা খুব বেশী থাকে, এমন অল্প কিছু ক্ষেত্রে চিকিৎসকের স্মরণাপন্ন হয়ে কিছু অসুধ সেবন করা লাগতে পারে। তবে আপনার ব্যক্তিও বা ইচ্ছা শক্তি যদি প্রবল হয় কোন কিছুই আপনাকে দমিয়ে রাখতে পারবেনা।
সব কথার শেষ কথা আপনার ইচ্ছা থাকলেই আপনি ধুমপান ছেড়ে দিতে পারবেন, নিজেকে প্রশ্ন করুন আপনার ইচ্ছাটা আছে তো?

 

মেয়েদের ঋতুচক্র বা মাসিক


প্রতি চন্দ্রমাস পরপর হরমোনের প্রভাবে পরিণত মেয়েদের জরায়ু চক্রাকারে যে পরিবর্তনের মধ্যে দিয়ে যায় এবং রক্ত ও জরায়ু নিঃসৃত অংশ যোনিপথে বের হয়ে আসে তাকেই ঋতুচক্র বলে।
এর তিনটি অংশ, ১মটি চারদিন স্থায়ী হয় (৪-৭ দিন) এবং একে মিনস্ট্রাল ফেজ, ২য়টি ১০দিন (৮-১০ দিন) একে প্রলিফারেটিভ ফেজ এবং ৩য়টি ১৪ দিন (১০-১৪ দিন)স্থায়ী হয় একে সেক্রেটরি ফেজ বলা হয়।
মিনস্ট্রাল ফেজ এই যোনি পথে রক্ত বের হয়। ৪-৭ দিন স্থায়ী এই রক্তপাতে ভেঙ্গে যাওয়া রক্তকনিকা ছাড়াও এর সাথে শ্বেত কনিকা, জরায়ুমুখের মিউকাস, জরায়ুর নিঃসৃত আবরনি, ব্যাকটেরিয়া, প্লাজমিন, প্রস্টাগ্লানডিন এবং অনিষিক্ত ডিম্বানু থেকে থাকে। ইস্ট্রোজেন এবং প্রজেস্টেরন হরমোনের যৌথ ক্রিয়ার এই পর্বটি ঘটে।
প্রলিফারেটিভ ফেজ ৮-১০ দিন স্থায়ী হতে পারে। শুধু ইস্ট্রোজেন হরমোনের প্রভাবে এটি হয়। এই সময় জরায়ু নিষিক্ত ডিম্বানুকে গ্রহন করার জন্য প্রস্ততি নেয়।
সেক্রেটরি ফেজ টা সবচেয়ে দীর্ঘ, প্রায় ১০ থেকে ১৪ দিন। একে প্রজেস্টেরন বা লুটিয়াল ফেজ ও বলা হয়। এটিও ইস্ট্রোজেন ও প্রজেস্টেরন উভয় হরমোনের যৌথ কারনে হয়। এই সময় নিষিক্ত ডিম্বানুর বৃদ্ধির জন্য জরায়ু সর্বোচ্চ প্রস্ততি নিয়ে থাকে।
ডিম্বাশয়ের কোনো ডিম্বানু শুক্রানু দ্বারা নিষিক্ত না হলে জরায়ু আবার মিনস্ট্রাল ফেজে চলে যায়। এভাবেই পূর্ণ বয়স্ক মেয়েদের ঋতুচক্র চলতে থাকে

 

জরায়ু-মুখ ক্যান্সার


জরায়ু বা বাচ্চাদানির সবচেয়ে নিচের অংশ হলো জরায়ু মুখ যা প্রসবের পথ বা যোনিতে গিয়ে মিশেছে। জরায়ুর বিভিন্ন অংশের মধ্যে এই অংশে ক্যন্সার এর আশংকা সবচেয়ে বেশি। অতিরিক্ত সাদাস্রাব, দুর্গন্ধযুক্ত স্রাব, অতিরিক্ত অথবা অনিয়মিত রক্তস্রাব, সহবাসের পর রক্তপাত, মাসিক পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যাবার পর পুনরায় রক্তপাত, কোমড়-তলপেট বা উড়ুতে ব্যথা ইত্যাদি উপসর্গগুলো জরায়ু মুখ ক্যান্সার এর লক্ষণ। অল্পবয়সেই যারা যৌনাচারে অভ্যস্ত হয়ে থাকে তাদের এই ক্যান্সার হবার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশী। একাধিক পুরুষ সঙ্গী থাকা, বা পুরুষ সঙ্গীটির একাধিক নারী সঙ্গী থাকা কিংবা ঘন ঘন বাচ্চা নেয়া ইত্যাদি কারনেও জরায়ূ মুখ ক্যান্সার হতে পারে। বাল্য বিবাহ হওয়া মেয়েদের এই রোগ হবার সম্ভাবনা বেশী।
একদিন বা একমাসে হঠাৎ করে এই ক্যান্সার হয়না স্বাভাবিক কোষ থেকে জরায়ু মুখের ক্যান্সার হতে প্রায় ১০-১৫ বছর সময় লাগে। প্রাথমিক পর্যায়ে ধরা পড়লে চিকিৎসার দ্বারা শতকরা ১০০ ভাগ রোগীই ভালো হয়ে যেতে পারে। রোগের শুরুতে উপসর্গ গুলো অল্পমাত্রায় থাকে দেখে একে কেউ গুরুত্ব দিতে চান না। এজন্য রোগীদের পক্ষে অনেক সময়ই প্রাথমিক পর্যায়ে আসা সম্ভব হয়না। দেরীতে আসলে রোগটি ছড়িয়ে পরে তখন জীবন বাঁচাতে বড় ধরনের অপারেশন এবং রেডিওথেরাপীর (Radiotherapy) প্রয়োজন হয় কিন্ত তাতেও পূর্ণ নিরাময় সম্ভব হয়না।
নিয়মিত পরীক্ষা করানোর মাধ্যমে জরায়ু-মুখ ক্যান্সার প্রতিরোধ করা সম্ভব। এই রোগ থেকে মুক্ত থাকতে যে সকল মহিলার বয়স ৩০ এর বেশী (বাল্য বিবাহ হলে ২৫ এর বেশী) তাদের প্রতি তিন বছর পর পর স্ত্রী রোগ চিকিৎসক বা স্বাস্থ্য কর্মী দ্বারা জরায়ু মুখ পরীক্ষা করানো উচিত। ভায়া -VIA (Visual Inspection of Cervix with Acetic acid), প্যাপ স্মেয়ার(PAP smear) ইত্যাদি পরীক্ষার মাধ্যমে রোগের প্রাথমিক পর্যায়েই রোগটি সনাক্ত করা সম্ভব।

 

কিশোরীর স্তন বিশাল বড় হয়ে যাওয়া


অনেক সময় কিশোরী বয়সে অর্থাৎ মেয়েদের বয়োসন্ধির সময় স্তন বিশাল বড় হয়ে যেতে দেখা যায়। অনেক মেয়ে প্রথম গর্ভধারনের সময় ও এমন সমস্যায় পরতে পারে। বয়োসন্ধির সময় ইস্ট্রোজেন (Oestrogen)হরমোনের প্রভাবে মেয়েদের স্তন এর স্বাভাবিক পূর্ণতাপ্রাপ্তি ও বৃদ্ধি শুরু হয়। কোনো মেয়ের যদি এই ইস্ট্রোজেন এর প্রতি অস্বাভাবিক স্পর্শকাতরতা (altered sensitivityথাকে তাহলে স্তনের এমন অস্বাভাবিক ও অনিয়ন্ত্রিত বৃদ্ধি শুরু হয়। এমনটি হলে স্তন এতো বড় হয়ে যায় যে বসা অবস্থায় দুই পাশের স্তনই মেয়েটির হাটু পর্যন্ত এসে পৌছতে পারে। প্রায় সব ক্ষেত্রেই দুই পাশের স্তন এই সমস্যায় আক্রান্ত হয়ে থাকে। এই সমস্যাটি অস্বস্তিকর এবং অনেক সময় তা দৃষ্টিকটু হিসেবে বিবেচনা করা হয় তাই এর চিকিৎসা করানোর প্রয়োজন আছে। অনেক সময় ইস্ট্রোজেন বিরোধী (Antioestrogen) অসুধ ব্যবহার করে এই সমস্যায় ভালো ফলাফল পাওয়া যায়। এতে যদি স্তন ছোটো হয়ে না আসে তা হলে রিডাকশন ম্যামোপ্লাস্টি (Reduction mammoplastyনামক অপারেশন করিয়েই এর স্থায়ী চিকিৎসা করাতে হবে।


 

কিডনি রোগ:প্রতিরোধ সম্ভব


দীর্ঘস্থায়ী কিডনি রোগ কি:কিডনি যখন নিজস্ব কোন রোগে আক্রান্ত হয় অথবা অন্য কোন রোগে কিডনি আক্রান্ত হয়, যার ফলে কিডনির কার্যকারিতা ৩ মাস বা ততোধিক সময় পর্যন্ত লোপ পেয়ে থাকে তখন তাকে দীর্ঘস্থায়ী কিডনি রোগ বলা হয়। তবে বিশেষ ক্ষেত্রে যদি কিডনি রোগ ছাড়াও কিডনির কার্যকারিতা লোপ পায় তাহলেও তাকে দীর্ঘস্থায়ী কিডনি রোগ বলা যেতে পারে। যেমন-ক্রনিক নেফ্রাইটিস কিডনির ফিল্টারকে আক্রমণ করে ক্রমান্বয়ে কিডনির কার্যকারিতা কমিয়ে ফেলতে পারে। ফলে দীর্ঘস্থায়ী কিডনি রোগ হতে পারে। ঠিক তেমনি ডায়াবেটিস বা উচ্চ রক্তচাপ কিডনি রোগ না হওয়া সত্ত্বেও কিডনির ফিল্টার/ছাঁকনি ধ্বংস করতে পারে। আবার কারও যদি জন্মগতভাবে কিডনির কার্যকারিতা কম থাকে অথবা কিডনির আকার ছোট বা বেশী বড় থাকে তাহলেও দীর্ঘস্থায়ী কিডনি রোগ হতে পারে।

কিডনির ছাকনী: মানুষ জন্মগ্রহণ করার ৬ সপ্তাহের মধ্যেই কিডনির ছাকনি বা ফিল্টার মেমব্রেন পুরোপুরি তৈরী হয়ে যায়। অর্থাৎ কিডনি পুরোদমে কাজ শুরু করতে পারে। একজন প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তির প্রতিটি কিডনিতে প্রায় ১০-১২ লক্ষ ছাকনি রয়েছে এবং প্রতি ২৪ ঘন্টায় ১৭০ লিটার রক্ত পরিশোধন করে। এই পরিশোধিত রক্তের মধ্যে ১-৩ লিটার শরীরের বর্জ্য পদার্থ প্রস্রাবের মাধ্যমে বের করে দেয়া হয়। সুতরাং কোন কারণবশতঃ যদি এ ধরনের ফিল্টার বাঁধাপ্রাপ্ত হয় তখন দীর্ঘস্থায়ী কিডনি রোগ হতে পারে।

কিডনির কার্যকারিতা যাচাই করার জন্য রক্তে ক্রিয়েটিনিন নামক জৈব পদার্থ পরিমাপ করা হয় যার মাধ্যমে কিডনি কতটুকু কাজ করছে তা বোঝা যায়। দুঃখজনক বিষয় হলো- এই জৈব পদার্থটি ৫০ শতাংশ কিডনির কার্যকারিতা নষ্ট হওয়ার পরেই শরীরে বাড়তে পারে। একজন সুস্থ পুরুষ লোকের শরীরে ক্রিয়েটিনিন ১.৪ মিলিগ্রাম এবং মহিলা ১.৩ মিলিগ্রাম হিসেবে স্বাভাবিক ধরা হয়। যদি এই ক্রিটিনিন পুরুষের ক্ষেত্রে ১.৪ মিলিগ্রাম এর উপরে ৩ মাস বা ততধিক কাল স্থায়ী থাকে তখন তাকে দীর্ঘস্থায়ী কিডনি রোগী হিসাবে সনাক্ত করা হয়।

দীর্ঘস্থায়ী কিডনি রোগের জটিলতা:দীর্ঘস্থায়ী কিডনি রোগের সবচেয়ে অসুবিধা হলো বেশির ভাগ ক্ষেত্রে এ ধরনের রোগীদের কোন উপসর্গ হয় না। ফলে বছরের পর বছর এরা চিকিৎসকের শরনাপন্ন হয় না। যখন তাদের উপসর্গ দেখা দেয় তখন তাদের কিডনির কার্যকারিতা ৭৫ শতাংশ লোপ পায়। কিডনি কার্যকারিতা ৭৫ শতাংশ লোপ পাওয়ার পরে ওষুধের মাধ্যমে চিকিৎসা করে পরিপূর্ণ সুস্থ অবস্থায় ফিরিয়ে আনা বেশীর ভাগ ক্ষেত্রেই সম্ভব হয় না। ফলে কিডনি যখন ক্রমান্বয়ে সম্পূর্ণ অকেজো হয়ে পড়ে তখন তারা মৃতু্যর কোলে ঢলে পড়ে। কিন্তু প্রাথমিক পর্যায়ে যদি দীর্ঘস্থায়ী কিডনি রোগ নিরূপন করা যেত তাহলে চিকিৎসার মাধ্যমে এই রোগগুলোকে আংশিক বা পরিপূর্ণ নিরাময় করা সম্ভব হতো। সুতরাং কোন রোগী দীর্ঘস্থায়ী কিডনি রোগে ভুগছে কিনা, এজন্য জনসাধারণের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টি অত্যন্ত জরুরী। 

দরকার নিয়মিত পরীক্ষা-নিরিক্ষা:শুধুমাত্র সচেতনতার মাধ্যমেই একজন রোগীর কিডনি রোগ আছে কিনা তা জানা সম্ভব। যেমন: যে কোন প্রাপ্তবয়স্ক লোকের উপসর্গ থাকুক বা না থাকুক তার রক্তচাপ নিয়মিত পরিমাপ করা, প্রস্রাবে অ্যালবুমিন নির্গত হচ্ছে কিনা তা জানা এবং ডায়াবেটিস আছে কিনা তা নিরূপন করা প্রয়োজন। যদি কারো ডায়াবেটিস ধরা পড়ে অথবা ডায়াবেটিসে ভুগে থাকেন তাকে অন্ততঃ বছরে ১ বার প্রস্রাবে অ্যালবুমিন এবং মাইক্রো অ্যালবুমিন যাচ্ছে কিনা এবং রক্তে ক্রিয়েটিনিন স্বাভাবিক কিনা তা পরীক্ষা করা প্রয়োজন। উচ্চ রক্তচাপের ক্ষেত্রেও একই নিয়ম প্রযোজ্য।

কিডনি রোগের ভয়াবহতা:বেশীর ভাগ দীর্ঘস্থায়ী কিডনি রোগের কোন উপসর্গ হয় না। তাই তারা ডাক্তারের শরণাপন্ন হয় না। সুতরাং দীর্ঘস্থায়ী কিডনি রোগের উপসর্গগুলো সমন্ধে সকলের ধারণা থাকা প্রয়োজন। যদিও দীর্ঘস্থায়ী কিডনি অকেজো রোগে বমি বমি ভাব, ক্ষুধা-মন্দা, রক্ত সল্পতা, শরীরে পানি জমা, শ্বাস কষ্ট এবং প্রস্রাবের পরিমাণের তারতম্য, চর্মরোগ ছাড়াই শরীর চুলকানো এবং ক্রমান্বয়ে দৈনন্দিন কার্যকারিতা লোপ পাওয়া ইত্যাদি উপসর্গ দেখা দিতে পারে। আমাদের দেশে শতকরা ৮০ ভাগ কিডনি রোগী এই উপসর্গগুলো নিয়েই চিকিৎসকের শরণাপন্ন হয় এবং রক্ত পরীক্ষায় দেখা যায় যে, কিডনির ৮০ ভাগ কার্যকারিতাই তখন নষ্ট হয়ে গেছে। দীর্ঘস্থায়ী কিডনি অকেজো হওয়ার ফলে উপরিউক্ত উপসর্গ ছাড়াও শরীরে অনেক জটিলতা দেখা দেয়। যার মধ্যে প্রধান হলো হূৎপিন্ডের রোগ। 

দেশে ১ কোটি ৮০ লাখ কিডনি রোগী: বাংলাদেশে কিডনি ফাউন্ডেশন এবং বিএসএমএমইউ-র উদ্যোগে সাভারের চাকুলিয়া গ্রামে বিগত ৩ বছর ধরে কতজনের দীর্ঘস্থায়ী কিডনি রোগ রয়েছে তার উপর গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছে। প্রায় ৩ হাজার প্রাপ্ত বয়স্ক লোকের উপর এক সমীক্ষায় দেখা গেছে যে, প্রায় শতকরা ১৮ ভাগ মানুষ দীর্ঘস্থায়ী কিডনি রোগে আক্রান্ত। এদের মধ্যে শতকরা ১৩ ভাগ রোগীর রক্তে ক্রিয়েটিনিন স্বাভাবিকের চেয়ে উপরে অথর্াৎ তাদের কিডনির কার্যকারিতা ক্রমান্বেয়ে হ্রাস পাচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রে ২০০৩ সালে ১৫,৬২৫ জন প্রাপ্তবয়স্ক লোকের উপর সমীক্ষায় দেখা যায় যে, এদের ১১ ভাগ দীর্ঘস্থায়ী কিডনি রোগে আক্রান্ত। অস্ট্রেলিয়ায় এই সংখ্যা ১৬% এবং আইসল্যান্ড ১০%। এই সমীক্ষা থেকে এটা প্রতিয়মান হয় যে, বর্তমানে প্রায় ১ কোটি ৮০ লাখ লোক দীর্ঘস্থায়ী কিডনি রোগে ভুগছে।

প্রতিবছর মারা যায় ৪০ হাজার:বিভিন্ন হাসপাতালের পরিসংখ্যান থেকে এটা ধারণা করা হয়-বাংলাদেশে প্রতি বছর প্রায় ৪০ হাজার রোগীর কিডনি সম্পূর্ণভাবে অকেজো হয়ে মারা যায়। এই উধর্্বহারে কিডনি অকেজো হওয়ার কারণ হিসাবে নেফ্রাট্রিস, ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপকেই দায়ী করা হয়ে থাকে। নেফ্রাইটিস রোগের প্রধান কারণ হিসাবে বিবেচিত হওয়ার জন্য ব্যাকটেরিয়া জনিত ইনফেকশন, ভাইরাল হেপাটাইটিস, যহ্মা, ম্যালেরিয়া, কালা-জ্বর এবং ওষুধের পাশর্্বপ্রতিক্রিয়াকে দায়ী করা হয়। খাবারে রাসায়নিক পদার্থ মিশানো এবং ভেজাল, ক্রনিক ইন্টারস্টেশিয়াল নেফ্রাইটিস এর কারণ হিসাবে দায়ী করা যেতে পারে। এমনকি পানিতে অধিক পরিমানে আর্সেনিক কিডনি রোগের সম্ভাবনা বাড়িয়ে দিতে পারে। মার্কারি, লেড, গোল্ড এবং অন্যান্য ধাতব পদার্থ কিডনি রোগের কারণ হতে পারে। হেপাটাইটিস 'বি' এবং 'সি' ভাইরাস এইচআইভি ভাইরাস দক্ষিণ আফ্রিকাতে দীর্ঘস্থায়ী কিডনি রোগের একটি বড় কারণ। ঠিক তেমনি ম্যালেরিয়া আফ্রিকা মহাদেশে কিডনি রোগের কারণ হিসাবে বিবেচিত।

কিডনি অকেজো রোগীর চিকিৎসা:কিডনি সম্পূর্ণ অকেজো হয়ে গেলে শুধু ওষুধের মাধ্যমে রোগীকে বাঁচিয়ে রাখা সম্ভব হয় না। রোগীকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য প্রয়োজন হয় নিয়মিত ডায়ালাইসিস অথবা কিডনি সংযোজন। বর্তমান বিশ্বে নিয়মিত ডায়ালাইসিস করে একজন রোগী ৫ থেকে ১৫ বছর এবং সফল কিডনি সংযোজনের মাধ্যমে ১০-১৫ বছর স্বাভাবিক জীবন যাপন করতে পারে। পৃথিবীতে নিয়মিত হেমোডায়ালাইসিসের মাধ্যমে সর্বোচ্চ ৩০ বছর পর্যন্ত রোগী বেঁচে আছে এবং সফল কিডনি সংযোজনের ক্ষেত্রে প্রায় ৩৩ বছর বেঁচে থাকার রেকর্ড রয়েছে। (নিয়মিত ডায়ালাইসিস বলতে সপ্তাহে ৩ বার ৪ ঘন্টা করে হেমোডায়ালাইসিস মেশিনের মাধ্যমে চিকিৎসা করা বুঝায়।) ঠিক তেমনি নিকট আত্মীয়ের কিডনি নিয়ে প্রতিস্থাপনকে কিডনি সংযোজন বোঝায়। অবশ্য উন্নত বিশ্বে মৃত ব্যক্তির কিডনি নিয়ে বেশীর ভাগ ক্ষেত্রেই কিডনি সংযোজন করা হয়ে থাকে।

কিডনি রোগ সনাক্ত করা দরকার:বর্তমানে উন্নত ও উন্নয়নশীল বিশ্বে দীর্ঘস্থায়ী কিডনি রোগ কিভাবে প্রতিরোধ করা সম্ভব তা নিয়ে ব্যাপক উদ্যোগ গ্রহণ করা হচ্ছে। গ্রাম ও শহর পর্যায়ে দীর্ঘস্থায়ী কিডনি রোগ সনাক্ত করে তা চিকিৎসার ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। বাংলাদেশে গ্রাম পর্যায়ের চলমান গবেষণা থেকে দেখা যাচ্ছে যে, দীর্ঘস্থায়ী কিডনি রোগীর সংখ্যা প্রায় ১৮% যাদের মধ্যে ১৮.৫% এরই উচ্চ রক্তচাপ, ৫% ডায়াবেটিস এবং ৬% প্রস্রাবে প্রোটিন নির্গত হয়। এই ৫% ডায়াবেটিস রোগীর ৩০ শতাংশ এবং ১৮% উচ্চ রক্তচাপের ১৫% এবং ৬% রোগীর যাদের প্রস্রাবে প্রোটিন নির্গত হয় সবাই দীর্ঘস্থায়ী কিডনি রোগে আক্রান্ত বলে ধারণা করা হয়। উক্ত সমীক্ষায় রোগীদের প্রশ্ন রাখা হয়েছিল তারা ডায়াবেটিস, উচ্চরক্তচাপ এবং প্রস্রাব প্রোটিন নির্গত হওয়া সম্পর্কে জানেন কি না। শতকরা ৬০% রোগী জানেই না যে তাদের ডায়াবেটিস উচ্চ রক্তচাপ অথবা প্রস্রাবে প্রোটিন নির্গত হয় এবং তারা চিকিৎসকের শরণাপন্ন হয়নি। সুতরাং এই রোগীগুলোই দীর্ঘস্থায়ী কিডনি অকেজো রোগে ভুগে ক্রমান্বয়ে সম্পূর্ণভাবে কিডনি বিনষ্ট হয়। এই রোগীগুলোকেই সনাক্ত করে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা উচিত।

কিডনি রোগ প্রতিরোধের উপায়:এটা পরীক্ষিত যে, এসিই-ইনহেবিটরস এবং এআরবি জাতীয় উচ্চ রক্তচাপের ওষুধ কিডনি রোগ প্রতিরোধে খুবই কার্যকর। ঠিক তেমনি ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখা মাইক্রো-অ্যালবুমিন ধরা পড়লে জরুরীভিত্তিতে চিকিৎসা করা প্রয়োজন। এছাড়া নিয়মিত ব্যায়াম, ফাস্টফুড না খাওয়া, চর্বি জাতীয় খাবারের প্রতি নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করা গেলে কিডনি রোগ প্রতিরোধ সম্ভব। এছারাও ক্ষেত্রবিশেষে চর্বি নিয়ন্ত্রণকারী ওষুধ খেলে, ধুমপান না করলে কিডনি রোগ প্রতিরোধ করা যায় এবং এর সঙ্গে সম্পর্কিত হূদরোগ থেকেও রেহাই পাওয়া যায়।

কিডনি রোগীদের সচেতন করে এবং প্রাথমিক পর্যায়ে এ রোগ সনাক্তকরণের সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসার ব্যবস্থা করলে লক্ষ লক্ষ কিডনি রোগীর কিডনি সম্পূর্ণ নষ্ট হওয়া থেকে অনেকাংশে রক্ষা পাবে। পাশাপাশি কিডনি অকোজো রোগীরা ডায়ালাইসিস ও কিডনি সংযোজনের বিশাল খরচ থেকে মুক্তি পাবে।


**************************
অধ্যাপক হারুন আর রশিদ
সভাপতি, কিডনি ফাউন্ডেশন ও
বাংলাদেশ রেনাল এসোসিয়েশন
দৈনিক ইত্তেফাক, ১২ মার্চ ২০১১



স্বাস্থ্য টিপসঃ

আপনি কি জানেন?
** প্রতিদিন একটি আপেল
আপনাকে ডাক্তারথেকে দূরে রাখবে।
** প্রতিদিন
একটি তুলসী পাতা আপনাকে ক্যান্সার
থেকে দূরে রাখবে।
** প্রতিদিন একটি লেবু আপনাকে মেদ
ভূড়ি থেকে দূরে রাখবে।
** প্রতিদিন এক গ্লাস দুধআপনাকে হাড়ের অসুখ
থেকে দূরে রাখবে।
** প্রতিদিন তিন লিটার
পানি আপনাকে সকল রোগ
থেকে দূরে রাখবে।


সেক্স বাড়ানোর ঔষধনিয়ে কিছু কথা -->

যারা সহবাসেরপূর্বে বা শখের বসের যৌন শক্তি বাড়ানো ঔষধ ইয়াবা অথবা ট্যাবলেট সেবন করেন.তাদের জন্য একটি পরামর্শ সেক্স বাড়ানো জন্য যৌন শক্তি বর্ধক ট্যাবলেট
খাবেন না । এই ঔষধ পুরুষ কে ধ্বজভংগ রোগের দিকে ঠেলে দেয় কিছু ক্ষেত্রে মানুষকে মৃত্যুর ঠেলে দেয় । যৌন শক্তি বাড়ানো জন্য কোন ঔষধ সেবনের প্রয়োজন নেই.গবেষনায়দেখাযায় পুরুষের পুষ্টিকর খাদ্য খাওয়ার মাধ্যমেযৌন শক্তি পেয়ে থাকে । এক্ষেত্রে গাভীর খাঁটি দুধ ও ডিমের ভূমিকা অসাধারন। যৌনশক্তি বাড়ানোর ক্ষেত্রে ইউনানী ঔষধগুরুত্বপূর্নভূমিকা রাখতে পারে । এজন্য অবশ্যই অভিঞ্জ ও রেজিষ্টার্ড হাকীমের পরামর্শ নিতে হবে । মনে রাখবেন রাস্তা ফুটপাতে থেকে যৌন শক্তিবর্ধক ট্যাবলেট কেনাথেকে বিরত থাকুন । যৌন বাড়ানোর কোন মন্ত্র আছে বলেবিঞ্জান বিশ্বাস করেন না। যারা আপনাকে মন্ত্র পড়ে সহবাসের পরামর্শ দেয়.নিছক আপনার সাথে প্রতারনা করে মাত্র। তাই যে কোন চিকিত্সা বা পরামর্শের জন্য রেজিষ্টার্ড চিকিত্সকের পরামর্শ নিন !

_____Dr.Farjana Rahaman.




            দাগহীন দাঁতঃ


দাঁত ব্রাশ করার সময় পেস্টের সাথে কয়েকদানা লবণ ছিটিয়ে দিন। এভাবে দিনে দু’বার ব্রাশ করুন। লবণের দানা স্ক্রাবার হিসেবে কাজ করে। এছাড়া প্রতিবার ব্রাশের পরে তেজপাতা দিয়ে দাঁতের উপরে ঘসলে দাঁতের দাগ দূর হয়।

[আমাদের টিপস গুলো অবহেলা করবেন না। লাইক দিয়ে সব সময় এক্টিভ থাকুন। 
আপনাদের সুখী জীবনই আমাদের কাম্য।]


 
                রিবন্ডিং চুল


যারা চুল রিবন্ডিং করে বিভিন্ন সমস্যায় রয়েছেন জেনে নিন কীভাবে চুলের যত্ন নেবেন:

সপ্তাহে ২ দিন রাতে নারিকেল তেল বা অলিভ অয়েল হালকা গরম করে চুলে ম্যাসাজ করুন
কিছুক্ষণ চুল আঁচড়ে নিন, এতে রক্ত সাঞ্চালন বাড়বে
শ্যাম্পু করার আগে ১ টি ডিম, ১ চা চামচ ক্যাস্টর অয়েল, ১ চা চামচ লেবুর রস এবং সমপরিমাণ মধু দিয়ে প্যাক তৈরি করে মাথার তালুতে লাগান। একঘণ্টা পর শ্যাম্পু করুন
গরম পানিতে তোয়ালে ভিজিয়ে আধা ঘণ্টা চুল পেঁচিয়ে রেখে শ্যাম্পু করুন। চুলের রুক্ষভাব কমবে
রিবন্ডিং করা চুল খুলে রাখা হয় বলে দ্রুত ময়লা জমে। সপ্তাহে অন্তত তিনবার শ্যাম্পু করুন
সাধারণ শ্যাম্পু ব্যবহারে চুল রুক্ষ হলে মাইল্ড শ্যাম্পু ব্যবহার করুন
শ্যাম্পু করার পর অবশ্যই কন্ডিশনার ব্যবহার করতে হবে
চুলের উজ্জ্বলতা বাড়াতে শ্যাম্পু করার পর এক মগ পানিতে কয়েক ফোঁটা ভিনেগার মিশিয়ে সেই পানি দিয়ে চুল ধুয়ে নিন।

এভাবে নিয়মিত যত্ন নিলে চুল হবে আরও সিল্কি এবং কাঙ্ক্ষিত সুন্দর।
  — 

আপনার ব্লাড গ্রুপের সাথে আপনার বৈশিষ্ট্য মিলিয়ে নিন। আর আমাদের কমেন্ট করে জানান।


ব্লাড গ্রুপের বৈশিষ্ট্য :

”O+” এই ব্লাড গ্রুপের মানুষেরা স্বচ্ছ দৃষ্টি সম্পন্ন, গভীর মনোযোগী, উচ্চাকাঙ্খী, স্বাস্থ্যবান, বাকপটু, বাস্তববাদী, রোমান্টিক এবং অত্যান্ত বুদ্ধিমান হয়ে থাকে।

”O-” এই গ্রুপের মানুষেরা সাধারণত অন্যের মতামতকে গ্রাহ্য করে না। সমাজে মর্যাদা বাড়াতে আগ্রহী, বড়লোকের সঙ্গপ্রিয় এবং বড় বেশি বাচাল।

”A+” এই ব্লাডগ্রুপের মানুষেরা গোছগাছ প্রিয়, দক্ষ চাকুরে এবং খুঁতখুঁতে স্বভাবের হয়ে থাকে। এরা আত্নকেন্দ্রিক, সুবিচারক, শান্ত, নিয়মতান্ত্রিক, বিশস্ত, নিয়মানুবর্তী ও পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন।

”A-” এই ব্লাড গ্রুপের মানুষেরা খুব খুঁতখুঁতে স্বভাবের এবং কিছুটা অমনোযোগী। কিন্তু অপ্রয়োজনীয় বিষয়ে বেশি মনোযোগী। এদের অন্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ করার প্রবণতা বেশি। এদের আছে নিজেকে লুকানোর অভ্যাস এবং একঘেয়েমি জীবন।

”B+” এই ব্লাড গ্রুপের মানুষেরা স্বাধীনচেতা, মেধাবী, নমনীয়, মনোযোগী, স্বাস্থ্যবান, সরল, দক্ষ, পরিকল্পনাবাদী, বাস্তববাদী, আবেগপ্রবণ এবং খুব বেশি রোমান্টিক হয়ে থাকে।

”B-” এই ব্লাড গ্রুপের মানুষেরা অসংযমী, অপরিনামদর্শী, দায়িত্বহীন, অলস, স্বার্থপর, অগোছালো, অবিবেচক এবং স্বার্থান্বেষী হয়ে থাকে।

”AB+” এই ব্লাড গ্রুপের মানুষেরা সাধারণত সুবিবেচক, বুদ্ধি সম্পন্ন, হিসেবী, পরিকল্পনাবাদী, সৎ কৌশলী সংবেদনশীল, নিরেট এবং খুব চমৎকার সাংগঠনিক হয়ে থাকে।

”AB-” এই ব্লাড গ্রুপের মানুষেরা দুর্বোধ্য, ক্ষমতাহীন, অন্যকে আঘাত করার প্রবণতা বেশি, এনার্জি স্বল্পতা, খুববেশি রক্ষনশীল ও বড় বেশি সংবেদনশীল হয়ে থাকেন।


আজ আপনাদের জানাবো অল্প বয়সে বুড়ীয়ে যাওয়া এড়ানোর কিছু টিপস।

সূর্যের আলো ত্বকের ক্ষতি করে। তাই সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৪ টা পর্যন্ত সূর্যের আলো পরিহার করুন। প্রতি ২/৩ ঘন্টা পর পর মধ্য মাত্রার সানব্লক ব্যবহার করুন।

ধূমপান ছেড়ে দিন। ধূমপানের ফলে ত্বকের মসৃণতা কমতে থাকে এবং ত্বক বুড়িয়ে যায়।

ত্বকের পরির্চায় বা গোসলের সময় অতিমাত্রায় গরম পানি পরিহার করুন। অধিক ক্ষারযুক্ত সাবান পরিহার করুন। প্রতিদিন একটি ভালো ক্লিনজার ব্যবহার করুন এবং প্রতিদিন ত্বকে ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন।

স্বাস্থ্য সম্মত আহার করুন এবং খাদ্য তালিকায় শাক সবজি, ফল রাখুন, প্রচুর পানি পান করুন। মাছ খান। রেডমিট পরিহার করুন, ভাত কম খান।

হঠাত্ রেগে গিয়ে কপাল কুচকাবেন না। প্রতিদিন কপাল কুচকাতে থাকলে কম বয়সে ত্বকে ভাজ পড়তে শুরু করে।

প্রতিদিন অন্তত: ৩০ মিনিট ব্যায়াম করুন। অন্তত:সপ্তাহে ৫ দিন।

সর্বোপরি মানসিক চাপ কমিয়ে আনুন। মানসিক চাপ থেকে ত্বকে ভাজ পড়ে এবং ত্বকে বুড়িয়ে যেতে পারে। সর্বদা হাসি খুশি থাকতে চেষ্টা করুন।



ভাত খাবার পর’ যা করতে মানা?

পৃথিবীর কমপক্ষে তিনশ কোটি মানুষের প্রধান খাবার ভাত ৷ বাংলাদেশীদেরও প্রধান খাবারও এই ভাত। স্বাস্থ্যরক্ষায় ভাত খাবার পর কিছু কাজ হতে বিরত থাকার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা। নিজেকে সুস্থ্য রাখতে মেনে চলুন ওই পাঁচ পরামর্শ।

১. খাবার শেষের পর পরই তাৎক্ষণিকভাবে কোন ফল খাবেন না। এতে গ্যাসট্রিকের সমস্যা হতে পারে। ভাত খাওয়ার এক থেকে দুই ঘন্টা পর, কিংবা এক ঘন্টা আগে ফল খাবেন।

২. ধুমপান করবেন না। আপনি সারাদিনে অনেকগুলো সিগারেট খেলেও যতটুকু না ক্ষতি হয়, ভাত খাবার পর একটি সিগারেট বা বিড়ি তার চেয়ে অনেক বেশী ক্ষতি করবে আপনার শরীরের। ভাত খাবার পর একটা সিগারেট খাওয়া আর সার্বিকভাবে দশটা সিগারেট খাওয়া ক্ষতির বিবেচনায় সমান বলে মত দিয়েছেন চিকিৎসকরা।

৩. চা খাবেন না। চায়ের মধ্যে প্রচুর পরিমাণ টেনিক এসিড থাকে যা খাদ্যের প্রোটিনের পরিমাণকে ১০০ গুণ বাড়িয়ে তোলে। ফলে খাবার হজম হতে স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক বেশী সময় লাগে।

৪. বেল্ট কিংবা প্যান্টের কোমর ঢিলা করবেন না। খাবার পরপরই বেল্ট কিংবা প্যান্টের কোমর ঢিলা করলে অতি সহজেই ইন্টেসটাইন (পাকস্থলি) থেকে রেক্টাম (মলদ্বার) পর্যন্ত খাদ্যনালীর নিম্নাংশ বেকে যেতে পারে, পেঁচিয়ে যেতে পারে অথবা ব্লকও হয়ে যেতে পারে। এ ধরণের সমস্যাকে ইন্টেস্টাইনাল অবস্ট্রাকশন বলা হয়। কেউ বেশি খেতে চাইলে আগে থেকেই কোমরের বাধন লুজ করে নিতে পারেন।

৫. স্নান বা গোসল করবেন না। ভাত খাবার পরপরই স্নান করলে শরীরের রক্ত সঞ্চালন মাত্রা বেড়ে যায়। ফলে পাকস্থলির চারপাশের রক্তের পরিমাণ কমে যেতে পারে যা পরিপাক তন্ত্রকে দুর্বল করে ফেলবে, ফলে খাদ্য হজম হতে সময় স্বাভাবিকের চেয়ে বেশী লাগবে।


অতি সহজেই উজ্জল ত্বকঃ

ক্লিনজার বানাতে পারেন টমেটো দিয়ে। সমপরিমাণ টমেটোর রস ও দুধ একটি বোতলে ভরে ফ্রিজে রাখতে পারেন। 
প্রতিদিন আঙ্গুল দিয়ে লাগিয়ে ১০ মিনিট রাখলেই পাবেন উজ্জন ত্বক।


কালো দাগ তুলুন অতি সহজেঃ

কনুইয়ের অংশে অনেক সময় কালো ছোপ পড়ে যায়। মধু ও লেবুর রস একসঙ্গে মিশিয়ে আলতো করে ঘষুন। কালো ছোপ কমে যাবে।



অনিদ্রা থেকে বাঁচার উপায়--

১. মাঝ রাতের আগে ঘুমাতে যাওয়া।
২. রাতের খাবার রাত ৯টার মধ্যেই সেরে নেয়া।
৩. রাতের খাবার খেয়েই শোবেন না। কিছুক্ষণ হাঁটাহাঁটি করা কিংবা পরিবারের সদস্যদের সাথে গল্প করা, তারপর ঘুমাতে যাওয়া।
৪. রাতের খাবার সহজপাচ্য ও হালকা হওয়া ভালো।
৫. ঘুমাতে যাওয়ার আগে কোনো ফল খাওয়া।
৬. শোয়ার আগে মধুমিশ্রিত গরম দুধ খেতে পারেন।
৭. শুয়ে শুয়ে টিভি দেখবেন না, কিংবা শোয়ার ঘরে টিভি 
রাখবেন না।
৮. মনে মনে ঘুমের জন্য ইতিবাচক ভাবনা তৈরি করুন।





 
মুখে উঠেছে ব্রণ? 

একটু খানি লবঙ্গ বাটা লাগিয়ে দিন ক্ষত স্থানে। দ্রুত মিলিয়ে যাবে, আবার দাগও থাকবে না।


মিনি পোস্টগুলো অবহেলা করবেন না।
লাইক দিয়ে একটিভ থাকুন।


নখের হলদে ভাব ?

নখের হলদে ভাব দূর করতে নিচের যেকোনো একটি নিয়মিত করুন-

* নখগুলোকে কিছুক্ষণের জন্য ভিনেগারে ভিজিয়ে রাখুন ।
* লেবুর রসে ১০ মিনিট নখ ভিজিয়ে রাখুন ।
* টুথপেস্ট নখের ওপর দিয়ে ১০ মিনিট পর ভালোভাবে ধুয়ে ফেলুন ।
* হাইড্রোজেন পার-অক্সাইড ও বেকিংপাউডার মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে নখের ওপর লাগালে নখ সজীব থাকে ।

পোস্ট ভালো লাগলে লাইক ও শেয়ার দিয়ে সর্বদা
একটিভ থাকুন। নাহলে পরবর্তী পোস্টগুলো হারিয়ে যাবে আপনার ওয়াল থেকে।


 


লেবুর আশ্চর্য্যজনক গুনাগুনগুলোঃ

—লেবুর ভিটামিন সি ক্যান্সারের সেল গঠন প্রতিরোধ করে।
—লেবু বুক জ্বালা প্রতিরোধ করতে ও আলসার সারাতে সাহায্য করে।
—লেবু আর্থাইটিসের রোগীদের জন্য ভালো ।
—লেবু শরীরের ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়াগুলোকে ধ্বংস করে।
—লেবু এন্টিঅক্সিডেন্ট ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধির পাশাপাশি ত্বক পরিষ্কার রাখে, ত্বকের বুড়িয়ে যাওয়া রোধ করে। কালোদাগ ও ত্বকের ভাঁজ পড়া কমায়।
—লেবু ওজন কমাতে সাহায্য করে।
—লেবু হজমে সাহায্য করে|
--রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়|

(আপনি যদি মনে করেন পোস্টটি গুরুত্বপূর্ণ তবে শেয়ারকরে বন্ধুদের দেখার সুযোগ দিন। নিজে জানুন ও অন্যকে জানতে সাহয্য করুন। নিয়মিত লাইক, কমেন্টস না করলে এই মুল্যবান পোস্ট গুলো আর আপনার ওয়ালে খুজে পাবেন না।)


               ত্বকের যত্ন:
    

*সপ্তাহে ২/৩ বার মধুর সঙ্গে গোলাপজল ও গ্লিসারিন মিলিয়ে ব্যবহার করতে পারেন; ১০-১৫
মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন।
*যষ্ঠিমধু ভেজানো পানি, মধু ও লেবুর রস একসঙ্গে মিলিয়ে সপ্তাহে ২/৩ বার ব্যবহার
করতে পারেন।
*এক টেবিল চামচ দুধের সর, লেবুর রস, শশার রস, আধা টেবিল চামচ
চিনি একসঙ্গে মিলিয়ে ঘাড়ে ও গলায় লাগিয়ে ২০ মিনিট রেখে ধুয়ে নিন। প্রতিদিন লাগাবেন।
*ফ্রিজে একটু দুধ রেখে দেবেন, প্রতিদিন বাইরে থেকে বাসায় ফিরে তুলার সাহায্যে এই বরফ
শীতল দুধ লাগালে রোদে পোড়া দাগ দূর হয়ে ত্বক হয়ে উঠবে ফর্সা ও উজ্জ্বল।
*মধু ও দুধ একসঙ্গে মিলিয়ে ব্যবহারে ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়বে।
উপকারী মনে হলে LIKE দিয়ে উৎসাহিত করতে ভুলবেন না
আপনাদের সর্বোচ্চ Like আমাদের
পরবর্তী ভাল পোস্ট শেয়ার
করতে উত্সাহ দেয়





কালো চুলের জয় জয় কার

কালো চুলের জয় জয় কার চিরকাল। এই চুল নিয়েই জীবনানন্দ থেকে শুরু করে অনেক বড় বড় কবি, লেখকরা গানে, কবিতায়, নাটকে ফুটিয়ে তুলেছেন সুনিপুন প্রশংসা।

চুল গুলোর হারানো জৌলুশ ফিরিয়ে আনতে একটা সহজ উপায় হল জবা ফুল। জেনে নিন কীভাবে এটি আপনার চুলের সৌন্দয বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।

কি কি লাগবে :

১.জবা ফুল
২. নারিকেল তেল

পদ্ধতি :
ছুটির আগের রাতে ২-৩ টা লাল জবা ফুল হালকা গরম নারিকেল তেল এ চটকিয়ে তেল এর সাথে ভালো করে মিশাবেন। এর পরে ঐ লাল জবা ফুলের মিশানো তেল চুলের গোঁড়ায় গোঁড়ায় লাগাবেন। রাতে এইভাবে রেখে দিবেন। সকালে উঠে ভালো কোন শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলবেন। এইভাবে প্রতি সপ্তাহে করবেন। একদিন দেখবেন আপনার চুল কেমন উজ্জ্বল, কালো হয়ে উঠে আপনার মুখের হাসি ফিরিয়ে দিয়েছে।

পোস্টটি ভালো লাগলে Like, Comments ও Share করতে ভুল করবেন না। নিজে জানুন ও অন্যকে জানতে সাহয্য করুন।নিয়মিত লাইক কমেন্টস না করলে এই মুল্যবান পোস্টগুলো আর আপনার ওয়ালে খুজে পাবেন না। ধন্যবাদ




              জানেন কি?

পৃথিবীর সবচেয়ে ভালো ক্লিনজিং-দুধ। ত্বকের
ময়লা পরিস্কার করতে কাঁচা দুধের জুড়ি নেই।
দুধে তুলা ভিজিয়ে ত্বকে আলতো করে ম্যাসাজ করুন।
ত্বকের ময়লা দূর হবে। উজ্জ্বল হবে ত্বক।
মিনি পোস্ট গুলো অবহেলা করবেন না। লাইক দিয়ে একটিভ থাকুন।


::::মধুর কিছু উপকারিতা::::

—মধু ফ্যাট কমায়, ফলে ওজন কমে।

—মধু প্রাকৃতিকভাবেই মিষ্টি। তাই মধু সহজে হজম হয়।

—চোখের জন্য ভালো।

—গলার স্বর সুন্দর করে।

—শরীরের ক্ষত দ্রুত সারায়।

—আলসার সারাতে সাহায্য করে।

—নালীগুলো পরিষ্কার করে।

—ঠাণ্ডা লাগলে জ্বর, গলাব্যথায় ভালো ওষুধ হিসেবে কাজ করে।

—মধু এন্টি অক্সিডেন্ট, যা ত্বকের রং ও ত্বক সুন্দর করে। ত্বকের ভাঁজ পড়া ও বুড়িয়ে যাওয়া রোধ করে।

—বুদ্ধিবৃত্তি বাড়ায়।

—শরীরের সামগ্রিক শক্তি বাড়ায়|

 
মনেরাখুন ও সব্বাইকে জানিয়ে দিন।
~~~সুস্থ থাকার ২০টি সূত্র~~~

একেবারে ফিট থাকতে গেলে কিছু নিয়ম-কানুন মেনে চলতে হবে। সুস্থ শরীর তার সঙ্গে শান্তিময় জীবন লাভ করতে কে না চায়। কিন্তু বিশৃঙ্খলার আড়ালে জীবনটাই এলোমেলো হয়ে যায়। থাকে না শান্তি, থাকে না স্ব্বস্তি। সুস্থ থাকার কিছু সূত্র আছে। সেগুলো কী তা জেনে নিই।

—প্রতিদিন খুব সকালে ঘুম থেকে ওঠে দুই অথবা তিন কি.মি.হাঁটুন। এরপর গোসল করে প্রার্থনা করুন। এতে মন এবং প্রাণ সতেজ থাকবে।

—সব সময় সোজা হয়ে বসুন।

—যখনই খাবার খাবেন তখন ভালো করে চিবিয়ে খাবার গ্রহণ করুন। এতে পাচন ক্রিয়া ঠিক থাকবে।

—মোটা হওয়ার প্রধান কারণ হলো তৈলাক্ত এবং মিষ্টি জাতীয় খাবার খাওয়া। তাই এ ধরনের খাবার খুব কম খান।

—সম্ভব হলে সপ্তাহে একদিন উপোস করে শরীরে খাবারের সমতা বজায় রাখুন।

—গাড়ি থাকলেও খুব বেশি গাড়ি চালাবেন না। বেশিরভাগ সময় হেঁটেই কাজ সারুন। এতে পায়ের মাংসপেশীর ব্যায়াম হবে। আপনি দীর্ঘদিন সুস্থ থাকতে পারবেন।

—বেশি পরিমাণে সবুজ শাক-সবজি আর ফলমূল খান।

—ঘরের সব কাজ নিজে করারই চেষ্টা করুন।

—ব্যস্ত থাকাটা শরীর ও মন—দুয়ের পক্ষে ভালো। তাই কাজে যতটা সম্ভব ব্যস্ত থাকুন।

—আপনার রুচি ও ব্যক্তিত্ব অনুয়ায়ী পোশাক পরিধান করুন।

—শরীরের নিয়মিত যত্ন নিন। শরীরের সৌন্দর্য বজায় রাখুন।

—গরমের দিন রাতে শোয়ার আগে গোসল করুন, এতে ঘুম ভালো হবে।

—রাতে শোয়ার আগে ঢিলেঢালা পোশাক পরুন। শরীরের প্রত্যেকটা অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ রোম ছিদ্রের মধ্য দিয়ে শ্বসন প্রক্রিয়া চালায়। সে কারণে শোয়ার আগে ঢিলেঢালা পোশাক পরে ঘুমানো উচিত।

—চুলের প্রতি বিশেষ খেয়াল রাখুন। কারণ চুল হলো সৌন্দর্যের অঙ্গ। সম্ভব হলে সপ্তাহে একদিন হার্বাল শ্যাম্প দিয়ে মাথা ধৌত করুন।

—প্রতিদিন অন্তত ১০ মিনিট ধ্যান করুন। এতে মানসিক শান্তি পাবেন। তার ওপর মনের জোরও বাড়বে।

—ক্রোধ থেকে নিজেকে বাঁচিয়ে চলুন।

—কথার উপরে সংযম রাখুন। আপনার কথায় কেউ যেন মানসিক দুঃখ না পায়। সেটা মাথায় রেখে কথা বলুন।

—রাতে শোয়ার সময় মনে কোনো চিন্তা রাখবেন না। সুস্ব্বাস্থ্য বজায় রাখার জন্য গভীর ঘুম অত্যন্ত জরুরি।

—পেশাগত কোনো সমস্যা থাকলে সে সমস্যাকে না জিইয়ে রেখে তা মেটানোর চেষ্টা করুন।
 

ঋতুচক্রে স্তনে ব্যথা বা সাইক্লিকাল মাস্টালজিয়া


অনেক মেয়েরাই ঋতুচক্রের সময় তাদের স্তনে তীব্র ব্যথা অনুভব করে। একে মাস্টালজিয়া বলা হয়। এ ধরনের ব্যথার কারনে তার স্বাভাবিক জীবন যাত্রা অনেক সময় অচল হয়ে পরে, মেয়েটি নিদ্রাহীনতায় ভোগে এবং তার স্বাভাবিক যৌন জীবনও ব্যাহত হয়। মাস্টালজিয়া এসব মেয়েদের মনে তীব্র ভীতির সঞ্চার করে থাকে।
অনেক মেয়েই ধারনা করে যে স্তনের এই ব্যথা বুঝিবা স্তন ক্যান্সার এর কারনে হয়। কিন্ত তাদের এই ধারনা একদমই ঠিক নয়।ঋতুচক্র বা মাসিকের সময় ইসট্রোজেন হরমোনের প্রতি তাদের স্তনের বাড়তি স্পর্শকাতরতার কারনেই অনেক সময় এই সমস্যাটির সৃষ্টি হয়। স্তন ক্যান্সার বা অন্য কোনো জটিল রোগে এমন ব্যথা হবার কোনোই সুযোগ নেই।
কারো মাস্টালজিয়া হচ্ছে চিন্তা করলে চিকিৎসকের (ব্রেস্ট সার্জন) পরামর্শ নেয়া উচিত। এই সময় মেয়েটিকে সারাদিন একদম সঠিক মাপের (Appropriately fitting) একটি ব্রা(Supportive bra) পরে থাকতে হয় এবং রাতের বেলা একটি তুলতুলে নরম ব্রা (Sports bra) পরে থাকতে হয়। এসময় কফি পান করলে ব্যথার তীব্রতা বাড়তে পারে তাই এই সকল পানীয় এড়িয়ে চলতে হবে।
চিকিৎসক শুরুতেই জানতে চাইতে পারেন মাসের ঠিক কয়দিন এবং কি মাত্রায় এই ব্যথা থাকে। তাই ভুক্তভোগীকে অবশ্যই এর সঠিক বর্ণনা দিতে হবে। প্রথমেই মনে রাখতে হবে এটা কোনো রোগ নয়, শুধু একটি উপসর্গ, এজন্য স্তন বা মেয়েটি কারোরই কোনো ক্ষতি হচ্ছেনা। ব্যথার স্থায়ী নিবারনের জন্য চিকিৎসকগন অয়েল অব ইভিনিং প্রিম্রোজ নামক একধরনের অসুধ তিন মাসের জন্য সেবন করার উপদেশ দিয়ে থাকেন এবং এতে ৩৫ উর্ধ্ব বেশীর ভাগ মহিলাই ভালো অনুভব করেন। যাদের খুব তীব্র ব্যথা থাকে তাদের ইস্ট্রোজেন বিরোধী অসুধ যেমন ডানাজল বা টেমোক্সিফেন অথবা প্রলাকটিন বিরোধী ব্রোমোক্রিপটিন বা এল,এইচ,আর,এইচ এগোনিস্ট সেবন করার পরামর্শ দেয়া হয়।
যাদের স্তনের ব্যথা ঋতুচক্রের সাথে সম্পর্কিত নয় তাদের চিকিৎসা কিন্ত ভিন্ন। এসব মহিলার ক্ষেত্রে প্রথমেই জেনে নিতে হবে এটা সত্যি সত্যিই স্তনের ব্যথা না বুকের মাংশ পেশী বা অন্য কোথাও এর উৎস। যদি সত্যিই স্তনের ব্যথা হয় তাহলে অবশ্যই স্তন বায়োপসি করে নিশ্চিত হতে হবে যে তার স্তন ক্যান্সার হয়নি। এটা নিশ্চিত করতে পারলে এসব ক্ষেত্রে ব্যথানাশক অসুধ সেবন অথবা ব্যথার স্থানে অবশ করা ইঞ্জেকশন ব্যবহার করে এই সমস্যা থেকে নিস্তার পাওয়া যেতে পারে।

 

স্তনের ক্যান্সার (Breast Cancer)


উন্নত বিশ্বে মধ্য বয়স্ক মহিলাদের মৃত্যুর প্রধান কারন হলো স্তন ক্যান্সার। অনুন্নত বিশ্বেও এই হার আশংকাজনক। যুক্তরাজ্যে প্রতি ১২ জন মহিলার ১ জন স্তন ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়। ২০ বছর বয়সের নীচের মহিলাদের এই ক্যান্সার হয়না বললেই চলে। পুরুষদের স্তন ক্যান্সারে আক্রান্ত হবার সম্ভাবনা খুবই কম (০.৫% )। উন্নত বিশ্বের আধুনিক খাদ্যাভ্যাস নাগরিকদের অনেক সমস্যায় ফেলে, স্তন ক্যান্সার সেই খাদ্যাভ্যাসের কারনেই পশ্চিমা বিশ্বে বেশী দেখা যায় বলে ধরা হয়। বলে রাখা ভালো জাপান উন্নত বিশ্বের তালিকায় থাকলেও সেখানে স্তন ক্যান্সার কিন্ত ইউরোপ আমেরিকার মতো অতো বেশী নয়। তবে যেকোনো দেশেই অতিরিক্ত মদ্যপায়ীদের স্তন ক্যান্সারে আক্রান্ত হবার হার যে অনেক বেশী এটা এখন একটা পরীক্ষিত সত্য। বিভিন্ন সমীক্ষায় দেখা গেছে, যে সকল মা তাদের সন্তান কে নিয়মিত স্তন্য পান করিয়েছেন তাদের স্তন ক্যান্সার হবার হার তুলনামুলক হারে অনেক কম, তেমনি যে সকল মা কম বয়সে বাচ্চা নিয়েছেন এবং যেসকল মহিলার মাসিক একটু দেরিতে শুরু হয়েছে (Late menarche) এবং আগে বন্ধ হয়ে গেছে (Early menopause) তাদের মধ্যেও এই হার বেশ কম।
অন্য দিকে যে সকল মহিলা একটিও সন্তান নেননি অথবা যারা menopause এর পরে স্থুলকায় (Obese) হয়ে গেছেন তাদের এই ক্যান্সার হবার হার তুলনামুলক হারে বেশী।
সমীক্ষা যাই বলুক না কেন ৩০ বছরের পরে যে কোনো মহিলারই নিয়মিত স্তন পরীক্ষা করে দেখা উচিত তার স্তনে গোটার মতো কিছু পাওয়া যায় কিনা। এই জন্য আয়না (Mirror) এর সামনে দুই বুক খুলে দাঁড়িয়ে নিজে নিজেই তা ভালো করে চেপে পরীক্ষা করে দেখা উচিত এবং সন্দেহ জনক কিছু পাওয়া গেলে সাথে সাথে Breast surgeon এর সাথে যোগাযোগ করা উচিত। এই পরিস্থিতিতে আল্ট্রাসনোগ্রাম বা ম্যামোগ্রাম পরীক্ষা করিয়ে স্তন এ টিউমার আছে কিনা তা নিশ্চিত করা উচিত। টিউমার থাকলে তা ক্যান্সার না নিরীহ শ্রেনীর তা ১০০% নিশ্চিত করতে অবশ্যই বায়োপসি করে হিস্টপ্যাথলজি করতে হবে।
শুরুতে স্তন ক্যান্সার একটা ছোট্ট দানার মতো হাতে লাগতে পারে তবে অনেক সময় তা হাতে নাও লাগতে পারে। অনেক সময় এই রোগে স্তনের বোটা বা নিপ্যল (Nipple) কিছুটা ভিতরের দিকে ঢুকে যায় (Nipple retraction), কারো কারো আবার টিউমারের ঠিক উপরের স্তনের ত্বক কমলার খোসার মতো ছিদ্র ছিদ্র আকার ধারন করে (Peau d’orange)। এসব চিহ্ন স্তন ক্যান্সার যে বেশ অগ্রবর্তী পর্যায়ে চলে গেছে তা নির্দেশ করে। তবে এই ক্যান্সার অগ্রবর্তী হলে গোটার মতো টিউমারটি বুকের মাংসপেশীর সাথে লেগে যায় এবং বুকে ব্যথা করতে থাকে সেই সাথে বগলের লসিকা গ্রন্থিগুলো (Lymph node) ফুলে বড় হয়ে উঠতে থাকে। রোগের এক পর্যায়ে রোগীর স্বাস্থ্য খারাপ হয়ে যায়, তিনি দ্রুত ওজন হারাতে থাকেন, সেই সাথে ক্ষুদামন্দা, বমি বমি ভাব, ফুসফুসে পানি জমে শ্বাস কষ্ট, লিভার আক্রান্ত হয়ে পেটে পানি জমা এই সমস্যা গুলোও একে একে যোগ হতে থাকে।
জেনে রাখা ভালো যেদিন প্রথম স্তন ক্যান্সার ধরা পরলো সেদিন সম্ভবত তা সমস্ত শরীরে ছড়িয়ে পরেছে। স্তন ক্যান্সার খুব দ্রুত হারে সমস্ত শরীরে ছড়িয়ে পরতে পারে, তাই রোগের সন্দেহ হবার পরপরই এর চিকিৎসা শুরু করা উচিত। এমন কোনো অসুধ এখনো আবিস্কৃত হয়নি যা স্তন ক্যান্সার কে পুরোপুরি ভালো করে দিতে পারে, তবে বিভিন্ন মডালিটির চিকিৎসা একই সাথে চালিয়ে গেলে এই রোগ নিয়ন্ত্রন করা সম্ভব।
অধিকাংশ ক্ষেত্রে ক্যান্সার ধরা পড়ার পরপরই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকগন রোগীকে একই সাথে কিংবা ভিন্ন ভিন্ন ভাবে কেমোথেরাপি / রেডিওথেরাপি (নিওএডজুভেন্ট থেরাপি) শুরু করে প্রথমেই রোগটিকে নিয়ন্ত্রনে নিয়ে নেন। এরপর অবস্থা বুঝে অপারেশন করে টিউমার আক্রান্ত পুরো স্তন (Mastectomy) এবং সেইসাথে বগলের লিম্ফ গ্রন্থি ফেলে দেয়া হয়। এর পরে রোগীকে নির্দিষ্ট মাত্রার রেডিওথেরাপি এবং কেমোথেরাপি দিয়ে রোগীর দেহ থেকে ক্যান্সার আক্রান্ত সকল কোষ মেরে ফেলার পদক্ষেপ নেয়া হয়। তবে চিকিৎসার এই পদক্ষেপ গুলো নির্ভর করে রোগী ক্যান্সার এর কোন পর্যায়ে চিকিৎসক এর কাছে এসেছে তার উপর। বেশী দেরি করে আসলে এর কার্যকরী চিকিৎসার সুযোগ একদমই কমে আসে।
স্তন ক্যান্সার এর কেমোথেরাপি তে টেমোক্সিফেন, সাইক্লোফসফামাইড, টেক্সেডিওল, ক্যাপাসিটাবিওন, এনস্ট্রাজল ইত্যাদি বিভিন্ন ধরনের হরমোন বা বিষ জাতীয় অসুধ বিভিন্ন মাত্রায় ব্যবহার করা হয়। এসব নির্ভর করে রোগীর কোন ধরনের ক্যান্সার হয়েছে এবং সেই ক্যান্সার কোষের স্পর্শকাতরতার উপর। এসব অসুধ বেশ ব্যয়বহুল এবং এদের কার্যকারিতা এবং পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও ভিন্ন ভিন্ন বটে, তাই সব রোগীকে একই ধরনের অসুধ দেয়া সম্ভব হয়না। তাই রোগীর উচিত চিকিৎসার শুরুতেই এসব ব্যাপারে খোলামনে তার চিকিৎসক এর সাথে আলাপ করে নেয়া।
পরিবারে মা, খালা, ফুপু, বড় বোন এমন কারো স্তন ক্যান্সার থেকে থাকলে অন্য সদস্যদের ক্যান্সার হবার সম্ভাবনা অনেক বেশী থাকে, তাই এসব ক্ষেত্রে বাড়তি সাবধানতা অবলম্বন করা উচিত। এসব পরিবারের সদস্যাদের অল্প বয়স থেকেই নিয়মিত স্তন পরীক্ষা করানো উচিত এবং দীর্ঘায়ু হবার লক্ষে স্তন ক্যান্সার ধরা পড়ার সাথে সাথেই স্তনের অপারেশন সহ অন্য চিকিৎসা পদ্ধতিগুলো দ্রুত গ্রহন করা উচিত।
স্তন ক্যান্সার হবার পরে অপারেশন করানো এবং কেমোথেরাপি, রেডিওথেরাপি নেবার পরও রোগী পুরোপুরি মৃত্যুর ঝুকি থেকে মুক্ত হয়ে যায়না যদিও সব ধরনের উপসর্গ থেকে তিনি মুক্ত থাকতে পারেন। সমীক্ষায় দেখা গেছে সাধারনত রোগের যে সকল অবস্থায় বা স্টেজ(stage II/III) এ রোগীরা চিকিৎসক এর কাছে আসেন তার পুর্নাঙ্গ চিকিৎসা করা হলেও রোগীর ৫ বছর বেচে থাকার সম্ভাবনা থাকে শতকরা ৫০ থেকে ৭০ ভাগ। খুব প্রাথমিক অবস্থায় বা স্টেজ (stage I) এ আসলে এটা বেড়ে ৮৫% পর্যন্ত হতে পারে তেমনি খুব শেষ পর্যায় (stage IV) এ আসলে ৫ বছর বাচার সম্ভাবনা কমে গিয়ে থাকে মাত্র ২৫%।
তাই পরিশেষে এই বলতে হয় স্তন ক্যান্সার বেশ খারাপ ধরনের একটি রোগ, এ রোগ হওয়া অর্থ মৃত্যু ঘনিয়ে আসা, তবে কেউ যদি খুব প্রাথমিক পর্যায়ে এই রাগের চিকিৎসা নিতে পারেন তার দীর্ঘায়ু হবার সম্ভাবনা খুব প্রবল। তাই প্রত্যেক পরিণত মহিলার উচিত নিয়মিত স্তন পরীক্ষা করে দেখা এবং কোনো প্রকার সন্দেহ হলেই চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া।

 

নবজাতকের ওজনহীনতা


জন্মের সময় শিশুর ওজন যদি আড়াই কেজি (কিলোগ্রাম) এর কম হয় তাহলে ধরে নেয়া হয় শিশুটি এল,বি,ডাব্লিউ বা Low birth weight baby (LBW). এই ওজন যদি দেড় কেজিরও কম হয় তাহলে তাকে খুব কম ওজনের শিশু বা Very low birth weight (VLBW) এবং ৭৫০ গ্রামের কম ওজনের হলে চরম ওজনহীন শিশুExtreme low birth weight (ELBW) বলা হয়।
কিশোরী মাতার সন্তানের ওজন সাধারণত খুব কম হয় এবং গর্ভে শিশু পরিণত বয়সপ্রাপ্ত হবার আগেই (Preterm) ভূমিষ্ঠ হলেও ওজন খুব কম হয়। এছাড়া গর্ভাবস্থায় মায়ের যদিডায়াবেটিস (Diabetes), হৃদরোগ, কিডনি রোগ, পুষ্টিহীনতা, রক্তশুন্যতা, বড় কোনো ইনফেকশন, টক্সেমিয়া (Toxaemia), রক্তস্রাব বা এইধরনের জটিল কোনো রোগ থাকে তাহলে নবজাতকের ওজন কম হতে পারে। জমজ শিশু বা জন্মগত ত্রুটি নিয়ে জন্মানো শিশুদের ওজন কম হতে পারে, ধুমপায়ী মায়েদের সন্তানেরও জন্মের সময় ওজন বেশ কম থাকে।
কম ওজনের নবজাতক খুব কম সহজেই রোগাক্রান্ত হয়ে যেতে পারে তাই এসকল শিশুর ক্ষেত্রে বিশেষ যত্ন নিতে হয়। সবসময় শিশুটিকে উষ্ণ রাখতে হবে, তাপমাত্রা কমতে দেয়া যাবেনা, পরিষ্কার হাতে শিশুকে ধরতে হবে এবং শিশুর পরিধানের কাপড়ও খুব পরিস্কার রাখতে হবে। শ্বাস নিতে কোনো সমস্যা হলে সাথে সাথে মুখের ভেতরের লালা এবং নাকের সর্দি পরিষ্কার করে দিতে হবে।
শিশুর ওজন বেশ কম হলে শিশুটিকে হাসপাতালে ভর্তি করে শিশু বিশেষজ্ঞের তত্ত্বাবধানে রাখতে হবে। সঠিক পুষ্টির জন্য মায়ের দুধের পাশাপাশি নাকে নল দিয়ে খাবার দেয়া এমনকি শিরার মাধ্যমেও খাবার দেয়ার প্রয়োজন হতে পারে। শিশুর তাপমাত্রা কমে গেলে তাকে ইনকিউবেটর (Incubator) এ দিতে হবে। ইনফেকশন প্রতিরোধ করার জন্য বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকগন এনটিবায়োটিক সেই সাথে কিছু ভিটামিন এবং ফেনোবারবিটোন(Phenobarbitone) জাতীয় অসুধ ও দিয়ে থাকেন। নির্দিষ্ট সময়ের পূর্বে ভুমিষ্ঠ হওয়া(Preterm) শিশুর অবস্থা খুব খারাপ হলে শিশুকে এন,আই,সি,ইউ (NICU - Neonatal Intensive Care Unit) তে ভর্তি করে চিকিৎসা দেয়া লাগতে পারে।

 

হৃদরোগ সংক্রান্ত কিছু সাধারণ উপদেশ


হৃদরোগ সংক্রান্ত কিছু সাধারণ উপদেশ নীচে দেওয়া হল -
· সকল প্রকার তামাক এবং তামাকজাত দ্রব্য গ্রহন থেকে বিরত থাকুন।
· অতিরিক্ত তেল অথবা চর্বি যুক্ত খাবার গ্রহন থেকে বিরত থাকুন,স্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহন করুন।
· আপনার খাদ্য তালিকায় তাজা শাকসব্জি এবং ফল অন্তর্ভুক্ত করুন।
· তরকারিতে পরিমিত লবন খান, খাবারে বাড়তি লবন মিশিয়ে খাওয়া বন্ধ করুন।
· চিনি বা মিষ্টি জাতীয় খাবার যত সম্ভব এড়িয়ে চলুন।
· ঘাম ঝরানো শারীরিক পরিশ্রম করুন, হাটার সময় দ্রুত হাটুন। সব সময় লিফট ব্যবহার না করে যতদুর সম্ভব সিড়ি বেয়ে উঠার অভ্যাস করুন।
· উচ্চরক্তচাপ বা হাইপারটেনশন (ব্লাড প্রেসার) এবং ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রনে রাখুন।
· শরীরের বাড়তি ওজন কমিয়ে ফেলুন এবং ওজন নিয়ন্ত্রনে রাখার চেষ্টা করুন।
· রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রিত রাখুন, লিপিড প্রোফাইল পরীক্ষাটি করে জেনে নিন আপনার রক্তে কোন ধরনের চর্বি বেশী আছে, সেই অনুযায়ী চিকিৎসা নিন এবং খাদ্য তালিকা তৈরী করুন।
· যাদের বাবা/মা বা বড় ভাই বোন দের (পারিবারিক) হৃদরোগ আছে তারা অতিরিক্ত সাবধানতা অবলম্বন করুন এবং নিয়মিত রক্তচাপ, রক্তের চর্বি, ডায়াবেটিস পরীক্ষা করে নিজের অবস্থান জেনে নিন।
· মানসিক চাপ থেকে মুক্ত থাকার চেষ্টা করুন, মানসিক চাপ হৃদরোগ ঘটায়। সৃষ্টিকর্তার উদ্দেশ্যে দৈনিক নিয়মিত প্রার্থনা করু্ন। সম্ভব হলে মেডিটেশন করে দেখতে পারেন।
· দৈনিক অল্প কিছু সময় শিশু এবং বয়োবৃদ্ধদের সাথে কাটানোর চেষ্টা করুন, বন্ধুদের সাথে প্রানখোলা আড্ডা মানসিক প্রশান্তি আনতে পারে। সব সময় হাসি খুশী থাকবার চেষ্টা করুন।
· দৈনিক পরিমিত নিদ্রা গ্রহন করুন, লক্ষ্য রাখুন আপনার দৈনন্দিন জীবনে যেন যথেষ্ট বিশ্রাম এবং বিনোদনের সূযোগ থাকে।
· ছোট শিশুদের গলা ব্যথা হলে বা বাতজ্বর হলে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
· করোনারি বা অন্যান্য জটিল হৃদরোগ হবার সুনির্দিষ্ট কোন বয়স নেই, তাই সব বয়সেই হার্টের যন্ত নেবার প্রতি সচেষ্ট হন। সন্দেহ হলে চিকিৎসকের স্মরণাপন্ন হোন।


★ এটা একটা শিক্ষামূলক পোষ্ট

★★মাত্রাতিরিক্ত হস্তমৈথুনের

বদঅভ্যাস থেকে মুক্ত হবার
উপায়ঃ সর্বদিক বিবেচনায় হস্তমৈথুন
একটি মারাত্মক
বদঅভ্যাস। যেকোন বদঅভ্যাস শরীর
এবং মনের
জন্য ক্ষতিকর। বদঅভ্যাস ছাড়া সহজ
নয়।
তবে চেষ্টায় সবই সম্ভব।মুক্তির পথ
খুজে পেতে কিছু পদ্ধতি অবলম্বন
করতে পারেন,

যেমনঃ
১. যৌন উত্তেজনা অনুভব
করলে লিঙ্গকে হাত
দিয়ে ধরবেন না। তাড়াতাড়ি অন্যমনস্ক
হয়ে যান।

২. ধর্মীয় অনুশাষন মেনে চলুন। কোন
ধর্মেই
হস্তমৈথুন সমর্থন করে না।

৩. পর্নফিল্ম
এবং নোংরা ছবি দেখা থেকে বিরত
থাকুন। মোবাইল এবং কম্পিউটার
থেকে সকল
বাজে ছবি ডিলিট করে দিন।

৪. খেলাধুলার অভ্যাস করুন।
জগিং সবচেয়ে ভাল
উপায় নিজেকে নিয়ন্ত্রনে রাখার জন্য।

৫. পাঠ্য বই এবং ভাল গল্পের পড়ার
অভ্যাস করুন।এডাল্ট কনটেন্ট পরিহার করুন।

৬. বন্ধু-বান্ধবের সাথে প্রাপ্তবয়স্ক
গল্প
বলা থেকে বিরত থাকুন।

৭. হস্তমৈথুনের অভ্যাস
ক্রমশঃ কমিয়ে দিন।
একবারে এটা থেকে পরিত্রানপাওয়া যায়
না।

{আমাদের পোষ্ট গুলো যদি আপনাদের
সামান্য ভাল
লেগে থাকে অথবা উপকারে এসে থাকে তা
গুলোতে লাইক দিয়ে কমেন্টে অন্তত
একটা “Thanks” জানাইয়েন।}



◉ মানুষের শরীর সম্পর্কিত কিছু তথ্য √ একজন পুরুষ দৈনিক ৪০ টা চুল হারায় আর নারী হারায় ৭০ টা চুল।
√ আমাদের শরীরের রক্তে যেই পরিমান লবন আছে তা একটা সাগরে থাকা লবনের সমান।
√ আপনি প্রতিদিন সকালে তুলনামূলকলম্বা হয়ে যান রাতের সময়ের চেয়ে।
√ হৃৎপিণ্ড পুরো শরীরে সারাদিন গড়ে এক হাজার বার রক্ত সঞ্চালন করে থাকে।
√ চোখের পাপড়ি আয়ুকাল ১৫০ দিন।
√ চোখের ভ্রু তে প্রায় পাঁচশো টি চুল আছে।
√ মানুষের শরীরের গড়ে প্রায় একশো বিলিয়ন নার্ভ সেল রয়েছে।
√ মানুষ কখনই চোখ খোলা রেখে হাঁচিদিতে পারেনা।
√ মানুষের শরীরে হাড় জমাট বাধা কংক্রিট এর চেয়ে ও বেশি শক্ত।
√ জিহ্বা স্বাদের মুল প্রতি ১০ দিন পর পর নষ্ট হয়ে যায়।
√ বাচ্চারা বসন্তকালীন সময়ে সবচেয়ে বেশি বেড়ে উঠে।
√ চোখ সারা জীবন একই আকারে থাকলেওনাক এবং কান বেড়ে উঠে।
√ আমরা জন্মের সময় ৩০০ টা হাড় নিয়ে জন্মাই কিন্তু আমরা যখন পূর্ণবয়স্ক হই তখন আমাদের হাড় হয়ে যায় ২০৬ টা।
√ মানুষের মাথার খুলি ভিন্ন রকমের ২৬ টি হাড় ইয়ে তৈরি।
√ হাতের নখের মত পদার্থ দিয়েই তৈরি হয়েছে চুল।
√ শরীরের ভেতরের সমস্ত যন্ত্রাংশকার্যক্রম সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যায়যখন আমরা হাঁচি দেই।ইভেন আমাদের হার্ট ও।
√ জিহ্বা মানুষের শরীরের সবচেয়ে শক্তিশালী একটি পেশী।
√ একজন আদর্শ মানুষ দৈনিক ছয়বার বাথরুমে যায়।
√ মুখ থেকে পেটে খাবার যেতে সময় লাগে ৭ সেকেন্ড।
√ বাচ্চাদের জিহ্বা স্বাদের মুল পূর্ণবয়স্ক একজন মানুষ থেকে অতি স্বাদ প্রিয়।
√ হাঁচির সময় মানুষের নাক দিয়ে বাতাস বের হয় ১০০ কিঃমিঃ বেগে।
√ আপনি যেই পেশীর উপর বসে থাকেন সেটিই আপনার শরীরের সবচেয়ে বড় পেশী।
√ সবচেয়ে ছোট হাড় হচ্ছে কানের হাড়।



অতি প্রয়োজনীয় শারীরিক কৌশল 

১) অনেক সময় গলার ভেতরে এমন জায়গায় হঠাৎ চুলকানী শুরু হয় যে, কি করবেন দিশেহারা হয়ে পড়েন। ওই জায়গাটি চুলকেনেওয়ার কোন উপায়ও থাকে না। কিছু সময় কানে টান দিয়ে ধরে রাখুন দেখবেন চুলাকনী উধাও।

২) অনেক শব্দের মধ্যে বা ফোনে কথা স্পষ্ট শুনতে পারছেন না? কথা শোনার জন্য ডান কান ব্যবহার করুন। দ্রুত কথা শোনার জন্য ডান কান খুব ভাল কাজ করে এবং গান শোনার জন্য বাম কাজ উত্তম।

৩) বড় কাজটি সারবেন, কিন্তু আশে পাশে টয়লেট নেই? আপনার ভালবাসার মানুষের কথা ভাবুন। মস্তিষ্ক আপনাকে চাপ ধরে রাখতে সাহায্য করবে।

৪) পরের বার ডাক্তার যখন আপনার শরীরে সুঁই ফুটাবে তখন একটি কাঁশি দিন। ব্যথা কম লাগবে।

৫) বন্ধ নাক পরিষ্কার বা সাইনাসেরচাপ থেকে মুক্তি পেতে মুখের ভেতরের তালুতে জিহ্বা চেপে ধরুন। এরপর দুই ভ্রুর মাঝখানে ২০ সেকেন্ড চেপে ধরুন। এভাবে কয়েক বার করুন, দেখুন কি হয়!

৬) রাতে অনেক খেয়ে ফেলেছেন এবং খাবার গলা দিয়ে উঠে যাচ্ছে। কিন্তু ঘুমাতেও হবে। বাম কাত হয়ে শুয়ে পড়ুন। অস্বস্তি দূর হবে।

৭) কোন কিছুর ভয়ে বিচলিত? বুক ধক ধক করছে? বুড়ো আঙ্গুল নাড়তে থাকুন এবং নাকদিয়ে পেট ভারে সজোরে শ্বাস নিন এবং মুখ দিয়ে ছাড়ুন। স্বাভাবিক হয়ে যাবেন।

৮) দাঁত ব্যথা? এক টুকরো বরফ হাতের বৃদ্ধাঙ্গুল এবং তর্জনীর মাঝামাঝি জায়গার উপর তালুতে ঘষুন। দেখুনতো ব্যথা কমলো কিনা!

৯) কোন কারণে চোখের সামনে পুরো পৃথিবী ঘুরছে? কোন শক্ত জায়গা বা জিনিসে কান সহ মাথা চেপে ধরুন। পৃথিবী ঘোরা বন্ধ করে দেবে।

সুস্থ থাকুন... ভাল লাগলে শেয়ার করুন 



♣ পেটের চর্বি থেকে মুক্তি! ♣

১. এক গ্লাস হালকা গরম পানিতে লেবু ও একটু লবণ দিয়ে শরবত তৈরি করে প্রতিদিন সকালে খাবেন।

২.সকালে দুই বা তিন কোয়া কাঁচা রসুন খেতে হবে। লেবুর শরবত পান করার পরই এটি খেয়ে নিলে ভালো ফল পাওয়া যাবে। এ পদ্ধতিটি আপনার শরীরের ওজন কমানোর প্রক্রিয়াটি দ্বিগুণ গতিতে করবে। একই সঙ্গে আপনার শরীরের রক্ত সঞ্চালন হবে মসৃণ গতিতে।

৩. সকালের নাশতায় অন্য খাবারের পরিমাণটা কমিয়ে সেখানে স্থান করে দিতে হবে ফলের। প্রতিদিন সকালে এক বাটি ফল খেলে পেটে চর্বি জমার হাত থেকে অনেকটা রেহাই পাওয়া যাবে।

৪. পেটের চর্বি থেকে মুক্তি পেতে হলে পানির সঙ্গে করতে হবে বন্ধুত্ব। কেননা পানি আপনার শরীরের পরিপাক ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয় এবং শরীর থেকে ক্ষতিকর সব কিছু বের করে দিতে সাহায্য করে।

৫. সাদা চালের ভাত থেকে দূরে থাকুন। এর পরিবর্তে আটার তৈরি খাবার খেতে হবে।

৬. দারুচিনি, আদা, কাঁচা মরিচ দিয়ে রান্না করুন আপনার খাবার। এগুলো শরীরের রক্তে শর্করার মাত্রা কমিয়ে রাখতে সহায়তা করে।

৭. চিনিজাতীয় খাবার শরীরের বিভিন্ন অংশে চর্বি ভূমিকা রাখে, বিশেষ করে পেট ও ঊরুতে। পেটের চর্বি থেকে রেহাই পেতে হলে চিনি এবং চিনিজাতীয় খাবারের সঙ্গে শত্রুতা ছাড়া উপায় নেই।


•••গলা ব্যাথা ও কাশির জন্য উপকারী কয়েকটি টিপস••

◘রসুনঃ
২/৩ কোয়া রসুন এক কাপ পানিতে সিদ্ধ করে নিয়ে এরপর নরমাল ঠান্ডা করে সাথে একটু মধু মিশিয়ে পান করবেন ।

◘আদাঃ
একটু আদা হালকা করে বেটে নিয়ে এক কাপ পানিতে সিদ্ধ করে পান করবেন । গলা ব্যাথা থেকে মুক্তির জন্য দিনে তিন চারবার এইভাবে খাবেন ।
আদা চিবিয়ে খেলেও কাজ হতে পারে ।

◘লেবুঃ
দু টেবল চামচ লেবুর রসের সাথে এক টেবল চামচ মধু মিশিয়ে হালকা গরম করে পান করবেন,দিনে চারবার অন্তত এইভাবে পান করবেন।
অথবা প্রতিবার চায়ের সাথে আদা,লেবুর রস ও সামান্য মধু মিশিয়ে পান করবেন ।

◘মধু ও গরম দুধঃ
ঘুমোতে যাওয়ার আগে এক গ্লাস দুধে মধু মিশিয়ে খেতে পারেন ।
সাথে সকালে ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে এক চামচ মধু খেয়ে নিতে পারেন ।

◘পেয়াজঃ
আধা চা চমচ পেয়াজের রসের সাথে এক চা চামচ মধু মিশিয়ে দিনে অন্তত দুবার পান করবেন ।

স্বাস্থ্য সচেতন হন , নিজেকে সুন্দর রাখুন
পোস্টটি লাইক এবং শেয়ার
করে অন্যকে জানার সুযোগ
করে দিন........


অসাধারণ ১৯ টি টিপস দেরী না করে দেখে নিন।

১. ঠোটেঁ কালো ছোপ পড়লে কাঁচা দুধে তুলো ভিজিয়ে ঠোটেঁ মুছবে এটি নিয়মিত করলে ঠোটেঁর কালো দাগ উঠে যাবে।

২. টমেটোর রস ও দুধ একসঙ্গ মিশিয়ে মুখে লাগালে রোদে জ্বলা বাব কমে যাবে।

৩. হাড়িঁ-বাসন ধোয়ার পরে হাত খুব রুক্ষ হয়ে যায়। এজন্য বাসন মাজার পরে দুধে কয়েক ফোঁটা লেবু মিশিয়ে হাতে লাগান। এতে আপনার হাত মোলায়েম হবে।

৪. কনুইতে কালো ছোপ দূর করতে লেবুর খোসায় টিনি দিয়ে ভালো করে ঘষে নিন। এতে দাগ চলে গিয়ে কনুই নরম হবে।

৫. মুখের ব্রণ আপনার সুন্দর্য নষ্ট করে। এক্ষেত্রে রসুনের কোয়া ঘষে নিন ব্রণের উপর। ব্রণ তাড়াতাড়ি মিলিয়ে যাবে।

৬. লিগমেন্টেশন বা কালো দাগ থেকে মু্ক্তি পেতে আলু, লেবু ও শসার রস এক সঙ্গে মিশিয়ে তাতে আধ চা চামচ গ্লিসারিন মিশিয়ে যেখানে দাগ পড়েছে সেখানকার ত্বকে লাগান।

৭. চুল পড়া বন্ধ করতে মাথায় আমলা, শিকাকাই যুক্ত তেল লাগান।

৮. তৈলাক্ত ত্বকে ঘাম জমে মুখ কালো দেখায়। এক্ষেত্রে ওটমিল ও লেবুর রস একসঙ্গে মিশিয়ে মুখে লাগিয়ে রাখবেন আধা ঘন্টা। আধা ঘন্টা পর ঠান্ডা পানিতে মুখ ধুয়ে নিন।

৯. যাদের হাত খুব ঘামে তারা এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে লাউয়ের খোসা হাতে লাগিয়ে রাখুন কিছুক্ষণ।

১০. পায়ের গোড়ালি ফাটলে পেঁয়াজ বেটে প্রলেপ দিন এ জায়গায়।

১১. ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধির জন্য প্রতিদিন ১৫ গ্রাম করে মেৌরি চিবিয়ে খান। খুব কম সময়ে রক্ত শুদ্ধ হয়ে ত্বক উজ্জ্বল হয়ে উঠবে।

১২. মুখে কোন র্যাশ বের হলে অড়হর ডাল বাটা পেষ্ট লাগান র্যাশের উপর। কিছুক্ষণ রেখে ধুয়ে ফেলুন। দাগ থাকবেনা।

১৩. পিঠের কালো ছোপ তুলতে ময়দা ও দুধ এক সঙ্গে মিশিয়ে পিঠে দশ মিনিট ধরে ঘষবেন। এটা নিয়মিত করলে পিঠের ছোপ উঠে যায়।

১৪. মুখের তাৎক্ষনিক লাবণ্য আনতে একটা ভেষজ রুপটান আছে। আধা চা চামুচ লেবুর রস, এক চা চামচ মধুর সঙ্গে মিশিয়ে মুখে ও গলায় লাগান। পনের মিনিট পর ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এটা আপনার মুখকে আদ্র রাখবে।

১৫. হাত পায়ের সৈন্দৌয্য অক্ষুন্ন রাখতে হাতে ও পায়ে আপেলের খোসা ঘষে নিন। এতে হাত ও পা অনেক বেশী ফর্সা দেখাবে।১৬. মুখের বাদামী দাগ উঠাতে পাকা পেঁপে চটকে মুখে লাগান, পরে ধুয়ে ফেলুন।

১৭. নিঃশ্বাসের দুগন্ধ থেকে মুক্তি পেতে নিয়মিত দুই কোয়া করে কমলালেবু খান। দুই মাস পর এসমস্য থাকবেনা।

১৮. সমপরিমান তুলসী পাতার রস ও লেবুর রস একসঙ্গে মিশিয়ে দুই বেলা নিয়মিত মুখে লাগান যেকোন দাগ মিলিয়ে যাবে।

১৯. অতিরক্ত শুষ্কতা থেকে মুক্তি পেতে মধু, দুধ ও বেসনের পেষ্ট মুখে লাগান নিয়মিত। এতে ত্বকের বলিরেখা ও দূর হয়ে যাবে।


কম্পিউটারে থেকে চোখ বাঁচান !

দীর্ঘ সময় কম্পিউটারে চোখ রাখলে ‘আইস্ট্র্যান’ নামক একটি সমস্যা তৈরি হতে পারে। এতে চোখের প্রসারণ, শুকিয়ে যাওয়া, মাথা ও ঘাড় ব্যথাসহ দৃষ্টির সমস্যা হয়ে থাকে। এ সমস্যা থেকে উত্তরণে প্রচুর ভিটামিন-এ সমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে। গাজর হলো এই ভিটামিনের একটি ভালো উৎস। তাছাড়া কম্পিউটারের তীব্র আলোফোকাল বা ট্রাইফোকাল কম্পিউটার লেন্স ব্যবহার করকরশ্মি থেকে চোখের সুরক্ষায় এন্টিগ্ল্যায়ার স্ক্রিন প্রটেক্টর ব্যবহার করতে পারেন। এছাড়া চিকিৎসকের পরামর্শে বাইতে পারেন।

 
নিজেই প্রতিশোধ নিও না,
আল্লাহর জন্য অপেক্ষা কর।
তাহলে তিনি তোমাকে রক্ষা করবেন।

---হযরত-সুলাইমান-(আঃ)

ঘরে বসে গ্রীন টি ফেসিয়াল


তৈলাক্ত, ব্রণ প্রবন ত্বকে প্রয়োজন একটু বেশি যত্ন। তৈলাক্ত ত্বকে ব্যাক্টেরিয়ার সংক্রমনের আশংকা বেশি থাকে। তৈলাক্ত ত্বকের যত্নে গ্রীন টি খুবই কার্যকর। কারণ গ্রীন টিতে আছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও অ্যান্টিইনফ্ল্যামেটরি গুণ।

চলুন জেনে নেই কীভাবে ঘরে বসে করবেন গ্রীন টি ফেসিয়াল।

উপকরণঃ

• গ্রীন টি
• মুলতানি মাটি
• অ্যালোভেরা

পদ্ধতিঃ
কিঞ্জিং
আপনার পছন্দের ক্লিঞ্জার দিয়ে মুখ ভালো ভাবে পরিষ্কার করে নিন।

স্ক্রাবিং
স্ক্রাব মুখে লাগিয়ে কিছুক্ষন রেখে আলতো ভাবে ম্যাসাজ করুন। স্ক্রাবিং ব্ল্যাক /হোয়াইট হেডস দূর করবে ও বন্ধ পোরস গুলো খুলে দিবে।

টোনিং
তুলোতে টোনার নিয়ে মুখটা মুছে নিন। গোলাপ জল তৈলাক্ত ত্বকের জন্য বেশ উপযোগী টোনার।

ফেসপ্যাকঃ
ফুটন্ত গরম পানিতে ১ চামচ গ্রীন টি কিছুক্ষণ ভিজিয়ে রাখুন।
১টি বাটিতে ২ চামচ মুলতানি মাটি নিন। তাতে ২-৩ চামচ গ্রীন টি ভেজানো পানি মেশান।
১ টি অ্যালোভেরার স্টিক নিন, এটির এক পাশ ছিড়ে নিতে হবে। এবার অ্যালোভেরা স্টিকটি চিপে রস মুলতানি মাটি ও গ্রীন টির মিশ্রণে মেশান।
উপকরণ গুলো একসাথে ভালো ভাবে মিশিয়ে নিন। প্যাক তৈরি হয়ে গেল।
প্যাকটি মুখে লাগিয়ে ২০ মিনিট রাখুন, তারপর পরিষ্কার পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন।

উপভোগ করুন তেল মুক্ত, উজ্জ্বল ত্বক।

প্যাকটির উপকারিতাঃ
• গ্রীন টির অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ত্বককে সতেজ ও টানটান রাখতে সাহায্য করে ও জীবাণু দূর করে।
• মুলতানি মাটি ত্বকের অতিরিক্ত তেল দূর করে, ব্রণ প্রতিরোধ করে, রোদে পোড়া ভাব কমায়।
• অ্যালোভেরা ত্বককে ময়েশচারাইজ করে। অ্যালোভেরার অ্যান্টিব্যাক্টেরিয়াল গুণ ত্বককে সুরক্ষিত রাখে।

কোথায় পাবেনঃ
গ্রীন টি সহজেই পেতে পারেন সুপার শপ গুলোতে।
মুলতানি মাটি পাওয়া যাবে যেকোন শপিং মলেই। ব্যবহার করতে পারেন মিনা হারবালের মুলতানি মাটি।
অ্যালোভেরা পাওয়া যাবে সুপার শপে বা কাঁচা বাজারে।

নিয়মিত এই ফেসপ্যাকের ব্যবহারে ত্বক হবে ব্রণমুক্ত, উজ্জ্বল ও লাবণ্যময়।

 
সপ্তাহে একবার পাকা কলা চটকিয়ে মুখে লাগান আর ৩/৪ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন।
মুখে লুকিয়ে থাকা সব ময়লা নিমিষে পালিয়ে যাবে 
আর আপনি হয়ে উঠবেন আরো আকর্ষণীয়।




গ্লিসারিন, অলিভ অয়েল, মধু ও গোলাপজল একসঙ্গে 
মিশিয়ে লাগালে ঠোঁটের উজ্জ্বলতা ফিরে আসবে। 
ঠোঁটের কালচে ভাব দূর হবে।




বুকের দুধ কম হলে কি করবেনঃ

অনেক সময় মায়ের বুকের দুধ কম হলে বা একদম না হলে অভিভাবকগন ভীষন দুশ্চিন্তায় পরে যান। এমনটি হবার কোনো কারন নেই বরং ধৈর্য্য ধরে এই সমস্যাটিকে সমাধান করতে হবে। যেমন -

১- উভয় স্তনের বোটা কে শিশুর জন্য পাচ মিনিট করে চুষতে দিতে হবে, একেবারে একফোটা দুধ না আসলেই এই কাজটা নিয়মিত করেই যেতে হবে।

২- এই সময়ে শিশুর পুষ্টির চাহিদা মেটানোর জন্য শিশুকে প্রক্রিয়াজাত কৌটার দুধ বা গরুর দুধ খাওয়ানো যেতে পারে কিন্ত লক্ষ্য রাখতে হবে কোনো অবস্থাতেই তা ফিডার বোতলে খাওয়ানো যাবেনা।

অবশ্যই বাটিতে করে ছোট্ট চামচে করে তুলে খাওয়াতে হবে। মনে রাখতে হবে ক্ষুধার্ত শিশুকে প্রথমে স্তন বোটার সাথেই ধরতে হবে এবং মিনিট পাচেক চুষবার পরে বাটি ও চামচ দিয়ে অন্য দুধ খাওয়াতে হবে। এভাবে প্রসুতি মা ধীরে ধীরে স্বাভাবিক দুগ্ধ উৎপাদন করে শিশুর সকল চাহিদা মেটাতে পারবে।

৩- শিশু স্তন চুষবার সময় ম'কে অবশ্যই নিরুদ্বিগ্ন এবং চিন্তামুক্ত থাকতে হবে।

৪-মা এর নিজের মনে অবশ্যই এই আস্থা থাকা বাঞ্ছনীয় যে এই প্রক্রিয়ায় দুগ্ধ নিঃসরণ বাড়বে, মা'কে সম্পূর্ণ নিশ্চিত করা অভিভাবক দের দায়িত্ব হিসেবে নিতে হবে। তাকে কখনোই তিরস্কার বা হতাশ করা যাবেনা, তাহলে এটা ফলপ্রসু নাও হতে পারে।

৫- মা'কে পর্যাপ্ত আহার করতে হবে, তার নিদ্রা বা বিশ্রামের ও ব্যাঘাত ঘটা যাবেনা। স্তন্য দানের ১৫ মিনিট পূর্বে মা' দুই গ্লাশ পানি পান করে নিলে স্তন্য দান সহজ হবে।

৬- এই মুহুর্তগুলিতে শিশুকে সবসময় মায়ের সংস্পর্শে রাখতে হবে। মা' এবং শিশুর মধ্যে এক নিবিড় সম্পর্ক হওয়া এক্ষেত্রে বিশেষ গুরুত্ব বহন করে।

৭- উপরোক্ত ব্যবস্থা গ্রহনের ১৫ দিন থেকে ২০ দিনের মধ্যেও যদি মায়ের বুকে পর্যাপ্ত দুধ না আসে বা কম আসে তাহলে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী দুধ বাড়ার অসুধ গ্রহন করা যেতে পারে। তবে মনে রাখতে হবে এর আগে দুই থেকে তিন সপ্তাহ ধৈর্য্য ধরলে এম্নিতেই এই সমস্যার সমাধান হয়ে যায়।

৮- কখনো মায়ের দুধ কম হবার কারনে শিশুকে প্রক্রিয়াজাত অন্য দুধ খাওয়াতে হলে মনে রাখতে হবে শিশু প্রথমে মায়ের দুধ টুকু গ্রহন করবে এর পর তার বাড়তি প্রয়োজন অন্য কিছু দিয়ে পূরণ করতে হবে। এ অবস্থাকে ঝামেলাপুর্ন মনে হওয়ায় মায়ের দুধ বন্ধ করে দেয়া যাবেনা, কারণ মায়ের দুধের কোনোই বিকল্প নাই।


গলা এবং ঘাড়ের ভাজ দূর করতেঃ


আমরা প্রায় সবাই মুখ এবং ত্বকের যত্ন নিয়ে বেশি গুরুত্ব দিতে গিয়ে গলা, ঘাড় এবং তার আশপাশের জায়গা যত্ন থেকে বাদ পরে যায়। যার ফলে সুন্দর মুখ ও ত্বকের সাথে ভাজ পরা মলিন গলা, যা সত্যিই বেমানান।

আসুন জেনে নিই সেইসব পরিবর্তন যা গলা এবং ঘাড়ে ভাজ পরা থেকে আপনাকে রক্ষা করবে।

১. গলা এবং ঘাড়কে ভাজমুক্ত রাখতে একটু ঘাড়ের ব্যায়াম করা জরুরী। যখনই সময় পাবেন প্রতিদিন গলা এবং ঘাড় একটু টানটান করে আবার ছেড়ে দিন।

২. হাঁটা, শোয়া এবং বসার সময় শরীর সোজা রাখার চেষ্টা করুন। যখন কোন কাজ করবেন বা কম্পিউটারে বসবেন, শরীরকে সামনের দিকে ঝোকাবেন না। এতে গলার চামড়া ঝুলে যেতে পারে।

৩. শোবার সময় নিঁচু বালিশ ব্যবহার করুন। একপাশ ফিরে বেশিক্ষণ শোবেন না। যখনই চেতনা হবে অন্যপাশ ফিরবেন।

৪. প্রচুর পানি পান করুন এবং ত্বকের জন্য উপকারি খাবার গুলো বেশি খাবেন।

৫. গোসল করার সময় বেশিক্ষণ পানিতে থাকবেন না, এতে ত্বকের ক্ষতি হয়।

৬. গলা এবং ঘাড়ে নিয়মিত অলিভ অয়েল বা ভাল কোন স্কিন অয়েল দিয়ে ম্যাসাজ করুন।

ত্বকের অন্যান্য অংশের মতো গলা এবং ঘাড়ের ত্বককেও সমান গুরুত্বদিন, তাহলে আপনার সৌন্দর্য অবশ্যই পরিপূর্ণতা পাবে



ঘুমানোর আগেঃ

প্রতিদিন রাত্রে ঘুমতে যাওয়ার আগে যদি কষ্ট করে একটু সাবান বা ফেসওয়াস দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলতে পারেন আর তার সাথে প্রতিদিন ৩থেকে ৪ লিটার পানি পান করতে পারেন তাহলে ব্রন নামক এই কুৎসিত রোগটি আপনার ১০০ গজ এর ভিতরে আসতে পারবে না। এটি ১০০% প্রমানিত।
html2canvas example
 
We Want to give Best BDWORLD News Site Service For You. Keep Ahead Our BDWORLD Site
 
 

About Us

Contact Us

bdwork@gmx.com
      

Livecity - Website Builder